বুধবার বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন। এ সময় আসামি বাচ্চু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০০৮ সালের ২৭ আগস্ট রাতে স্ত্রী হামিদাকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর বাড়ির খাল পাড়ে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে স্বামী বাচ্চু। পরের দিন স্ত্রীর বাবার বাড়ি গিয়ে জানায় হামিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চুর কথা ও আচরণে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়।
পরে ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রামবাসী বাচ্চুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হামিদার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১১ বছর পর আদালত ওই মামলায় বাচ্চুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি আকতারুজ্জামান বাহাদুর এবং আসামিপক্ষে অ্যাড. কমল কান্তি দাস।
অতিরিক্ত পিপি আক্তারুজ্জামান বাহাদুর বলেন, ‘হামিদা হত্যা মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে আদালত ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী কমল কান্তি দাস বলেন, ‘আমি আমার মক্কেলের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বাচ্চুর বিরুদ্ধে পিরোজপুর আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে।