শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
তিনি বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধি যদি অপরাধ করে কারাগারে থাকেন ও তার নৈতিক স্খলন ঘটে এবং দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা এমনকি বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিষয়টি আমি পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত সুপারিশ পত্র পাঠায়নি। সুপারিশ পত্র পেলেই আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠাবো।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ পাঠাবো।
এদিকে চাঁদা দাবি করে গোল্ডেন লাইন পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে মারধর ও অর্থ ছিনতাইয়ের মামলায় লিটনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বাস টার্মিনালে বিএমএফ কাউন্টারে চাঁদাবাজির ঘটনায় আরও একটি মামলা রয়েছে। যে ঘটনায় তার শ্যালকও আটক রয়েছে।
কামাল হোসেন মোল্লা লিটন বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বরিশাল টেম্পু মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদেও অঘোষিত নিয়ন্ত্রক লিটন মোল্লা। তার বিরুদ্ধে পরিবহন কাউন্টারগুলো থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে কাউন্টার ম্যানেজারদের কাছ থেকে।