রবিবার দুপুরে ওই গ্রামের নারী সুচিত্রা সরকার (২৬) করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা যান। এরপর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বিকাল সাড়ে ৫টায় নিয়মানুযায়ী ওই নারীর সৎকার সম্পন্ন করে। আর লকডাউন করা হয় পুরো গ্রামটি। মৃত নারীর দেহের নমানা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুরো গ্রামটি লকডাউন থাকবে বলে স্থানীয় প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জানানো হয়।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, করোনার লক্ষণ থাকা ওই নারীকে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হাসপাতালের উপ-পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। সুচিত্রা সরকার ৭ দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট এবং ২দিন ধরে পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হযেছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ দিন আগে ওই নারীর শ্বশুর মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। সেইখানে আসা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হযেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হবে। রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকটতম প্রতিবেশীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে হাসপাতালকে বিশেষ নজরদারিতে এবং রোগীর সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হযেছে। পাশাপাশি নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুরো বড়ইছড়া গ্রামকটি লকডাউন করা হয়েছে।