তারা হলেন- পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন ও ঝাড়ুদার বিপ্লব দাস, শহরের সৈকত হোসেন, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির ও আকবর হোসেন, কারবালা এলাকার সিরাজুল ইসলাম এবং ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মনিরুল ইসলাম, বশির আহমেদ ও হাসমত আলী।
বশির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার বিকালে তিনি বকুলতলা এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় হনুমানটি তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিজের টাকায় একটি ভ্যাকসিনও কিনেছেন। চিকিৎসক বলেছেন, আরও চারটি ভ্যাকসিন দিতে হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন কেনার টাকা তার কাছে নেই।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহানুর রহমান বলেন, ‘দুই দিনে হনুমানের কামড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি আটজন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এসআই মোখলেছুজ্জামান বলেন, ‘হনুমানটি যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের মধ্যে ছিল। তাকে ধরার চেষ্টা করেও পারিনি।’
বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষুধার্ত হনুমানটিকে খাবার দিয়েছি। সেটি এখন ওই এলাকায় নেই।’