কলেজ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে দুই টাকার ফটোকপি ফরম ১০০ টাকা বিক্রি করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
তবে সব শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত কোনো অঙ্কের টাকা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গুজব অনুযায়ী- রবিবার ছিল ১০ হাজার টাকা পাওয়ার আবেদনের শেষদিন। তাই সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে ফরম পূরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি বিকাশ করলেই ক্যাশব্যাক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থীরা এসে প্রত্যয়নপত্র চাচ্ছে তাই কলেজ থেকে তা দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো নিদের্শনা দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে এমন গুজবে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হতে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীদের অনুদান দিচ্ছে সরকার। এ জন্য অনলাইনে আবেদনও নেয়া হচ্ছে। তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীদের অনুদান দেয়া হবে এমন কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। এই বিষয়ে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর আগে পরিস্থিতি মূল্যায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের অনুদান প্রদানের সংশোধিত নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ৭ মার্চ আবেদনের শেষ দিন। তবে কর্তৃপক্ষ আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা করছে। কিন্তু অনুদানের এই ঘোষণা ইতোমধ্যে দেশজুড়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অনুদান দেয়ার গুজব ছড়িয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।
জানা গেছে, বিভিন্ন প্রতারকচক্র অনলাইনে আবেদনের জন্য গুগল ডকে ফর্ম ফিলাপ করতে বলছে। সেখানে ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিকাশ ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর ও পিনসহ গোপন তথ্য চাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ প্রতারণা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ অনুদান বিষয়ে কাউকে ফোন দেয়া হয়নি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র, বিকাশ নম্বর ও গোপন পিন সংক্রান্ত কোনো তথ্যও চাওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড -১৯: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের অনুদান প্রদানে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী সবাই আবেদনের যোগ্যও হবে না।