জানা যায়, উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ সংকটের মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৫০০ টাকা সেশন ফি নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সেশন ফি দিতে না পারায় বই বিতরণ উৎসবের দুই সপ্তাহ পার হলেও সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির ৩২৬ জন শিক্ষার্থী বই পায়নি।
আরও পড়ুন: নতুন বই নিয়ে বাসায় ফেরা হল না রেশমীর
২৪ লাখ নতুন বই পাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে বই বিতরণের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। সেশন ফি না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক স্যার বই দেয়নি। তাদের মাঝে প্রশ্ন বিনামূল্যের বই নিতে কেন টাকা দিতে হবে?
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে অ্যাকাউন্ট খুলে সেশন ফির টাকা আগে উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষার্থী বই পায়নি শিগগিরই তাদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে।’
সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দুয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়ার অপেক্ষায় চাঁদপুরের ৬ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল্লাহ বলেন, যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।