ইসলামপুর পুরাবাড়ি এলাকার দিনমজুর আব্দুল গফুর বলেন, ‘আজকে ১২ দিন ধরে আমরা অসহায়। সরকার থেকে একটা চালও পাইনি। আজ দুদিন ধরে ঘরে খাবার নেই। আমার কাছে যে ৪০০-৫০০ টাকা ছিল তা খরচ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। তারা সারা ইউনিয়নে দুই টন চাল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
‘আমরা সারা গ্রামে মানুষ রয়েছি ৪৫০ পরিবার। ত্রাণ পেয়েছেন মাত্র পাঁচজন। ধনী দুটো পরিবার আছে, তারা আমাদের ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ ঘরের মানুষকে সাহায্য করছে। কিন্তু সরকারি কোনো খাদ্য সামগ্রী পাইনি,’ বলেন তিনি।
দিনমজুর সিদ্দেক আলী বলেন, ‘সরকার বলে আপনারা ঘরে থাকুন আমরা খাদ্য পাঠাব। কিন্তু আমরা কিছু পাইনি। আমরা কিছু না পেয়ে আজকে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’
গৃহিনী জুহেরা বিবি বলেন, ‘আমরা ঘরে বন্দি। কাম কাজ নাই, ঘরেও খাবার নাই। খাদ্য দিবে দূরের কথা এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বর কেউ কোনো খোঁজ খবরও নেননি। আমরা অনাহারে কষ্ট পাচ্ছি। এর জন্য আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
চা শ্রমিক জলিকা উড়াং বলেন, ‘মানুষ বলে সরকার অনুদান দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তো অনুদান পাইনি। সরকার যে কাজ কাম বন্ধ করল, এখন ছেলে মেয়ে বাড়িতে, খাবার নেই। সরকার তো খোঁজ নিচ্ছে না।’
৩নং খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইসলামপুর ওয়ার্ডবাসী বিক্ষোভ করেছেন আমি শুনেছি। কিন্তু আমি কি করব বলেন। সারা ইউনিয়নের জন্য মাত্র দুই টন চাল এসেছে। এই পরিমাণ চাল দিয়ে সবাইকে ত্রাণ দেয়া সম্ভব না। যে এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ করেছেন সে এলাকায় মাত্র পাঁচজন চাল পেয়েছেন। কিন্তু এই এলাকায় আরও ত্রাণ দেয়া প্রয়োজন।’
‘আমাদেরকে যে চাল দেয়া হয়েছে তা দিয়ে একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২২ পরিবারকে দিতে পেরেছি। কিন্তু ত্রাণ পাওয়ার মতো অনেক পরিবার আছেন। অনেক খেটে খাওয়া মানুষজন আমার ইউনিয়নে আছেন। এখন সরকারি বরাদ্দ না আসলে কিছু করতে পারছি না,’ যোগ করেন তিনি।