শনিবার সকাল ৮টায় মাজারের জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ। সামাজিক দূরত্ব মানতে গিয়ে মসজিদ ছাড়িয়ে গোটা মাজার এলাকায় জামাতের বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
হযরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার মসজিদে সকাল ৮টায়, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ.)-এর মাজার মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগরীর বেশ কয়েকটি মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বন্দরবাজারের হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে তিনটি ও কালেক্টরেট জামে মসজিদে চারটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর কাজিরবাজার মাদরাসায় সকাল সাড়ে ৭টায়, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, কুমারপাড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় এবং মদিনা মার্কেট জামে মসজিদে (আল মদিনা জামে মসজিদ) সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জেলার ১২ উপজেলার মসজিদগুলোতে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণভাবে। এসব জামাতে কীভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কীভাবে বণ্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বক্তব্য দেন খতিবরা।
ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং মহামারি করোনা থেকে মুক্তি লাভের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। মুসল্লিরা অশ্রুভেজা কণ্ঠে ক্ষমা চান মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। পাশাপাশি দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করেন তারা।
নামাজ শেষে ঈদুল আজহার প্রধান অনুসঙ্গ পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নগরীর বাসিন্দারা।
দূষণ এড়াতে এবারও সিলেট সিটি করপোরেশন পশু জবাইয়ের ৩০টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু অতীতের ন্যায় তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। বরাবরের মতোই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে। অবশ্য নির্ধারিত স্থানগুলোতেও কিছু পশু জবাই করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন বলছে, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে। এ ক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে সংস্থাটি।