বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাতলা গ্রাম থেকে ওই হরিণটি উদ্ধারের পর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
এর আগে গত ২৩ এবং ২৪ এপ্রিল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে একটি বার্কিং এবং একটি চিত্রল হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ। পরে ওই হরিণ দুটিকেও সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে গত পাঁচ সপ্তাহে লোকালয় থেকে সুন্দরবনের তিনটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হলো।
এছাড়া গত ৪ মে সুন্দরবনে শিকারীদের ফাঁদে আটক ২২টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এসময় তিনজন পেশাদার হরিণ শিকারীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস, ৩টি নৌকা, ট্রলার ও ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নুল আবেদীন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়রা বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে হরিণটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সেটি আটক করে। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন গিয়ে বার্কিং প্রজাতির ওই হরিণটিকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৫-৬ বছর বয়স্ক ওই হরিণটির ওজন প্রায় ৩৫ কেজি। ধারণা করা হচ্ছে, হরিণটি সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদী পাড় হয়ে লোকালয়ে চলে আসে। উদ্ধারকৃত হরিণটি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল এবং ছেড়ে দেয়ার পর হরিণটি দৌড়ে বনের গহীনে চলে গেছে।