ইউএনবির বরিশাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নগরীর সাগরদি আলিয়া মাদরাসা সংলগ্নে ট্রাকের সাথে তিন চাকার যানের (মাহিন্দ্রা) সংঘর্ষে মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে পটুয়াখালী-বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার শ্রীরামকাঠি গ্রামের দেলোয়ারা বেগম (৬০) ও তার ছেলে শিপন (৩৫)।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে একটি তিন চাকার যান (মাহিন্দ্রা) রুপাতলী বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় অ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানির একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে দেলোয়ারা বেগম নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার ছেলে শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে বিয়ানীবাজার প্রতিনিধির পাঠানো খবর অনুযায়ী- বিয়ানীবাজারে সিএনজিচালিত দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বোন মারা গেছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কামারগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- তাহমিনা আক্তার (১৮) ও তিন্নি (৮)। তারা দুজন সম্পর্কে খালাতো বোন। নানা বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন তারা। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাদের।
নিহত তাহমিনা উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কাকরদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিন্নি বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের গুদামবাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ানীবাজার থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি অটোরিকশাটি কামারগ্রামে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাহমিনার মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিন্নি মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদরের লাউদিয়া এলাকায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাকের ধাক্কায় মাহিন্দ্র যাত্রী দুই নারী নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
নিহত পলি খাতুন (৪০) সদরের বিষয়খারী গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার ইউএনবিকে জানান, ঝিনাইদহ থেকে যাত্রীবাহী মাহিন্দ্র কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মাহিন্দ্রটি লাউদিয়ায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে আসা বালু বোঝাই একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পাশের একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্র যাত্রী পলি খাতুন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৯ জন। তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও এক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ট্রাকটিকে পুলিশ আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার মৌচাক নামক স্থানে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহতরা হলেন- ট্রাক চালক বাবু মিয়া (৩৫) ও হেলপার রহমত আলী (২৫)। দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নাকরাজ পাড়ায়।
আহত অপর ট্রাক চালক শাহ আলমকে (৩০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার উত্তর রসুলপুর গ্রামে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর আরএফএল এর কারখানা থেকে পাইপ বোঝাই একটি ট্রাক সিলেট যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পাইপ বোঝাই ট্রাকের চালক বাবু মিয়া ও হেলপার রহমত আলী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা, বাহুবল থানার পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে হতাহতদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ওসি জানান, হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।