জেলার রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
শনিবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খতিবর রহমান থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু হয়। উক্ত মামলায় আসামি ৩৫০ জন। পরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ৪৫০ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে ভোট গ্রহণের পর আসার পথে মীরডাঙ্গী বাজারের দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় রাণীশংকৈল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহাদুল জামান আলী ২৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আর একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিবেসে রুজু করা হয়েছে বলে জানান এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। বেশিরভাগ লোক দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন।
তবে পুলিশ সুপার জানান, যারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নন তাদের কোনো ভয় নেই।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের ছোড়া বুলেটের আঘাতে রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রামের মোহাম্মদ বাদশার আট মাসের কন্যা শিশু সুরাইয়া মারা যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামকৃষ্ণ বর্মণ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ সার্কেল) আহসান হাবীবসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।