তিনি বলেন, ‘নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার ঐক্যফ্রন্টের দাবি বিশ্লেষণ করে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই। ইসির কাছে তা যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।’
রাজধানীর নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসিতে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সিইসির পাশাপাশি অন্য কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সচিব জানান, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বুধবার সিইসির কাছে নির্বাচনের তারিখ তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়াসহ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন।
আজ সিইসির নেতৃত্বে কমিশনারদের একটি বৈঠকের আয়োজন করে ইসি। এতে তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে জানুয়ারিতে অনেকগুলো আইনি ও সাংবিধানিক বিষয় থাকছে। যার মধ্যে আছে প্রয়োজনে পুনর্নির্বাচন ও উপনির্বাচন আয়োজন, অনিয়ম তদন্ত, গেজেট প্রকাশ এবং নবনির্বাচিত এমপিদের শপথগ্রহণ, যাতে পর্যাপ্ত সময় লাগবে। তাই নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, যোগ করেন তিনি।
জানুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমাও অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘যেহেতু ইজতেমায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ যোগ দেবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাখো সদস্য মোতায়েন থাকবে, তাই ইসি সব দিক বিবেচনা এবং দাবিগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগে এই দেশের নাগরিক ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারকে আমরা বিবেচনা করব। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সবসময়ই স্বাগত।
সেনা মোতায়েন নিয়ে সচিব বলেন, ‘সকালে আমি বলেছিলাম যে নির্বাচনের ২ থেকে ১০ দিন আগে সেনা মোতায়েন করা হবে। আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম যে সহকারী রিটার্রিং কর্মকর্তারা ১০ দিন আগে সেনাদের থাকার ব্যবস্থা করবেন।’ তবে সেনাবাহিনী কখন মোতায়েন করা হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।