ইউএনবির ফরিদপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সালথা, নগরকান্দা ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি গ্রামের ঈদ্রিস আলীর স্ত্রী হাসি বেগম (৪৫), একই ইউনিয়নের বাতা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী বিল্লাল মাতুব্বর (৪৭), রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের সিরাজ শরিফের ছেলে হাফিজুর শরিফ এবং নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের ইমরান ব্যাপারী।
সালথা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, হাসি বেগম বাড়িতে রান্না করার সময় এবং বিল্লাল মাতুব্বর ছেলেকে নিয়ে ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
ওসি বলেন, বিল্লাল মাতুব্বর ঈদের আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।
নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার মনিরুজ্জামান জানান, ইমরান ব্যাপারী কুমার নদে পাট জাগ দেয়ার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল মোল্লা জানান, দুপুরে তিন ভাই হঠাৎপাড়া এলাকার একটি খালের পানিতে পাট ধোয়ার কাজ করছিলেন। ওই সময়ে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই হাফিজুর শরিফ মারা যান।
এদিকে মানিকগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবর অনুযায়ী, ঘিওর উপজেলার মৌহালী গ্রামে বজ্রপাতে মঙ্গল চন্দ্র সরকার (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৌহালী গ্রামের লালু চন্দ্র সরকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে কৃষি জমিতে কাজ শেষে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে মঙ্গল চন্দ্র সরকার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সদর উপজেলায় বজ্রপাতে অলীক বিশ্বাস (৩৫) নামে এক কৃষক নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. বাশুদেব কুমার কুন্ডু জানান, দুপুর ৩টার দিকে সদর উপজেলার নলদা গ্রামের অরুন বিশ্বাসের ছেলে অলীক বিশ্বাস মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া বজ্রপাতে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের নূরু প্রামাণিকের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), আমিরুলের স্ত্রী ফাইমা বেগম বেলচা (৩০) এবং সদর ইউনিয়নের নিজ বাটিয়া চরের তহসিনের ছেলে সুমন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতমারা চর থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আমিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাইমা বেগম নিহত হন। এসময় তাদের ৫টি গরু মারা যায়।
অন্যদিকে পাট ধোয়ার সময় বজ্রপাতে আহত হন সুমন। পরে তাকে সারিয়াকান্দি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।