এ ঘটনায় ছোট বোন আইরিন আক্তার (১৬) ও স্বামী হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত নাসরিন উপজেলার হাটিলা গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। তার স্বামী আলী সদর উপজেলার মনিহার গ্রামের রুহুল আমিন মাস্টারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৯ অক্টোবর রাতে আইরিন তাদের বাড়িতে বড় বোন নাসরিনের পায়ে ওড়না পেঁচিয়ে চেপে ধরে এবং গোপনে সেই বাড়িতে অবস্থান করা আলী মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাসরিনের বুকের পাজর ভেঙে যায়। এ অবস্থায় নাসরিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আলী পালিয়ে যায় এবং আইরিন অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে ঘরে পড়ে থাকে।
পরে স্থানীয়রা অজ্ঞান দুই বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ অক্টোবর রাতে নাসরিনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ১৪ অক্টোবর হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহম্মদ ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় হযরত আলীকে আটক করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে আইরিনকেও পুলিশ আটক করে।
অভিযুক্ত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।