মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও করোনার টিকা কেনা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিককে টিকা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটকারীকে উদ্দেশ করে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
শুনানিতে আদালত বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছদার কোনো অভাব নেই।, তবে সরকারকের কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা আছে কিনা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে খোঁজ নিতে বলে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ করে দেন হাইকোর্ট।
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও করোনার টিকা কেনার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৬ এপ্রিল হাইকোর্টে হিউম্যান সংগঠন ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিট করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। রিটে একই সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকদের টিকা দেয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বন্ধে হাইকোর্টের রুল
এর আগে তিনি সরকারকে নোটিশ দিয়েছিলেন।
এ রিটের শুনানিতে আদালত রিটকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, নোটিশ দিলেন ২৪ এপ্রিল। ৭ দিনের নোটিশ দিয়ে এসে একটি রিট ফাইল করে বলতেছেন যে একটি কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান করার জন্য। এটা যখন শুরু হলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও (হু ) প্রেডিক্ট করতে পারে নাই কি হবে, কি হতে পারে। এ ধরনের একটা সিচুয়েশনে আপনি একটা রিট পিটিশন নিয়ে আসলেন এতগুলো ইস্যু নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ যারা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দেশ-বিদেশে সব বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে নতুন নতুন কথা বলতেছেন। বিভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্ট চলে আসতেছে। এগুলে নিয়ে কি বলবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
‘ভ্যাকসিন নিয়ে বলছেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। পরিস্থিতি অনুসারে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। একটু অপেক্ষা করেন। আপনারা সবকিছু নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে এ ধরনের একটা পরিস্থিতিতে দেশে একটা পেনিক ক্রিয়েট করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো হলে পেনিক হয়। সরকারের সদিচ্ছদার কোনো অভাব নেই। উদ্যোগের কোনো অভাব নেই। ’
এই সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ইতোমধ্যে ইন্ডাস্টি্রয়াল কানেকশান বন্ধ করে অক্সিজেনের সরবরাহ যাতে ঠিক মতো থাকে সে ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে।
আদালত বলেন, অক্সিজেন নিয়ে আমাদের দেশের সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, এখনও এ ধরনের ক্রাইসিস হয়নি। আপনারা জনস্বার্থের মামলা নিয়ে আসছেন এসব বিষয় নিয়ে। আপনারা জনগণকে সচেতন করেন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলতেছেন যে আপনি এক ডোজ নেন আর দুই ডোজ নেন, মাস্ক আপনাকেই পরতে হবে।
আদালত আরও বলেন, টেলিভিশনে দেখছি গতকালকে ঢাকা শহরে প্রত্যেকটা মার্কেটে যেভাবে লোক ছুটছে এবং কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সেটাও দেখাইছে। আপনারা জনগণকে সচেতন করেন যে কীভাবে চলতে হবে।
অক্সিজেনের বিষয়ে আদালত বলেন, সরকার হাসপাতালের অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন প্ল্যান্ট হচ্ছে। জেলার সদর হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সেন্ট্রাল লাইন নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সব জায়গায় হয়তো একই ধরনের অগ্রগতি নেই।
আইসিইউর বিষয়ে আদালত বলেন, মাঝখানে আইসিইউ নিয়ে কথা উঠেছে। সরকার আইসিইউ বেডের সংখ্য বৃদ্ধি করছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, একটা আইসিইউ চালাতে গেলে যে ধরনের ডাক্তার, টেকনিশিয়ান, নার্স প্রয়োজন হয়, এ ধরনের জনবলের অভাব আছে। এ ধরনের জনবল রাতারাতি বা ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করতে পারবেন না।
টিকা নিয়ে আদালত বলেন, সরকার আরও তিনটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে,