লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তামিম ইকবালের (১২) বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় তার চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা সাহাদাত হোসেনের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। জ্বালানি সচিব, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটক-শর্টফিল্ম-ওয়েব সিরিজ প্রচারে সেন্সর বোর্ড গঠনে রুল জারি
তামিম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিন মজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লীবিদ্যুতের অবহেলায় পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তামিম গুরুতর আহত হয়। দুই মাস ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন,তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বাম হাত পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে, ডান পায়ের দুটি আঙুলও কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর।
গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তামিমের মা আমেনা বেগম পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে তার সন্তান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে-এমন অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।