চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে মো. ফাহিম (২২) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ মো. রনি (১৭) নামের এক কিশোর ও তার বাবাকে আটক করেছে।
এদিন বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার পশ্চিম চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে রনিকে আটক করে পুলিশ।
নিহত ফাহিম পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পিঙ্গলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আটক রনি কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, লাখেরায় ভগ্নিপতির রড, সিমেন্ট, বালু ও বাঁশের দোকানে চাকরি করতেন ফাহিম। আর রনি পেশায় একজন মাঝি। শনিবার (১ অক্টোবর) বিকালে ফাহিমের ভগ্নিপতির দোকানের পাশে মোহাম্মদী খালে বাঁশের খুঁটিতে নৌকা বাঁধতে যায় রনি।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
এ সময় ফাহিম এসে রনিকে ওই জায়গায় নৌকা বাঁধতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনিকে আঘাত করে বসেন ফাহিম। বিষয়টি ওইদিন সন্ধ্যায়ই স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা হয়ে যায়। রনির চিকিৎসার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয় ফাহিমকে।
কিন্তু রবিবার দুপুরে ফাহিম দোকানে বসে থাকা অবস্থায় রনি এসে আগের দিন তাকে কেন মেরেছে জানতে চায়। একপর্যায়ে ফাহিমের বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় রনি। পরে ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে গ্রামের লোকজন রনির বাবা আবদুল মান্নানকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পুলিশ ইউপি থেকে রনির বাবাকে আটক করেছে।’ পরে রনিকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে আমরা রনিকে আটক করেছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।