বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ২৮নং ওয়ার্ড ফুলতলা এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
গুলিবিদ্ধ জুবায়ের হাসান জনি (২৬) ২৮নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও কাজলার ফুলতলা এলাকার আসলামের ছেলে।
আহত সুজন (২৮) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য। তার বাম হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত চাপাতির আঘাত রয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ জনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ড্রেজার চালু করা নিয়ে বেশ কদিন থেকেই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তারের সাথে স্থানীয়দের বিবাদ চলছিল। সকালে আমি এবং আমার কর্মী সুজনসহ আরও অনেকে ড্রেজার চেক করতে গেছি শুনে সাত্তার তার ছেলে টনি ও ডনিকে পিস্তল দিয়ে পাঠায়। তার সাথে আরও অন্তত ২০ জন এসে আমাদের মারধর করে। এরপর তারা আমাদের উদ্দেশে তিনটি গুলি ছোঁড়ে, যার একটি আমার পায়ে লাগে। এছাড়া সুজনকে ধারাল চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। এতে তার বাম হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত ঝুলে যায়।’
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ফুলতলা এলাকায় ড্রেজার নিয়ে একটি বিবাদের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন, তাদেরকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো গোলাগুলির ঘটনা শুনিনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।