রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে ওদের যে স্বীকৃতি ছিলো সেটা বাতিল হয়ে গেছে হাইকোর্টের রায়ে। এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন আছে। কাজেই প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে বলেছেন, বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে কোনো নির্বাহী আদেশ দেয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করবো এটা তাড়াতাড়ি শুনানি করার জন্য।’
জামায়াত থেকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটাতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেই দিয়েছেন। তারা ক্ষমা চান বা না চান তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে.. ভবিষ্যতেও চলবে।’
‘আর এই মুহূর্তে তারা মাফ না চাইলে অবস্থা দিনের পর দিন আরও খারাপ হবে। এটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছেন,’ যোগ করেন তিনি।
জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যে কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। যদি তাদের (রাজনৈতিক দলের) নিবন্ধন না থাকে তাহলে কিভাবে নির্বাচন করবেন?’
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনজীবী আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি করতে চায়, সেগুলোতো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি। সে সমস্ত রাজনীতি আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ গ্রহণ করেনা।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তিন বিচারপতির বিশেষ বৃহত্তর বেঞ্চের দু’জন নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে ছিলেন। অন্যজনের ছিল ভিন্নমত।
পাশাপাশি ওই রায়ের সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় হাইকোর্ট সরাসরি আপিল করার সনদ দেন। ওই দিনই জামায়াত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আপিল করে। যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।