বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শেবাচিমের পরিচালক ডা. মো, বাকির হোসেনের কাছে অফিস সহায়ক দিদারুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামকে ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক মারধরের ঘটনার অভিযোগ করেন হাসপাতালের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক গত ২৭ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে সেখানকার করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রয়েছেন। ২৮ জুন ওই হাসপাতালের দুই অফিস সহায়ক দিদারুল ও নুরুল ইসলাম নানা অযুহাতে একাধিকবার করোনা আক্রান্ত ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করে এবং তাকে উত্যক্ত করে। বিষয়টি তিনি তার সহকর্মীদের মুঠোফোনে জানান।
এদিকে ২৯ জুন রাতে দিদারুল ও নুরুল ইসলামকে হাবিবুর রহমান ছাত্রবাসে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম ও দিদারুল ইসলামের দাবি, তারা ভুলক্রমে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের রুমে ঢুকে পড়েছিলেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
তবে উত্যক্তের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন বলে দাবি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের।
কর্মচারীদের মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি মো. মোদাচ্ছের কবির।
তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।