রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মায় পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালকের লাশ ৪৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
নিহত চালক মারুফ হোসেন (৪৫) ঢাকার রামপুরা হাতিরঝিল এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মাকসুদুর রহমানের মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো চ-১৪-২৬০৮) চালক ছিলেন।
গত সোমবার মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক সৌদি আরব প্রবাসী মিজানুর রহমান রবিনকে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা নামিয়ে দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবি: বরিশালের ৪ ব্যবসায়ীর দাফন সম্পন্ন
দৌলতদিয়া বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়ার বাবলু শেখ ওরফে বাবলু মিস্ত্রি জানান, সকাল ৭টার দিকে নদীর কিনার দিয়ে হাটার সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবগত করেন। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ-পুলিশের দল ঘটনাস্থল থেকে পদ্মা নদীর কিনারে উপর হয়ে পড়ে থাকা লাশটি উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস ফরিদপুর ইউটিনের ওয়ার হাইস ইন্সেপেক্টর তানভির আলম বলেন, আমরা ফেরি ঘাট এলাকায় ঈদের ডিউটি করছি। এমন সময় লাশের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোন্নাফ আলী বলেন, লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এখন আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবি: বোট মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আজিজুল হক জানান, পরিবার থেকে কোনও অভিযোগ না থাকলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে লাশটি বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপাজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের তাড় ছিড়ে পন্টুনসহ মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর মাইক্রোবাস উদ্ধার হলেও চালক মারুফ হোসেন (৪৫) নিখোঁজ ছিল।