চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকি মন্ডল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের দু'জনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুক্রবার সকালে তাদের দু'জনকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে বগুড়ায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার
স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, জীবননগর উপজেলার হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক রকি মন্ডল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক সাহাজুল ইসলাম বুধবার রাতে হাসাদহ গ্রামের শরিফুল ইসলাম, সজল, শফি এবং রানা নামের চার যুবককে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করেন। পরে আটককৃতদেরকে হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে খবর দেয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে ওই চার যুবককে ছেড়ে দেয় পুলিশের ওই দু'কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাজেকে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস খাদে, পুলিশ সদস্যসহ আহত ১২
আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এক পর্যায়ে ওই এলাকায় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এ কারণে আটকৃকত যুবকদের নিকট থেকে নেয়া ২০ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে ফেরত দেয় ওই দু'পুলিশ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি পুলিশের ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের দু’জনকেই হাসাদাহ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, হাসাদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকি মন্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে তাদেরকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ, আটক ৭
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পেশাদার পুলিশের ট্রেনিং নিয়ে অপেশাদার কাজ করায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।