সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনাও শেষ হয়েছে। সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ ভোট।
শনিবার সিলেট-৩ আসনের তিনটি উপজেলার সকল ভোটকেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৩০৯টি।
আরও পড়ুন: সিলেট ৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে ৬৫ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) ১৪৯টি কেন্দ্রে সকাল আটটায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন চান আইভি
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ উপনির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান তিনি।
শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রই ছিল ভোটারশূন্য। দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষের সময়ও ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি।
এ আসনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। কেউ কেউ ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি হলেও এ পদ্ধতিতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেট ৩ আসনে উপনির্বাচনে চার প্রার্থী চূড়ান্ত, প্রতীক বরাদ্দ আজ
সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।