শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের এক যৌথ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি গত ২৩ জুন উদ্বোধনের পর এই প্রথমবারের মতো সেখানে দলের সভা অনুষ্ঠিত হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, মহান নেতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সরকার ও দল বিপুল আয়োজনের মাধ্যমে জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করতে চায়।
তিনি জানান, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে যুক্ত করে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেয়া হবে।
জন্ম শতবার্ষিকী পালনে সরকারি কর্মসূচির পরিকল্পনা তৈরির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, উৎসব উপলক্ষে ২০২০ সাল জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রচনা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণীর মতো নানা কর্মসূচি চলবে এবং ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
দলের নেতাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, মহান নেতা যাদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন সেসব দরিদ্র ও পীড়িত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে নেতার রক্তের ঋণ শোধ করতে চায় দলের নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল তার ওপর ভিত্তি করে ১৪ খণ্ডে বই প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের ৪৭টি ফাইলের ৪০ হাজার পৃষ্ঠা সম্পাদনা করে ৯ হাজার পৃষ্ঠার বই করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম খণ্ডটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া, কয়েক খণ্ডে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারকার্য এবং ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফর নিয়ে বই প্রকাশ করা হবে।