বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার বলেন, ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টনের অপরাধগুলো এতটাই বিদ্বেষপূর্ণ যে কারাগারে আজীবন তাকে এর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
ব্রেন্টনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কাজটি ছিল খুবই অমানবিক, আপনি বাবার পা জড়িয়ে থাকা একটি তিন বছরের শিশুকেও ইচ্ছাকৃতভাবে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছেন।’
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় মসজিদে হত্যাযজ্ঞ চালানোর ওই দৃশ্য নিজের শরীরে বাঁধা ক্যামেরার মাধ্যমে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছিলেন উগ্রবাদী ব্রেন্টন, যা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়।
মামলায় দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছিল ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে। আদালতে সব দায় স্বীকার করে নেন তিনি।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদের পর তৃতীয় আরেকটি মসজিদে হামলা চালানোর পরিকল্পনাও তার ছিল। মসজিদগুলো পুড়িয়ে দিয়ে ‘যত বেশি সম্ভব’ মানুষকে তিনি হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে মামলার বিচারে উঠে আসে।
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি ছিলেন। হামলায় আহত হয়েছিলেন আরও তিন বাংলাদেশি।