জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৬৬ হাজার ১২৭ জন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩ হাজার ৪৮ জনে।
পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫ ব্যক্তি।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ১১৮ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২৬ হাজার ৬১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
যক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং যুক্তরাজ্য।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৯ লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০২ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটির সরকার ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী- দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৬ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
এদিকে বাংলাদেশে নতুন করে এক হাজার ৩৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা পৌঁছেছে চার লাখ এক হাজার ৫৮৬ জনে। এছাড়া, মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮৩৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৫৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৫৮ শতাংশ।
নতুন যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী ছয়জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, আরও এক হাজার ৫২৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯.২২ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।