মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কায়সারুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত মন্ত্রীকে শুক্রবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
করোনায় আক্রান্ত হলেও মন্ত্রী শারিরীকভাবে সুস্থ আছেন জানিয়ে কায়সার বলেন, ‘দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন মন্ত্রী।’
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত এক প্রতিমন্ত্রী মারা গেলেও অনেকেই ইতোমধ্যে মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন।
গত ১৩ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে এবং তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের যথাক্রমে ১৬ সেপ্টেম্বর ও ১২ আগস্ট কোভিড-১৯ ধরা পড়ে।
কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠে গত ২০ আগস্ট সিএমএইচ ত্যাগ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী।
গত ১ জুলাই পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং ১৮ জুলাই রির্পোটে নেগেটিভ হন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন গত ১৭ জুন।
গত ১৪ জুন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে মারা যান ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
১২ জুন কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হকের।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ জুন।
দেশের করোনা পরিস্থিতি
এদিকে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৩ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২৭ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫০৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৭.৮৯ শতাংশ।
করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৭৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২১ লাখ ৪০ হাজার ১২৯টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.২৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৮.০৪ শতাংশ।
নতুন যে ১৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন এবং নারী দুইজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩২৭ জন বা ৭৬.৯৫ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২৯৬ জন বা ২৩.০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
গত ২৬ আগস্ট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয় এবং ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়।