রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমীন এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
একই সাথে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ মে সকাল ১০টার দিকে তিন বছরের শিশু সন্তান তানভীরকে বাড়িতে রেখে তার মা কমলা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যান। এ সময় চাচি চায়না বেগম শত্রুতার জের ধরে তানভীরকে লুকিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশের কালীগঙ্গা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলেরা দেখে ফেললে চায়না বেগম পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:হত্যার দায়ে ফেনী ও পিরোজপুরে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্থানীয়দের কাছ থেকে পরে খবর পেয় পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড়ি ফিরে কমলা বেগম প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তার শিশু সন্তান হাসপাতালে। পরে হাসপাতালে গিয়ে তিনি ছেলেকে মৃত অবস্থায় পান।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
ওই দিন কমলা বেগম বাদী হয়ে চায়না বেগমকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে চায়নাকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর চায়নাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্যশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর রবিবার আসামির উপস্থিতিতে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন:নীলফামারীতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে সন্তষ্টি জানিয়েছেন শিশু তানভীরের মা-বাবা।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা, নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীতে বউ-ছেলেকে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়ে নিহত