%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
দেশের কিছু নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এই সতর্ক বার্তা বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্য হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করছে। মানুষের এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বন্ধে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায়ই দেখা যায়, অনেকে অতিউৎসাহী হয়ে বন্য হাতির দলের একেবারে কাছে চলে যায়, ফলে হাতির আক্রমণের শিকার হয়। এ ধরনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু এড়াতে মানুষকে অপ্রয়োজনে বন্য হাতির নিকটে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
এ বিষয়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে হবে। জনগণকে বন্য হাতির কাছ থেকে দূরে রাখার বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বন্য হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে জনগণকে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বন্য হাতির খাদ্য হিসেবে কলাগাছসহ অন্যান্য গাছ রোপণ করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব(পদুনি) মিজানুর রহমান এনডিসি, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
বৃষ্টি সত্ত্বেও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১০ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান সপ্তম।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ৩০৩, ১৭৯ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' অতিক্রম করায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস 'মাঝারি'
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
এতে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরের রাজারহাটে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুরের ডিমলায় সর্বোচ্চ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমা লঘুচাপের একটি নিম্নচাপ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৩০মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান তৃতীয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং চীনের চেংদু যথাক্রমে ১৯৭, ১৮৯ এবং ১৬৫ একিউআই নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' অতিক্রম করায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস 'মাঝারি'
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় মোখায় প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং ১০ হাজারের বেশি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছে।
সোমবার তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে, তখন সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার ও টেকনাফে ৮০ কিলোমিটার।
মোখার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে এনামুর বলেন, অনেক গাছ উপড়ে গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করার ঘোষণার পর যারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তাদের দেখভাল করছে স্থানীয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন এবং নগদ টাকা দিতে বলেছি। একটি তালিকা তৈরি করা হবে, ওই তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোখায় ফসল, মৎস্য, বিদ্যুৎ ও সড়ক খাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিরূপণ করবে।
রাস্তায় পড়ে থাকা গাছগুলোর জন্য যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিলো সেগুলো ইতোমধ্যে সরানো হয়েছে। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও এখন সচল আছে।
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' অতিক্রম করায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস 'মাঝারি'
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' গতকাল অতিক্রম করার পর সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি' অবস্থায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৪ নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় ১৭তম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, চীনের বেইজিং এবং চেংদু যথাক্রমে ১৭২, ১৬২ এবং ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই 'অস্বাস্থ্যকর' হিসাবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান রবিবার (১৪ মে) বিকালে জানান,কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ক্ষতি হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। আরও কোথায় কোথায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরবর্তিতে চূড়ান্তভাবে জানানো হবে।
তিনি বলেন, মোখার তাণ্ডব থেমে গেছে । সিগন্যাল কমে এলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আড়াই লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে রবিবার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে সন্ধ্যার আগেই এর প্রভাব কমে যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা সামান্য দুর্বল হয়ে পড়েছে, মিয়ানামারের স্থলভাগে অবস্থান করছে: বিএমডি
ঘূর্ণিঝড় মোখা সামান্য দুর্বল হয়ে পড়েছে, মিয়ানামারের স্থলভাগে অবস্থান করছে: বিএমডি
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রবিবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিএমডি'র সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, 'ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র রবিবার বিকাল ৩টায় কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগে অবস্থান করছে, তবে পুরো ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।’
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কারণে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনে ১০০ কিমি. বেগে বাতাস বইছে
এদিকে, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ৩ জন নিহত
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন, শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় সাময়িকভাবে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
রবিবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
কৃষি সচিব বলেন, উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুন: হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
জানান হয়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০-৩৫% পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬- থেকে ২৮ লাখ টন।
সভায় আরও জানান হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮-৩০ টাকা। গতবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল।
দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ছিল, ৩০-৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল।
সেজন্য, পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এবছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: হিলিতে আমদানি বন্ধের অজুহাতে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের