পরিবেশ-ও-কৃষি
টানা চতুর্থ দিন ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ২৩২ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
গত ৩ দিন সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল। ১০, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৬৩, ২৫৭ ও ২৮৬।
ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬৯, ২৩৫ ও ২১১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে
ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সরকারের পাটবান্ধব নীতির কল্যাণে বিগত ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে ৫১ লাখ বেল পাট উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাট গবেষণায় জিনোম সেন্টারের সাফল্য ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৯ সালে পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং এর কার্যক্রম শুরু করেন এবং জিনোম সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে ২০১০ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়।
তিনি বলেন, জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে দেশে চাষ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর দেশের মাটিও পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাজেই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পাটের উৎপাদন আরও বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এলক্ষ্যে গবেষণায় আরও মনোযোগী হতে হবে এবং জিনোম সিকুয়েন্সিং ল্যাবের পুরোপুরি ব্যবহারে আপনাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। চাহিদার সিংহভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বজুড়ে নানা কাজে ‘মেটাল নেটিং’ বা পলিমার থেকে তৈরি সিনথেটিক জিওটেক্সটাইলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও উৎকৃষ্ট জুট জিওটেক্সটাইলের কদর বাড়ছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে পাটকাঠির কালো ছাই বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলে রপ্তানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৮৬ স্কোর নিয়ে সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে ঢাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২৫৭।
এই উদ্বেগজনক অবস্থাটি নগরীর বাসিন্দাদের সামনে মারাত্মক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে। একই সঙ্গে বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬৯, ২৪০ এবং ২১১ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই অবস্থান করছে। এই সূচকটি দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি বড় শহরে ব্যাপক বায়ু মানের সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে বাংলাদেশ-ফ্রান্সের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে আনতে বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স।
রবিবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ফরাসি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে দুই দেশ । বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার ও টেকসই পরিবেশগত চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন ডুয়ার এবং ফ্রান্সের জলবায়ু পরিবর্তন সমঝোতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ক্রৌজাত সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন, অভিযোজন কৌশল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগসহ সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়। স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও সম্পদ বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী সাবের হোসেন ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষায় সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ফ্রান্সের জলবায়ুবিষয়ক দূত।
উদ্ভাবনমূলক সমাধান বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
উভয় পক্ষ যৌথ প্রকল্প, জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি ও নীতি সংলাপের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
তারা জলবায়ু কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে উচ্চাশার পক্ষে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য সহায়তা জোগাড় করতে সিওপি বৈঠকসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার অভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে বৈঠকে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার সিসিলিয়া কর্টেজের মেথিল্ডে বোর্ড লরানস, ক্রিস্টোফ বাফেট, প্যাট্রিক ব্লিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৪ ইটভাটা বন্ধ
ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে
ঢাকার বাতাসের মান আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টায় ২৫৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা।
ভারতের কলকাতা ও দিল্লি এবং চীনের উহান যথাক্রমে ২১৮, ২১৭ ও ১৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে শুক্রবার সকালে বিশ্বে ঢাকা ষষ্ঠ
বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনডিপির প্রচারাভিযান
টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য টেকসই অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) সেন্টার ফর স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি সেন্টার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের অবকাঠামোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে আমাদের উদ্ভাবন অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নকশা এবং টেকসই অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট উপকরণ এবং প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণায় জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে বেস্ট প্রকল্পকে সফল করতে পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী। স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে টেকসই অবকাঠামো সমাধানে গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এ সময় মন্ত্রী সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এলজিডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। বক্তব্য রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান, প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি, একাডেমিয়া, শিল্প ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে সৌদি আরবের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ২৬৩ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
চীনের শেনিয়াং, ভারতের দিল্লি ও চীনের সাংহাই যথাক্রমে ৬৩০, ৩২৬ ও ২২০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনডিপির প্রচারাভিযান
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে শুক্রবার সকালে বিশ্বে ঢাকা ষষ্ঠ
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় পঞ্চম
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৪ ইটভাটা বন্ধ
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে বায়ু দূষণের অভিযোগে চারটি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা কার্যালয়ের যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬৪ লাখ টাকা জরিমানা করাসহ চারটি ইটভাটা বন্ধ করে দেয়।
এগুলো হলো- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁওয়ে নূর ব্রিকস, দেলোয়ার ট্রেডার্স ও ভাই ভাই ব্রিকস এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের জাজিরায় মৌসুমি ইট প্রস্তুতকারক।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
এর মধ্যে নূর ব্রিকসের চিমনি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর তিনটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ও প্রত্যেকটিকে ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে বেস্ট প্রকল্পকে সফল করতে পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ
বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনডিপির প্রচারাভিযান
গত কয়েকমাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসে দূষণের পরিমান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই অবস্থার উন্নয়নে ও সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ‘লেটস ব্রিদ ওয়েল: ক্লিন এয়ার ক্যাম্পেইন’ নামে একটা প্রচারাভিযান শুরু করেছে।
এই প্রচারাভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বায়ু দূষণ কমানো সম্পর্কে দেশের সবার মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বায়ু দূষণ বাংলাদেশের জন্য একটা গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং দুঃখজনকভাবে এই সমস্যা কেবল বেড়েই চলেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে ২০১৯ সালে দেশে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর দূষণের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ দেশের সার্বিক জিডিপির ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং আর্থিক ক্ষতিরও কারণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ‘নীল আকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ আন্তর্জাতিক এই দিন উপলক্ষে ইউএনডিপি ২০২৩ সালে 'ব্রিদ ওয়েল ঢাকা' শিরোনামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করে। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে ইউএনডিপি এই বছর সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ক্লাব গুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করবে।
দ্বিতীয় ধাপের প্রচারণার নাম 'লেটস ব্রিদ ওয়েল: ক্লিন এয়ার ক্যাম্পেইন ডিজাইন চ্যালেঞ্জ’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বায়ু দূষনের কারণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানানো এবং তাদের মাঝে এই সম্পর্কিত সতকর্তা গড়ে তোলা এই প্রচারাভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বায়ু দূষণ সম্পর্কে সারা দেশব্যাপী প্রচারাভিযান করাও এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-ইআরডি'র অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই
ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত মুহিত
বায়ু দূষণে শুক্রবার সকালে বিশ্বে ঢাকা ষষ্ঠ
ঢাকার বাতাসের মান আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ১৭৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
চীনের শেনিয়াং, ঘানার আকরা ও চীনের সাংহাই যথাক্রমে ২৪২, ২২০ ও ১৯৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় পঞ্চম
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাস দূষণে বিশ্বে চতুর্থ
আজ সকালেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'