পরিবেশ-ও-কৃষি
ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বইছে মৃদু-মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ: বিএমডি
ঢাকাসহ দেশের তিন বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ৬টা হতে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌযান সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে উত্তরাঞ্চলের মানুষদের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
দূষিত বাতাসের তালিকায় সোমবার বিশ্বে ‘চতুর্থ’ ঢাকা
দূষিত বাতাসের তালিকায় বিশ্বের ‘চতুর্থ’ অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। সোমবার(২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৯৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ঘানার আক্রা, ভারতের কলকাতা ও দিল্লি যথাক্রমে ২৯১, ২৪৫ ও ২২২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা সপ্তম
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ও কক্সবাজারের টেকনাফে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
এছাড়া, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে আরও বলা হয়- কুমিল্লা, সীতাকুণ্ড ও মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
রবিবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা সপ্তম
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯০ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, ঘানার আক্রা ও উগান্ডার কাম্পালা যথাক্রমে ৩১৬,২৬৭ ও ২২৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: চলমান ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশে উঠান বৈঠক করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এর অংশই হিসেবে প্রথম উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আমন ধান কাটার এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেন, কৃষকদের কাছে সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কী কী সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারও পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
এছাড়া, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: চলমান ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়- কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চলমান ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান আজ 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ সকাল ৯টা ০২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯১ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সারায়েভো, ভারতের দিল্লি ও ঘানার আক্রা যথাক্রমে ৩২৩, ২৪১ ও ২২৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগে হালকা বৃষ্টিসহ সারাদেশে থাকতে পারে কুয়াশা: বিএমডি
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে সমগ্র কুড়িগ্রাম। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতের কষ্টে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের মানুষজন।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
ঘন-কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের হোসেন আলী বলেন, ২২ দিন থাকি ঠান্ডা, কাজ কামাই করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমার গুলার (আমাদের) সমস্যা হইছে।
ওই এলাকার মোক্তার আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। অনেকদিন থাকি ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগে হালকা বৃষ্টিসহ সারাদেশে থাকতে পারে কুয়াশা: বিএমডি
চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের বাকি অংশে প্রধানত শুষ্ক পরিস্থিতি থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যেতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। এই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব অন্যান্য এলাকায়ও বিস্তৃত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ সারা দেশে ঘন কুয়াশা হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আজও বিশ্বে দূষণের তালিকায় শীর্ষে ঢাকার বাতাস
শুক্রবার সকাল ৮টায় একিউআই স্কোর ২৯৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসকে 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
ভারতের দিল্লি, কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভো যথাক্রমে ২৭৭, ২০৮, ২০৫ ও ১৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ সারা দেশে ঘন কুয়াশা হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর