পরিবেশ-ও-কৃষি
মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৮ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ৩৯৯, ৩৪৩ ও ১৮৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
শনিবার সকালে আবারও বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর (২০২৩-২৪) বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপির হার ৭৬ শতাংশ
এর আওতায় সারা দেশের ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনা পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
চলতি বছর এর আগে (গত মাসে) প্রথম ধাপে বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আদেশ জারি হয়েছে। এসব প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ চলছে।
সব মিলিয়ে দুই ধাপে বোরোতে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সোমবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৭ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর, ইরাকের বাগদাদ এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ৪৩৪, ৩৪৬, ২১২ এবং ১৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে আবারও বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
পাপুয়া নিউগিনির নিউ আয়ারল্যান্ডে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, নিউ আয়ারল্যান্ডের পাপুয়া নিউ গিনিতে রবিবার জিএমটি বা গ্রীনিচ মান সময় ০৪৫১ এ ৫ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল প্রাথমিকভাবে ৩ দশমিক ৬৩ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৫১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ায় ৫ মাত্রার ভূমিকম্প
জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৩ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান সকাল ৯টায় 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৭৯, ২০৯ এবং ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে আবারও বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
শনিবার সকালে আবারও বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
ঢাকার বাতাসের মান শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২০৮ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
ভারতের কলকাতা ও দিল্লি যথাক্রমে ২৪৭ এবং ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা: ইউএনইপি
বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২২৭ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভারতের কলকাতা ও পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ২৭৪ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা চতুর্থ
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’- প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রী ও সদস্যরা, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধার করা মহাবিপন্ন হাতির চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গণ্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সম্বর হরিণ, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি জানান, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য এক লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা: ইউএনইপি
পৃথিবীতে চলতি দশকে কয়লা, তেল ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা হ্রাস পাবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) এবং গবেষণা অংশীদারদের প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের প্রডাকশন গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের সরকারগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে ১১০ শতাংশ বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন করার পরিকল্পনা করেছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা বায়ুমণ্ডলীয় উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংরক্ষণ নীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা ব্রাজিলের
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসেন বলেন, 'জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন সম্প্রসারণের সরকারের পরিকল্পনা নেট-জিরো নির্গমন অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি রূপান্তরকে দুর্বল করছে এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
অ্যান্ডারসেন বলেন, পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর জ্বালানি দিয়ে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করাই জ্বালানি সংকটের অবসান ঘটানো এবং একই সঙ্গে নির্গমন কমানোর একমাত্র উপায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনার আগে ২০২৩ সালের প্রডাকশন গ্যাপ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ৩৫০ শতাংশ এবং ১৫০ শতাংশ। এটি ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উষ্ণতা সীমিত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সংকট ও বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের উপর চাপ উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে নতুন তেল ও গ্যাস অবকাঠামোতে বিনিয়োগের পরিকল্পনাকে উৎসাহিত করেছে। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার ন্যূনতম প্রচেষ্টাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে কয়লা, তেল ও গ্যাসের বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৪৬০, ২৯ ও ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন অর্জনের জন্য সরকারগুলোকে এখন থেকে শুরু হওয়া অন্যান্য জলবায়ু প্রশমন পদক্ষেপের পাশাপাশি সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী হ্রাসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে।’
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ও স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী প্লয় আচাকুলউইসুট জোর দিয়ে বলেন, মানবজাতির জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৌর ও বায়ুর মতো পরিচ্ছন্ন জাতগুলোতে দ্রুত স্থানান্তর জরুরিভাবে প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
বিরোধী দলগুলোর চলমান অবরোধের কারণে অন্যান্য সাধারণ দিনের তুলনায় গণপরিবহন চলাচল তুলনামূলকভাবে কম হলেও ঢাকার বাতাসের মান 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ২০৮ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ৪৬৩, ৪৫৮ এবং ২৩৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা চতুর্থ
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর