������������������-���-������������
দাম ভালো থাকলেও তাপদাহে চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের মিষ্টিকুমড়া চাষীরা
উত্তরের কৃষি প্রধান এবং কৃষিতে স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। আশেপাশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায় এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও সবজির চাষ হয় অনেক ভালো। মিষ্টিকুমড়ার চাষের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনা। এ জেলার মিষ্টিকুমড়া আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা রয়েছে সারা দেশব্যাপী।
তবে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া চাষ। দাম ভাল থাকলেও গাছের পাতা ও গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করায় আশাতীত ফলন নিয়ে ভাবছেন কৃষকেরা। চলমান তাপদাহে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার মিষ্টিকুমড়া কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর জেলায় মোট ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি। রবি জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শেষে বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। গত বছরে ১ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছিল। এ জেলায় প্রধানত দুই ধরনের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে রবি জাতের কুমড়া ইতোমধ্যে বাজারজাত হয়ে গেছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া খেতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া এলাকার সফল চাষি ময়নুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের শুরুর দিকে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি। এ মৌসুমে ৩০ একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছেন তিনি। আর প্রায় এক মাসের মধ্যে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি শুরু হবে। বর্তমানে বাজারে মণপ্রতি মিষ্টি কুমড়া সাতশ’ টাকা থেকে নয়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক মজিবর বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। গাছে ফুল এসেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে কিছু কিছু গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। আশা করছি, ফলন ভাল হলে ন্যায্য মূল্য পাব।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় মিষ্টিকুমড়ার ভাল ফলন হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। বাজারে দামও ভাল রয়েছে। কৃষকদের মাঝে চলমান তাপদাহ নিয়ে সৃষ্ট নানা সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
ঠাকুরগাঁওয়ে গমের আবাদ কমেছে, বেড়েছে ভুট্টা চাষ
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান তৃতীয়।
ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৯৮ ও ১৭২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দুইটি স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বুধবার সকালেও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বুধবার সকালেও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১২৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান অষ্টম।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও তাইওয়ানের কাওশিউং যথাক্রমে ১৮০, ১৬৯ ও ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে।’
এতে বরা হয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত নিম্নচাপটি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
৩ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা
ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩৫ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান ১০ম।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৭২, ১৬০ ও ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
এখন পর্যন্ত হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৫ ভাগ, মৌলভীবাজারে ৭০ ভাগ, হবিগঞ্জে ৬৭ ভাগ, সুনামগঞ্জে ৭৩ ভাগ, কিশোরগঞ্জে ৫৮ ভাগ, নেত্রকোণায় ৭৭ ভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭ ভাগ ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সাতটি জেলার হাওরে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর হাওর ও হাওরের বাইরে উঁচু জমি মিলে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।
সম্প্রতি ঈদের আগে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে এ বছর বোরো উৎপাদনে রেকর্ড হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার
শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এবার ধান কাটায় কোনো সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দুই কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টন চাল।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯০% বোরো ধান কাটা শেষ
দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ আট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রাজশাহী, পাবনা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, পটুয়াখালী ও ভোলা জলোসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। বুলেটিনে আরও বলা হয়,সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলা ও যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
ঢাকা এখন আর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর নয়। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির মধ্যে বাতাসের মান রবিবার সকালে ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ তাদের কাছের ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তাদের গ্রামের বাড়িতে গেছে।
সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯১ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ১৭তম স্থানে রয়েছে।
নেপালের কাঠমান্ডু, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ১৭০, ১৬০ এবং ১৪০ একিউআই স্কোরসহ তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে ঢাকা পঞ্চম
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে ঢাকা পঞ্চম
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৪ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান পঞ্চম।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, নেপালের কাঠমান্ডু ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ১৭৯, ১৬৮ ও ১৬৭ একিউআই স্কোরসহ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা পঞ্চম
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে ও জাপানে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চীন ও জাপানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ দেখে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভর্তুকি মূল্যে ৩টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেশার বিতরণ করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এখন আর কৃষকরা গরু দিয়ে হাল চাষ ও মাড়াই করেন না। তারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাল চাষ ও মাড়াই করছেন। এজন্য বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী হাকালুকি হাওরে কৃষকের উৎপাদিত বোরো ধান দেখতে যান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী