%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
তীব্র তাপপ্রবাহ: খুলনার হাসপাতালগুলোয় রোগীর বাড়তি চাপ, ব্যাহত চিকিৎসা
তীব্র তাপদাহের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সদর হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রোগীর ঠাঁই হচ্ছে না।
রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালগুলোর মেঝে, বারান্দা এমনকি সিড়িতেও অবস্থান নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় সঠিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না তারা।
একই অবস্থা খুলনা সিটি হাসপাতাল, গাজী হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও।
খানজাহান আলী থানার মীরের ডাঙ্গায় অবস্থিত সরকারি খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। হাসপাতালটিতে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ বা শিশু কনসালটেন্ট না থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন স্বজনদের।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ
অন্যদিকে, হাসপাতালটিতে ওষুধ ও স্যালাইনের পর্যাপ্ততা থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ জনবল সংকট এবং জরাজীর্ণতার কারণে বিভাগীয় এ সংক্রামণ ব্যাধি হাসপাতালটি থেকে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র তাপদাহের কারণে চলতি মাসের শুরু থেকেই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি বমি, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
চলতি মাসের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভর্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৩ শতাধিক। ভর্তি রোগী ছাড়াও প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতালে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক এসব রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র ২০টি শয্যা। এর মধ্যে ১০টি শয্যা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য বরাদ্দ থাকলেও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিজস্ব উদ্যোগে ১৪টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি শয্যাগুলো অন্যান্য সংক্রামক রোগীর জন্য বরাদ্দ।
পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড নেই। নেই কোনো ক্যাবিন ব্যবস্থা। একই ওয়ার্ডে পুরুষ ও নারীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগীর চাপ বেশি হলে ভর্তি ১৫ নম্বর রোগী থেকে পরবর্তী রোগীগুলোকে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু
প্রতিদিন শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সী ৪-৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও শিশু বিশেষজ্ঞ বা শিশু কনসালর্টেন্ট না থাকায় এ সব শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা বা পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বেড কিংবা কেবিনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরাও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালটি থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের স্বজনদের। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদেরকে শিশু হাসপাতাল কিংবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুঁটতে হচ্ছে।
খুলনা শিশু হাসপাতালে অবস্থা আরও করুণ। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রকীব ইউএনবিকে জানান, আগে প্রতিদিন বহিঃবিভাগে যেখানে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো এখন সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে ৭-৮ শত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশু হাসপাতালে ২৭৫টি শয্যা থাকলেও এখন রোগী রয়েছে দ্বিগুণ।
খুলনা শিশু হাসপাতালে বটিয়াঘাটা থেকে ৩ বছরের শিশু আনিকাকে নিয়ে আসা তার বাবা রহিম শেখ বলেন, ‘গরমে তার সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। সকাল ৮টায় এসেছি। এখনও ডাক্তার দেখাতে পারি নাই। বেশির ভাগ শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।’
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে। এদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
নাটোরে বাসের চাপায় ভ্যানচালক নিহত
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাসের চাপায় মোজাহার আলী (৩৬) নামে এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন একজন।
বৃহস্পতিবার (২৫) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিমুল আল রাজি বলেন, বেলা ১১টার দিকে ভ্যান চালক মোজাহার যাত্রী নিয়ে আগ্রান রোড ক্রসিংয়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল টোল মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি বাস ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যান চালকের।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহত যাত্রী নিমাজমকে (৪০) উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালক নিহত
নাটোরে ট্রাক ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে একজন নিহত
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা: মৃত্যু বেড়ে ৯
রাঙ্গামাটি জেলার সাজেকের উদয়পুরে ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে ঘটনাস্থলে ৫ জনসহ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৩ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল চৌধুরী দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে বুধবার এই ঘটনা ঘটে। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেলে এটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে- কিশোরগঞ্জের আব্দুল মোহন (১৬), গাজীপুরের টঙ্গীর সাগর (২২), কিশোরগঞ্জের বাবু (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ার অলিউল্লাহ (৩৫)।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
আহতরা হলেন- মো. লালন (১৮), আহির উদ্দিন (৪০) ও তার ছেলে সামিউল (১৯), মোবারক হোসেন (৩২), লালন (১৮) ও জাহিদ হাসান (২৪)।
আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাগর দেব।
আহত মো. লালন জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার উদয়পুরে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য একটি ডাম্প ট্রাকে করে তারা যাচ্ছিলেন। বড় একটি পাহাড় নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পরে যায়। গাড়িটিতে পাইলিং মেশিনসহ ১৫ জন ছিলেন।
খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আত্মীয়রা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাজেকের সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি-ভাঙচুর
বিজিপিসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠনের সংঘাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, ৪ জন সেনাসদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
পরে কোস্ট গার্ডদের একটি জাহাজে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন এর উদ্দেশে।
এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করেন।
সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
খাগড়াছড়িতে তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ
তীব্র তাপদাহে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নিম্নআয়ের যেসব মানুষকে বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে-সেখানে পানি, শরবত ইত্যাদি পান করে অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীও বেড়েছে খাগড়াছড়িতে।
বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ মৌসুমি রোগবালাই। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা মেলে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মেঝেতে রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে বহিঃবিভাগেও।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে একটি বেডে বিপরীতে ২ জনেরও বেশি শিশু। ইদানীং প্রতিনিয়ত জেলা আধুনিক হাসপাতালে ১৫ বেড থাকলেও চিকিৎসাধীন ৪০ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি বেডের বিপরীতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ২০২ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১ ২৯ জন রোগী আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ মাসে নিউমোনিয়ায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, আউটডোর ও ইনডোরে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছেও বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পোর্টালে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালনের জন্য এই প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে মনোযোগী হলে হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত; এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্ছনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।’
ধর্মমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান অনেকে। অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।’
সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনোরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদের অনুরোধ জানান ধর্মমন্ত্রী।
সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।
যশোরে ধর্মান্তরিত নারীর লাশ উদ্ধার
যশোরে খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার নামে ধর্মান্তরিত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক স্বামীকে আটত করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া বুকভরা বাওড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানা এলাকার ধানদিয়া কৃঞ্চনগর গ্রামের আজগর আলী সরদারের মেয়ে।
এদিকে খাদিজা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার দামোদার কাঠি গ্রামের মদনকুমার ভদ্রের ছেলে মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয় নামে তার সাবেক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে নিহত খাদিজা খাতুন এর কথিত স্বামী মৃন্ময় ভদ্র যশোর সদর উপজেলা চান্দুটিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মৃন্ময় ভদ্রকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত খাদিজা খাতুন একজন নৃত্যশিল্পী ছিল। ইতোপূর্বে সে ধর্মান্তরীত হয়ে এক হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছিল। পরে তার সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়।
পুলিশ জানায়, খাদিজাকে যশোরে ঘুড়তে নিয়ে এসে বুকভড়া বাওড়ে রাত ১১টার দিকে তাকে গলাটিপে হত্যা করে মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে বলে স্বীকার করে মৃন্ময়।
খাদিজার ভাঙ্গা মোবাইল দুইটি ও গ্রেপ্তার মৃন্ময়ের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল এবং একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান ওসি।
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালক নিহত
নাটোরের লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নাজিমুদ্দিন (৩০) নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশার এক চালক নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার তিলকপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজিমুদ্দিন পাবনা সদর উপজেলার জোত কলসি গ্রামের বাসিন্দা।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে নাটোরের লালপুরগামী পানির পাম্পবাহী সিএনজি অটোরিকশা লালপুরের তিলকপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পেছনে ঢুকে যায়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড় যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন চালক নাজিমুদ্দিন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়, সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফল ও জরিপে আমরা দেখেছি, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।
সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণসংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করব।
সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জমতে না দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব।
এছাড়াও মেয়র বুধবার গুলিস্তান মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. তাজুল ইসলাম জেলার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চুয়েটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। প্রতিবাদে ওইদিন বাসে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষাথীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।