%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
পঞ্চগড়ে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
পঞ্চগড় সদরে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০দিকে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ফিরোজ (৩০) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর তাঁতীপাড়া গ্রামের মো. ফেরদৌসের ছেলে। আহত সোহেল হোসেন (২০) একই গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জয়পুরহাট থেকে মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক তেঁতুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। পথে পঞ্চগড় সদরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় পিকআপের সঙ্গে তাদের বহন করা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ফিরোজ ও সোহেল আহত হন।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. উম্মে হুমায়রা ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর আহত সোহেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পিকআপের চালক পালিয়ে গেলেও পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তুষার কান্তি রায় ও পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সীতাকুণ্ডে ‘চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার শেখ পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ১৮ বছর। তবে তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই যুবক।
আরও পড়ুন: জগিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোরশেদ আলম জানান, সীতাকুণ্ড স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে রেললাইন থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেন থেকে পড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবননগরে ট্রেনের ধাক্কায় কৃষক নিহত
সিরাজগঞ্জে গ্রেপ্তার ১, পিস্তল-গুলি উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনার আতাইকুলা উপজেলার সাদুল্লাহপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে তার কাছে থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধারের দাবি করে র্যাব। শুক্রবার এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এই দাবি করে।
গ্রেপ্তার মো. শাহিদুল ইসলাম (৩২) পাবনার আতাইকুলা উপজেলার শ্রীকোল গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে মনুর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব-১২’র সহকারি পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনা আতাইকুলার সাদুল্লাহপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল একটি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০ বছর চালকের ছদ্মবেশে থাকা ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
তিনি দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগিয়ে অসাধারণ সাফল্য খুলনার চিকিৎসকদের
দুর্ঘটনায় কবজি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগিয়ে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন খুলনার চিকিৎসকরা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ আট ঘণ্টার অপারেশন শেষে এক ভারতীয় নাগরিকের বিচ্ছিন্ন হাত প্রতিস্থাপন করে এ সফলতা দেখান ডা. ওয়াইএম শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে ৯ সদস্যের সার্জন টিম।
এখন তার কেটে যাওয়া হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, খুলনায় এ ধরনের সফলতা এই প্রথম, দেশেও এমন সফলতা বিরল।
আরও পড়ুন: বরিশালে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ: ‘কারিগরের’ দুই হাত বিচ্ছিন্ন
জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন ভারতীয় নাগরিক মুন্না মাহোত। অন্য দিনের মতো গত ৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) কাজে যোগ দেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে ক্রেনে মাল পরিবহনের সময় ক্রেনের গ্লাস ডোর ভেঙে তার বাম হাতের কবজি বরাবর পরায় শরীর থেকে হাতটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাতের দিকে তাকিয়ে দেখেন ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে। চোখের সামনে পড়ে আছে বিচ্ছিন্ন হাত।
এরপরপরই তার সহকর্মীরা স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বিচ্ছিন্ন হাতটি একটি পলিব্যাগে বরফ দিয়ে ডুবিয়ে এক ঘণ্টা পর খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর অপারেশন শুরু করেন চিকিৎসকরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অপারেশন শেষে সফল হন চিকিৎসকরা। এমন চিকিৎসায় তার সহকর্মীরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুন্না মাহোত।
অপারেশনে সফলতা পেয়ে খুশি চিকিৎসক এ ওয়াই এম শহীদুল্লাহ। তিনি জানান, শিগগিরই মুন্না মাহোতের হাতের পুরো কার্যক্ষমতা ফিরে আসবে।
মুন্না মাহোত বর্তমানে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিউইতে ভর্তি আছেন।
সিলেটে শিশু হত্যা: মাকে আসামি করে বাবার মামলা
সিলেটে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে ১৭ মাস বয়সী শিশু সাবিহা হত্যার ঘটনায় মা নাজমিন আক্তারের (২৮) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় এই হত্যা মামলা করেন শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন।
বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহপরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
এদিকে নাজমিন আক্তার এখনও শাহপরান থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেন, তাকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য আমারা আদালতে তুলছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশুসন্তানকে হত্যা করে থানায় মায়ের আত্মসমর্পণ!এদিকে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। পরে মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। একই সময় নাজমিনের স্বামী সাব্বির হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমার বদলি এলাকার সাব্বির হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নারী আসামির মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হত্যা মামলার এক নারী আসামির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হালিমা খাতুন (৬৫) চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দীকের স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। কারাগারেই বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এসময় কারারক্ষীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জেলা কারাগারের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও সহকারি কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান মৃত্যুর সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পায়নি। তবে কারাগারের মেডিকেল অফিসারের দেয়া তথ্যমতে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু
ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের দাশুড়িয়া তেতুলতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক জাফর আলী (৩০) নামে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বাঘহাঁচলা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল চালক জাফর দাশুড়িয়ার দিক থেকে পাবনা অভিমুখে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক পাবনা থেকে দ্রুতগতিতে আসা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল জানান, নিহতের স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত
নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সেনাসদস্য হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমানের নেতৃত্বে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্পের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন উপজেলার থেকে আসা পাঁচ শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে বিক্ষোভকারীরা পার্বত্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযানসহ সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সন্তু লারমার জেএসএসসহ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ। সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় সার্বভৌমত্বই হুমকির মুখে। দিন দিন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চড়াও হচ্ছে। তাই পাহাড়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে কঠিন ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে।’
১৯৭১ সালের মতো আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ করে বৈষম্য দূর করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
বক্তারা অবিলম্বে পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, রাঙ্গামাটি জেলা পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সহ সভাপতি নাদিরুজ্জমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, জেলা নেতা কাজী মো. জালাল উদ্দিন জালোয়া, আবু বক্কর মোল্লা, হাবীব আজমসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মাথায় গুলি চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর টইল দলকে লক্ষ্য করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত হন। মো. ফিরোজ নামের এক সৈনিক আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমটি, তিনটি বন্দুক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মৌলভীবাজারে জেলা পরিষদের উদ্যোগে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষদের দেয়া জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের হাতে ওই সব কম্বল ও মাস্ক তুলে দেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের মাঝে চিত্রনায়িকা শাহানূরের কম্বল বিতরণ
জেলার ৬৭টি ইউনিয়নে জন্য সাত হাজার কম্বল ও দেড় লাখ মাস্ক বিতরণ করা হয়।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল মুহিত টুটু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক মিন্টু, জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দা জেরিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে বসতঘরে আগুনে লেগে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নের গার্ডের দোকান এলাকায় বাবুল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মুজিব (৪০) বাগানবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের চাচাত ভাই।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী কলেজছাত্রের মৃত্যু
বাগান বাজার ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সাজু জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা মানসিক প্রতিবন্ধী মুজিব ঘর থেকে বের হতে না পেরে আগুনে পুড়ে মারা যান।
খবর পেয়ে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম ও রামগড় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বিঘা জমির পান বরজ
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন।