%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ফরিদপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ২ ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে গেছে বলে জানা যায়।
ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার দিবাগত গভীর রাত (১টার দিকে) উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত (দিবাগত) একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ময়মনসিংহে বাসচাপায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সিএনজির ৩ যাত্রী নিহত
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার এদিকে ত্রিশালের উজানপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- রুদ্র গ্রামের শামীম আহমেদের মেয়ে রুবাইয়া তাসনিম (২), সিএনজিচালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সালমান আজাদী (২৭)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই বছরের এক শিশু রুবাইয়া তাসনিম এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সিএনজিচালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সালমান আজাদী মারা যান।
তিনি আরও বলেন, নিহত সালমানের বাড়ি বগুড়া বলে জানা গেছে। সিএনজিচালক শরিফুল উপজেলার চিকনা মনহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫) একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির ২ জন নিহত, আহত ৩
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক লিটন মিয়ার (১৯) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, বিএসএফের হেফাজতে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি যুবক লিটন চিকিৎসাধীন মারা যান। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্তে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুর্গাপুর সীমান্ত পিলার নম্বর ৯২৩ এর পাশ দিয়ে কয়েকজনসহ গরু আনার জন্য ভারতের প্রবেশ করেছিলেন লিটন। এ সময় ভারতীয় ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের রারথার বিওপি ক্যাম্পের টহলের সামনে পড়ে যান তারা।
তাদের দেখে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে লিটন মিয়া গুলি বিদ্ধ হয়ে গরুতর আহত হন। বাকিরা পালাতে সক্ষম হন। আহত লিটনকে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
চাঁদপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির ২ জন নিহত, আহত ৩
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকায় মুরগি বহনকারী পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আবুল কাশেম ও আব্দুর রব নামে ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ আরও ৩ জন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে কালিয়াপাড়া-কচুয়া সড়কের বশিরউল্লাহ হাসপাতালের (প্রাইভেট) সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত আবুল কাশেম (৪৫) একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও আব্দুর রব (৫৫) কৃষক। উভয়ই শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের স্বর্ণকারপাড়ার বাসিন্দা।
গুরুতর আহতরা হলেন- আব্দুর রশিদ ও আশেক আলী। উভয়ই কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ও মাসনীগাছার বাসিন্দা। চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি প্রবাসী নিহত
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শিশির জানান, ইফতারের পর বৃষ্টি নামে। ওই মুহূর্তে কচুয়াগামী মুরগি বহনকারী পিকআপ উল্টো দিক থেকে অর্থাৎ কালিয়াপাড়ার দিকে আসা এ অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশার এক যাত্রী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরেকজন আব্দুর রবকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে মারা যান। অটোরিকশাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পিকআপের চালক পালিয়ে যান।
শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাতহতের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, নিহতদের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলিযুক্ত ৯ মণ চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরে অটোরিকশা-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে স্থানীয়রা লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে।
আটকরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের হরিলাল দাসের ছেলে ফুলবাবু রবি দাস (২৫) ও গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে আদিল আহমেদ পলক (১৯)।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নিজ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এদের মধ্যে ফুলবাবু রবি দাস সন্ধ্যা রানীর সৎ ভাই। ফুলবাবুকে নগরীর কর্ণহার মোল্লাপাড়া ও পলককে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে ফুলবাবুর স্ত্রী মনতি দাস (২২) পালাতক রয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, নির্মাণাধীন বাড়িটি এলাকার পিয়াস নামের এক ব্যক্তির। একসঙ্গে বাড়ির নিচতলা ও দোতলার কাজ চলছে। বাড়িটিতে এখনও কেউ থাকেন না।
তিনি আরও বলেন, দোতলার নির্মাণাধীন বাথরুমের ভেতরে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) টিম সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর লাশ মর্গে পাঠায়।
ওসি বলেন, গোগ্রাম এলাকায় ফুলবাবু রবিদাস, তার স্ত্রী ও বোন সন্ধ্যা রানী ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন। সন্ধ্যা রানীর সঙ্গে তার ভাবি ও সৎ ভাইয়ের ঝগড়া হয়। এরই জেরে সন্ধ্যা রানীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ে প্রথমে অচেতন করা হয়। পরে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয় বলে আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরে চালের আড়ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২৭মার্চ) রাত ১০টায় সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পোরশা থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: নওগাঁর নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত
তিনি আরও জানান, রাত ১০টায় সীমান্তের হাপানিয়া এলাকার ২৩৬নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পোরশা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক আল আমিন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
গোবর ফেলা নিয়ে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা থেকে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার(২৭ মার্চ) চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে হানিফ বড় ও অভিযুক্ত আনিছ মিয়া দ্বিতীয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হিমেল জানান, দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে গরুর গোবর ফেলে আসছে।
বুধবার দুপুরে গোবর ফেলা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মেজ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করলে টুকরোটি বাম চোখের ভেতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়।
আহতাবস্থায় হানিফ মিয়াকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিষ্কের আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।
চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মাদারীপুরে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনিতে হাতবোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত আরও দুইজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত মো. মোদাচ্ছের শিকদার রবিশালের মুলাদি উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মোছলেম শিকদারের ছেলে।
বুধবার(২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিডিখাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলা খান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, সকাল থেকে সিডিখান গ্রামের ইউনুছ সরদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বসে হাতবোমা বানাচ্ছিলেন মোদাচ্ছের হাওলাদারসহ তিন থেকে চারজন। দুপুরের দিকে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গুরুতর আহত হয় তিনজন। পরে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মোদাচ্ছেরের মৃত্যু হয়। আহত হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী নামে আরও দুইজন গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরিশালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, কোন কারণে তারা হাতবোমা তৈরি করছিলেন সে বিষয় এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার পরে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নবীনগরে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুকুরে ডুবে চাচাতো দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- মো. সামির মিয়ার মেয়ে সিজা মুনি (৫) ও আব্দুল আলিম মিয়ার মেয়ে তাকিয়া (৪)।
বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক জানান, বুধবার দুপুর ১২টায় বাড়ির পাশের একটি ফসলের মাঠে দুই বোন খেলতে যায়। সেখানে পাশে একটি পুকুরও ছিল। দুই বোন খেলার একপর্যায়ে পুকুরে গোসল করতে নামে। পরে দুইজনেই পানিতে ডুবে যায়। দীর্ঘক্ষণ শিশু দুটিকে দেখতে না পেয়ে স্বজনরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ওয়ান শুটার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দেশীয় ওয়ান শুটারগান ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে আলমডাঙ্গা লাল ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার সজিব হোসেন ওরফে ফজা (২৭) উপজেলার নওদা বন্ডবিল গ্রামের মণ্টু মন্ডলের ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা লালব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাউসপুর সাতকপাট নামক স্থানে একটি পরিত্যাক্ত ভবনে তল্লাশি চালিয়ে দেশিয় তৈরি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্য ছিল সজিবের।
তিনি খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর, ঝিনাইদহ সদর ও আলমডাঙ্গা থানায় মোট ১০টি মামলা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে তাকে নতুন করে আরও একটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।