সারাদেশ
নাটোরের করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে তৎপর পুলিশ
নাটোরে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে এই জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪৮ শতাংশেরও বেশি। এই অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: করোনা: ঠাকুরগাঁও সীমান্ত সিল, সংক্রমণ বেড়েছে
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অর্থাৎ আক্রান্তের হার ৪৮ শতাংশের বেশি।
তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: আইইডিসিআর
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে অবাধ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
করোনা: ঠাকুরগাঁও সীমান্ত সিল, সংক্রমণ বেড়েছে
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েকদিন থেকে করোনা শনাক্ত বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি। তবে করোনা মোকাবিলায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সমস্যায় পড়বে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঢেলে সাজালেও এখানে নেই আইসিইউ ব্যবস্থা। এই ইউনিটে ভেন্টিলেটর থাকলেও দক্ষ জনবল নেই। ফলে করোনা ইউনিট অবহেলায় পড়ে রয়েছে। অক্সিজেন প্লান স্থাপন হলেও পাঁচ মাসেও তা চালু হয়নি। এদিকে করোনার ভারতীয় ধরণ ঠেকাতে জেলার সীমান্ত সিলড করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে ১৪ দিন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জেলায় গত কয়েকদিনের সংক্রমণ পর্যালোচনায়, গত ২৮ মে করোনা কোন রোগী করোনা শনাক্ত হয়নি। ২৯ মে তিন জন, ৩০ মে সাত জন (বালিয়াডাঙ্গীতে পাঁচ জন), ৩১ মে আট জন (বালিয়াডাঙ্গীতে ছয় জন), ১ জুন বালিয়াডাঙ্গীতে একজন ও ২ জুন তারিখে এক লাফে ১৭ জনের (বালিয়াডাঙ্গীতে ৪ জন) করোন শনাক্ত হয়েছে।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে এখনো রোগীদের মধ্যে ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়নি। তবু শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাকসুদ জানান, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। টহল আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: আইইডিসিআর
জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর হাসপাতালে মাল্টি সিলিন্ডার সিস্টেম আছে। পাঁচ মাস আগে ঘটা করে লিকুইড (তরল) অক্সিজেন প্লান স্থাপন করা হয়েছে। তবে আজো এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে জুন মাসের মধ্যে এটি চালু হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু রেমডিসিভির ইনজেকশন রোগীদের কিনতে হচ্ছে ।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, হাসপাতালে এই মুহূর্তে আইসিইউ থাকাটা অপরিহার্য। সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটর আছে, কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে চালু করা যায়নি ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে আরও ১৪ দিন
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন জেলায় মহামারী আকারে বিস্তার ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সেও আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ১৭০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৭০ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ
নাটোর, ০৩ জুন (ইউএনবি)-নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শাহানুর বেগম (৩০) নামে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শাশুড়ি রশেনা বেগম ও দেবর আব্দুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে বুধবার রাতে হত্যার এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ৮ দিনের শিশুকে হত্যার অভিযোগ মা আটক
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে পরিবারের সবাই এলাকার একটি গ্রামীণ গানের অনুষ্ঠান দেখতে যায়। এসময় অন্তঃসত্বা গৃহবধূ শাহানুর বেগম নিজ ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাই বাড়ি ফিরে শাহানুরের গলা ও হাত পয়ের রগ কাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
ওসি জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সিআইডির ক্রাইসিন ইউনিয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আলামত ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
স্মার্ট ফোন না পেয়ে কুড়িগ্রাম স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রানা মিয়া (১৫) কিশোর ফুলবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও ওই এলাকার দিনমজুর নাছির উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল না পেয়ে মাগুরায় মাদরাসা ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত কিশোর কিছুদিন ধরে তার দরিদ্র বাবা-মায়ের কাছে একটি স্মার্ট ফোন কিনে দেবার জন্য আবদার করে আসছিল। দরিদ্র দিনমজুর পরিবারটি স্মার্ট ফোন তার দাবী পূরণে অপরাগতা প্রকাশ করে। এতে করে মনের দুঃখে রানা মিয়া বুধবার রাতে পরিবারের অজান্তে নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে ফুলবাড়ি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে এমবি কেনার টাকা না দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জনান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে নিহত কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের ‘আত্মহত্যা’
টিকটক-লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
টিকটক ও লাইকি ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে সিলেটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার আসামিরা হলেন, গোলাপগঞ্জ থানার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে টিকটকম অভিনেতা মো. জুবের আহমদ ফান্নি ও টিলাগড়ের অভিনেত্রী লিজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের সোনিয়া আক্তার (ছদ্ম নাম) বেশ কিছুদিন যাবৎ লাইকি টিকটকের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। গত প্রায় মাস খানেক আগে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে বসবাসরত লাইকি অভিনেতা লিজা নামক এক মেয়ের সাথে সোনিয়ার পরিচয় হয়। লিজার মাধ্যমে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী ৮৩/এ এর বাসিন্দা আব্দুল লতীফের ছেলে জুবের আহমেদ ফান্নির সাথে সোনিয়ার পরিচয় ঘটে। গত ঈদের পরবর্তী সময়ে জাফলংয়ে লাইকিতে শুটিংয়ের জন্য লিজা সোনিয়াকে প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সোনিয়া তার বাবার সাথে শেয়ার করলে সোনিয়ার বাবা লিজার সাথে ফোনে কথা বলে মেয়েকে অভিনয়ের জন্য যাওয়ার অনুমতি দেন।
গত ১৯ মে সোনিয়ার এক আত্মীয়ের বিশ্বনাথের বাসা হতে ফান্নি ও লিজা তাকে একটি সিএনজিতে করে নিয়ে আসে। সিলেটে আসার পরে শাহপরান থানাধীন লামাপাড়া এলাকায় মোহিনী ৮৩/এ বাসার যায় তারা।
লিজা সোনিয়াকে ওই বাসায় রেখে পোশাক পরিবর্তন করার কথা বলে চলে যায়। এরপর ফান্নি সোনিয়াকে নাস্তা ও কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয়। সোনিয়া তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে বান্ধবী লিজা ও তার বাবাকে ফোন দেয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষক তার ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রচুর মারধর করে। এক পর্যায়ে ফান্নি সোনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে সোনিয়া ওই ঘটনা কারো কাছে যাতে না বলে সেই বিষয়ে ফান্নি সতর্ক করে হুমকি দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় সোনিয়াকে বিশ্বনাথে সেই আত্মীয়র বাসায় সামনে নামিয়ে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সেখান থেকে সোনিয়াকে বাড়িতে নেয়া হলে বিস্তারিত জেনে প্রথমে সিলেট র্যা ব-৯ ও পরবর্তীতে শাহপরান থানার সহায়তা নেন ভোক্তভোগীর বাবা।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সোনিয়াকে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করে চিকিৎসা শেষে শাহরান (রহঃ) থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফান্নির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন সিংহ বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশের পক্ষ হতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সকল ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খুলনায় এক উপজেলা ও তিন থানায় ৭ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’
খুলনার রূপসা উপজেলা ও খুলনা মহানগরীর তিনটি থানা এলাকায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনায় সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনসমাগমের স্থানসমূহ বিবেচনায় নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল দোকান এবং জনসমাবেশের স্থান ৪ জুন থেকে আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
রূপসা উপজেলাসহ খুলনা মহানগরীতে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, হোটেলগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং যত্রতত্র একাধিক লোকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে।
এসময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সভায় সিটি মেয়র বলেন, 'সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে খুলনার স্বাস্থ্যবিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ধ্যার পর একাধিক লোকের জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।'
তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সর্বক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মসজিদের ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিতে খুলনা বিভাগ
উল্লেখ্য, রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। এছাড়া খুলনা মহানগরীর সদরে সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭। তবে অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে ৭ দিনের লকডাউন
এছাড়া খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কয়রায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কয়রা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার মানুষগুলো এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন নি। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের অভাবে দুর্ভোগ বাড়ছেই। ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগব্যাধি।
এছাড়া গবাদিপশুর একমাত্র খাদ্য খড় পানিতে পচন ধরেছে, আবার কোথায়ও জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। এ কারণে গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ লোনা পানির ভিতর বন্দী অবস্থায় রয়েছেন, কেউ কেউ ঘরবাড়িসহ সর্বস্ব হারিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। বিশেষ করে মাছের ঘের, খামার, উঠতি ফসল, ব্যবসা হারিয়ে তারা কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফলে অনেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ করে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত দেখতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়রা পাউবোর ১৩/১৪-১ ও ১৩/১৪-২ নম্বর পোল্ডারের (চারদিকে নদীবেষ্টিত দ্বীপ অঞ্চল) অন্তর্ভুক্ত। এর পূর্ব পাশে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শাকবাড়িয়া নদী, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কপোতাক্ষ ও উত্তর পাশে রয়েছে কয়রা নদী। উপজেলা খুলনার হলেও এলাকাটি পাউবোর সাতক্ষীরার অন্তর্ভুক্ত। ২৬ মে (বুধবার) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কয়রা, কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর পানি জোয়ারে ৬ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পায়। এতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১১টি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং উপচে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। বাড়িঘরে জোয়ারের পানি ঢোকায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া নদীর গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নেয়া কুলসুম বেগম বলেন, ‘ভালো কুরি (করে) বাঁধ মেরামত না করায় এট্টু (একটু) জোয়ার হুলিই (হলেই) আমরা ডুবি। ঘর ছাইরে (ছেড়ে) বাঁধে আইসে (এসে) উঠি। আমাগে খাবার নেই। লবণ পানি খাতি (খেতে) পারি না। শরীল (শরীর) গতর ভালো না। কষ্টে মানসির (মানুষের) মুখ হাড়ির তোলা (হাড়ির তলা) কুরি (করে) রাখছে’।
তিনি বলেন, 'গাঙ বাড়ে (নদীর পাড়ে) যাগে (যাদের) বাড়ি সুন্দিবেলা (সন্ধ্যাবেলা) হলেই তাগে (তাদের) ছাবাল (ছেলে) ম্যাইয়ে (মেয়ে) লইয়ে (নিয়ে) চিন্তায় পড়ে যায়। জোয়ারে হুলি যদি আবারও ডুইবে যায়।'
দুই নম্বর বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের কলেজছাত্র আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ওষুধের অভাবে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই। বাঁধ ভেঙে এ ইউনিয়েনের গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে জোয়ারের পানি নেমে গেলেও অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলোতে এখনও হাঁটুপানি রয়েছে। তবে, পানিবন্দি এলাকাগুলোতে নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের কেউ এখনও কোনো সরকারিভাবে ত্রাণ পায়নি। কিছু এনজিও বিশুদ্ধ পানি দিয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের এখানে দুই জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙেছিল। এক জায়গায় রিংবাঁধ হয়ে গেছে। এক জায়গায় হয়নি। শাকবাড়িয়া নদীর গাতিরঘেরী বাঁধের ভাঙন এখনও ঠিক হয়নি। আংটিহারা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসী ঠিক করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার মানুষ ওয়াপদার বেড়িবাঁধে রয়েছে। কয়েকটি পরিবার সাইক্লোন সেন্টারে রয়েছে। এলাকার মানুষ ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।'
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: খুলনা উপকূলে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
গোবিন্দপুর আব্দুল জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন সেন্টারে থাকা ইকবাল বলেন, মিষ্টি পানি ও খাবারের অভাব রয়েছে। অনেকবার দাবি করার পর মেডিকেল টিম এখন নিয়মিত আসছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মহারাজপুর, বাগালী ও উত্তর বেদকাশী তিনটা ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামে এখনও পানি রয়েছে। সবাই পানিবন্দি রয়েছেন। প্রত্যেক ইউনিয়নে দুই-আড়াই টন চাল দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকা ও শুকনা খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়েছে। আরও ৫টন চাল এসেছে নগদ টাকাও এসেছে। যা পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
বাঁধ মেরামত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়রায় ১২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ প্রকল্প একসঙ্গে তো বাস্তবায়ন হবে না। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কিছু চলমান রয়েছে। এছাড়া কিছু প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে।
নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন
নওগাঁয় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভা এলাকায় সাত দিনের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। একইসাথে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাতেও সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী সাতদিন এই বিশেষ লকডাউন বলবৎ থাকবে। এই প্রেক্ষিতে ১৫টি বিধি নিষেধ আরোপ করে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার দুপুর ২ টার দিকে নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হারুণ-অর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
হারুণ অর রশিদ জানান, সম্প্রতি নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সদর উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকা সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসাথে নিয়ামতপুর উপজেলাতেও সর্বাত্মক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
চলমান লকডাউনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করোনা শনাক্ত ১৯৬
তিনি জানান, লকডাউন ঘোষিত এলাকায় সকল ধরনের জরুরি পরিসেবা ও পণ্যবাহী পরিবহন চালু থাকবে।
এসময় নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অবশেষে বরিশালে কলেজছাত্রী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীকে তার স্বামী সাকিব হোসেন হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়ায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ও গৌরনদীর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনদিনের মাথায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে নাজনীন আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে কলেজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভূয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করে সাকিব।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে সাকিব। ওইদিন স্বামীর দারিদ্রতা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে নাজনীনকে হত্যা করে লাশটি বাসার পাশে সেফটিক ট্যাকিংতে ফেলে দেয় সে। দুদিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করে তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় পর সেই অনুযায়ী গত তিন দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
সাকিব হাওলাদার জানায়, নিজেকে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে নাজনীনকে বিয়ে করেছিল সে (সাকিব)। ২৪ মে স্ত্রী নাজনীনকে নিয়ে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। সেখানে এসে স্ত্রী নাজনিন জানতে পারে তার বাবা আব্দুল করিম পেশায় ভ্যান চালক। আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। এসময় সাকিবের কাছে নাজনীন এসব কথা গোপন করার কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সে নাজনীনের গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে নাজনিনকে হত্যা করে।
সোমবার সাকিবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার বাটাজোরের হরহর গ্রামে সাকিবের বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসা সহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ভাড়া বাড়ির সেফটিক ট্যাকিং থেকে একটি ওড়না এবং একটি নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার হয়। তবে তার লাশ উদ্ধার হয়নি। তৃতীয় দিনের গৌরনদী থানা পুলিশের অভিযানে নাজনীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বদ্ধ ঘর থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা সেটা নাজনীনের লাশ। নাজনীনের বাবা-মাকে বরিশালে আসতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
সাতক্ষীরার ৮ দিনের শিশুকে হত্যার অভিযোগ মা আটক
সাতক্ষীরা জেলার তালায় আট দিনের শিশু কন্যাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা শ্যামলী ঘোষের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার ভোরে তালার রায়পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক শ্যামলী ঘোষ তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শ্যামলী ঘোষের এর আগেও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভাব অনটনের সংসারে এরপর আবারও কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ায় মঙ্গলবার আট দিন বয়সী শিশু কন্যাকে সকলের অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। বাড়ির লোকজন সারাদিন শিশুটিকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির মা শ্যামলী ঘোষ রাতে বিভ্রান্তমূলক কথা বলতে থাকেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেন। এরপর রাত ১১ টার দিকে স্থানীয় লোকজন পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান এবং তালা থানা পুলিশে খবর দেন। বুধবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
শ্যামলী ঘোষের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে , তিন কন্যা সন্তানের পর আবারও কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ায় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী মানিক ঘোষ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় অভাবের তাড়নায় শ্যামলী ঘোষ কন্যা শিশুটিকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা শ্যামলী ঘোষকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।