সারাদেশ
সংসদ সদস্য নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন- ২৯২, চট্টগ্রাম ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজারে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ আটক করে দীর্ঘসময় তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্মক আচরণ করেছে। তারা স্লোগান ও বক্তৃতায় আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে।
তদুপরি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা শনিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে সংসদ সদস্য নদভী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শনিবার বিকালে তার বক্তব্য জমা দেন।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপির বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তার ছবি পোড়ানো হয়েছে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের দাবি করেছিলেন এম এ মোতালেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার!
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নগরীর নিতাইগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- সীমা বেগম (৫০) ও তার ছেলে রোমান হোসেন (২৫)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িটিতে মা-ছেলে থাকেন। সীমা বেগম গৃহিণী এবং তার ছেলে রোমান স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
রাতে তারা বাসার লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পান। বিষয়টি কাউকে না জানিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। সকালে ঘুম থেকে উঠে সীমা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই আগুন ধরে ওঠে এবং সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-রাজশাহী ও গাজীপুরে ৩টি গাড়িতে আগুন
এতে সীমা বেগম এবং ঘুমিয়ে থাকা রোমানের শরীরেও আগুন লেগে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাসায় গিয়ে আগুন নেভায়। এরপর তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ এবং রোমানের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সীমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রোমানকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসে আগুন
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম এলাকায় অগ্নিকাণ্ড: ১২টি দোকান পুড়ে ছাই
রাঙামাটি শহরের মারি স্টেডিয়াম এলাকায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২টি দোকান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিসিক কার্যালয়ের সামনে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩টি বাসে আগুন
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বড়ুয়া জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানপাটের মধ্যে কয়েকটি খাবারের (নাশতা) দোকান, একটি স্বর্ণের দোকান, একটি কাপড় দোকান ও একটি হার্ডওয়্যারের দোকান ছিল।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে ১২টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না তবে নিরূপণ করলে বলা যাবে।
তিনি আরও জানান, প্রধান সড়কের পাশের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর বেশিরভাগ টিনের ছাউনির। খাবারের দোকানসহ অন্য দোকান ছিল। দোকানের ভেতর তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল। এখন সেটি নিষ্ক্রিয়ের কাজ চলছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় তারা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসে আগুন
গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানে আগুন
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
দেশের বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় এবার ভারত থেকে ৭৪ টন আলু আমদানি করল সরকার।
চাল, ডাল, গম, পেঁয়াজ, সজনেডাটা ও কাঁচামরিচসহ নানা পণ্যের পর ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এবার আলু আমদানি শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনটি ট্রাকে ১ হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪ দশমিক ১ টন আলু ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় আলুর চালানটি বন্দর থেকে খালাস করা সম্ভব হয়নি। তাই শনিবার (২ ডিসেম্বর) বন্দর থেকে চালানটি ছাড় করা হচ্ছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড বাংলাদেশ এবং রপ্তানিকারক পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস, ভারত।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে সরকার ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেয়।
গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না।
৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?
আলু আমদানির এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পড়বে বলেই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলুগুলো আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন আলু ১৮০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি টন আলুর শুল্ক ৬ হাজার ৬৮৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলু কেনা, এলসি খরচ ও শুল্কসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব। ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৪ টন আলু বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে শুক্রবার ছুটি থাকার কারণে শনিবার আলুর চালানটি খালাস হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
পিকআপের ধাক্কায় মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাদরাসায় যাওয়ার পথে পিকআপের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক মাদরাসাছাত্রী।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলায় শাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির চালকসহ নিহত ২
নিহত মাদরাসাছাত্রী আরিফা জান্নাত (৬) একই এলাকার মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের কন্যা এবং স্থানীয় খেয়ারহাট নূরিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত মাদরাসাছাত্রী রিনা আক্তার আঁখি একই মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে আরিফা একটি অটোরিকশাযোগে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীতমুখী একটি দ্রুতগামী পিকআপ অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শিশু আরিফা।
খেয়ারহাট নূরিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, ছয় শিক্ষার্থী সিএনজি অটোরিকশাযোগে আরবি পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে মাদরাসায় আসছিল। এ সময় একটি পিকআপ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আরিফা নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রিনা আক্তার আঁখি গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকআপের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত
কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাটে কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কালীবাড়ি রুদ্রেশ্বর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াদ বাবু (০২) একই গ্রামের মো. মতিনুর রহমানের ছেলে।
কাকিনা ইউপি চেয়ারম্যান তাহির তাহ জানান, শিশু রিয়াদ বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল হঠাৎ সবার অজান্তে সে পুকুরে পড়ে যায়। রিয়াদ বাবুর লাশ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজনকে প্রতিবেশিদের খবর দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় স্বজনরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির শিশু রিয়াদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে মারা গেল ২ শিশু
গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ভূমিকম্প আতঙ্কে দ্রুত বের হওয়ার সময় আহত ৩০
কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় শনিবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে দ্রুত বের হতে যেয়ে পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ভূমিকম্পের সময় একটি পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, মীরশ্বানি এলাকার একটি পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
এদিকে অন্য এক স্থানে ভবন থেকে বের হওয়ার সময় কলেজের শিক্ষার্থীসহ আরও ৩ জন আহত হন।
আহতদের বেশিরভাগকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুরে সকালে জেলা শহরে ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবন থেকে বের হওয়ার সময় ১০ জন আহত হয়েছেন।
তবে তাদের সবাই সামান্য আহত হয়েছেন বলে চাঁদপুর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয়, যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনির নিউ আয়ারল্যান্ডে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প
কক্সবাজারে ২.৬০ লাখ ইয়াবা ও ১.০৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ: বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও এক দশমিক ০৫৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে বিজিবি-২ এর একটি দল নাফ নদীর ধারে ৪ জন ব্যক্তিকে কয়েকটি ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখলে দাওয়া করেন।
পরে বিজিবি সদস্যরা ব্যাগগুলো থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৯৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
অপর একটি ঘটনায় একই বিজিবি দল জালিয়াপাড়া পার হওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে।
পরে বিজিবি সদস্যরা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে ১ দশমিক ০৫৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।
তবে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৩ কেজি কোকেন জব্দ
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬তম বার্ষিকী আজ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬তম বার্ষিকী আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর)।
শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩ পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জেলার জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং সম্ভাবনাময় স্থান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শান্তি চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে: মন্ত্রী উশৈসিং
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে শান্তি বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের শান্তিপূর্ণ, সুখী সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে।
জাতীয় সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের পক্ষে এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে বস্তাবন্দী করে রেখেছে: ঊষাতন তালুকদার