সারাদেশ
টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে মৌসুমি পেঁয়াজের বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপণ করছি। এতে করে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ব।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি, তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপণ করা্ সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব। কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলার নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে একই চিত্র সালথা উপজেলায়।
বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও বীজতলার বেশিরভাগ খেত তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক এবং তিনজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৭১ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৩৪ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তিনজন পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
চট্টগ্রামে প্রদর্শিত হলো ‘ওরা সাতজন’
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত (স্কিনিং) হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এক রক্তক্ষয়ী অপারেশনের ছবি ‘ওরা সাতজন’।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন খিজির হায়াত খান। ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে আসা সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব গাঁথার ছবি ‘ওরা সাতজন’।
ভারতের এক নারী চিকিৎসক যিনি জানবাজি রেখে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়ে আসছিলেন তাকে উদ্ধার করে আনার এক সিনেমা ‘ওরা সাতজন’। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর রেডিসন ব্লুতে এর আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভূতের মুখে রাম রাম: কার উদ্দেশ্যে বললেন বুবলী
এ সময় চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, নাট্যকর্মী, কবি, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘ওরা সাতজন’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক খিজির হায়াত খান। এ সময় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা অন্য শিল্পীরা অংশ নেন।
‘ওরা সাতজন’ চলচ্চিত্রে ভারতীয় চিকিৎসক অপর্ণা সেনের চরিত্রে জাকিয়া বারী মম, মসজিদের মুয়াজ্জিন সোলায়মান কাজীর চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, মেজর লুৎফরের চরিত্রে খিজির হায়াত খান, সুমিতের চরিত্রে নাফিস আহমেদ, ডাক্তারের চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার, শাফি চরিত্রে সাইফ খান, মুক্তাদির চরিত্রে শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, নজরুল চরিত্রে খালিদ মাহবুব তুর্য অভিনয় করেছেন।
রাজাকার চেয়ারম্যান চরিত্রে জয়রাজ, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার চরিত্রে শিবা শানু, স্নিগ্ধা চরিত্রে তাসফি ও পাকিস্তানি মেজরের চরিত্রে হামিদুর রহমান অভিনয় করেছেন। সাতজন সাত পেশা থেকে আসা মানুষ। দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ‘ওরা সাতজন’ কাজ করেন।
‘ওরা সাত জন’ শুটিং হয়েছিল সিলেটের চা বাগান ও মনোরম লোকেশনে এবং মুক্তি পায় ২০২৩ এর তিন মার্চ।
পরিচালক খিজির হায়াত খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশ নিয়েছেন। আমরা এই ছবিতে সাতজনের দুঃসাহসিক কিছু অপারেশনের কথা এখানে তুলে ধরেছি। ১৯৭১ সালে কীভাবে পাকিস্তানিরা নির্যাতন করেছিল, তাদের এদেশের রাজাকাররা কীভাবে সহযোগিতা করেছিল তা তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের টানে সাত মুক্তিযোদ্ধা এক হয়েছিল একটি অপারেশনে। এই সাতজনের একজন মসজিদের মুয়াজ্জিন, একজন ডাক্তার, একজন পুলিশ, দুজন আর্মি, একজন কুস্তিগির আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেক্টর পাঁচের অধীনে মেজর লুৎফরের নেতৃত্বে এক সফল অপারেশন শেষে এই সাতজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন ভারতীয় নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে আনার। দেশ মাতৃকার তরে যুদ্ধের সময়ে কমান্ডারের নির্দেশ মানতে গিয়ে এই সাতজন জড়িয়ে যায় এক রক্তক্ষয়ী অপারেশনে।
ছবিটি দেখে আবেগতাড়িত হয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার নিরবে দুই চোখের অশ্রু ঝরিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে 'অ্যানিমেল'
বাংলা গানের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি: অর্ণব
যশোরের মণিরামপুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সাতনল জোড়া ব্রিজের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩০) উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের পাড়িয়াড়ি গ্রামের সাবেক মেম্বর নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের শ্বশুর পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মফিজুর রহমান বলেন, তার জামাতা জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছুটি নিয়ে জাহাঙ্গীর বাড়িতে আসছিলেন। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। তখন জাহাঙ্গীর আলম গাড়িতে আছে বলে তাকে জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সাতনল এলাকার স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তবে লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিয়ের তিন দিন পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ মালো (২১) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মাঝিকান্দি গ্রামের স্বপন মালোর ছেলে। সৌরভ নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি ১ম বর্ষে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি জেলা শহরের হাজী শরিয়তুল্লাহ মাছ বাজারের আড়তে পার্টটাইম মুহুরির কাজ করতেন।
নিহত সৌরভ মালোর মামাতো ভাই সুজন মালো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাসে করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয় সৌরভ। যাত্রাপথে তার মায়ের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথা হয়। বিকাল ৫টার পরে ভাঙ্গা নেমে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সৌরভ।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় তাকে শহরে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসতে বলে তার মা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি সৌরভকে। পরে পরিবারের লোকজন সৌরভকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভাঙ্গা থানায় জানিয়ে রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
সুজন মালো বলেন, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের নিচে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জানালে গিয়ে দেখা যায় সৌরভের লাশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের নিচে পাথরের ব্লকের উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহালে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুড়েছে শ্রমিক কলোনির ১৬ কক্ষ
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
খুবিতে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির ডাকা অবরোধে বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলালসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, বিএনপি কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, খুবির বাস ভাঙচুরের মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে খুবির শিক্ষক বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ ২ জন আহত হন। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
খুলনার ১১ থানার ওসি রদবদল
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ৪টি এবং জেলার ৭টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি থানার ওসিদের জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। বাকি ৯টি থানার ওসিদের জেলা ও নগরীর ভেতরে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রদবদল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার ও খুলনা পুলিশ সুপার।
কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নগরীর সদর থানার ওসিকে আড়ংঘাটায় থানায়, আড়ংঘাটার ওসিকে সোনাডাঙ্গা থানায়, সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে খানজাহান আলী থানায় এবং খানজাহান আলী থানার ওসিকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
দু-এক দিনের মধ্যে তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, জেলার রূপসা, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, ফুলতলা ও দাকোপ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ডুমুরিয়া থানার ওসিকে মেহেরপুর সদরে এবং দাকোপ থানার ওসিকে মুজিবনগর থানায় বদলি করা হয়। নড়াইল জেলা সদরের ওসিকে ডুমুরিয়া থানায় এবং নড়াগাতি থানার ওসিকে পাইকগাছা থানায় বদলি করা হয়। বাকি ৫ জনকে জেলার ভেতরেই রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি
হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আমেনা খাতুন (২৩) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বুড়িমারী উপজেলার বড়খাতা মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আমেনা খাতুন উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালী বান্দা এলাকার রোকন উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে বোনকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিল ভাই, পরে লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন আমেনা। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারের পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের ছাবিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জিরাত মণ্ডল (৫৫) এবং সাবেক ইউপি সদস্য বকুল (৫০)।
আহত জিরাত মণ্ডল, ইউসুফ মণ্ডল ও বকুল ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হালিম মোল্যার সমর্থক বলে জানা গেছে।
আটকেরা হলেন- হান্নান, সেতু ও বাকা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সালথায় দুপক্ষের সংঘর্ষ: আহত ২০
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মণ্ডলের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার দুপুরে ইউসুফ মণ্ডলের সমর্থক জিরাত মণ্ডল মাঠে ধান কাটতে গেলে হালিম মোল্যার সমর্থক জিনারুল, শিমুল, বাদশা, সোহেল ও বকুলসহ ১০-১৫ জন তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সংবাদ শোনার পর উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইটের আঘাতে সাবেক ইউপি সদস্য বকুল আহত হন।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
কুষ্টিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
কুমিল্লায় স্টাফ বাসে আগুন
কুমিল্লায় জিহান ফুটওয়ারের স্টাফ পরিবহনে ব্যবহৃত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটির ভেতরের অংশ পুড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর উনাইসারে এ ঘটনা ঘটে।
বাসের চালক মো. আনিস বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে তিনি বাসে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় খেয়াল করেন বাসে আগুন জ্বলছে। কোনো রকমে বাস থেকে বের হন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সে সময় একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি।
জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে চালের ট্রাকে আগুন
চট্টগ্রামে বাসে আগুন, প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ