সারাদেশ
কাপ্তাইয়ে ১৫ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিশালাকৃতির একটি অজগর সাপ উদ্ধারের পর কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। অজগরটি ১৫ ফুট দীর্ঘ এবং এর ওজন প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় সাপটি দেখতে পেয়ে তরনমনি তনচংগ্যা নামে এক ব্যক্তি বস্তাবন্দি করেন এবং বন বিভাগকে খবর দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান গিয়ে সাপটি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিটের কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যান। সাপটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ধানখেতে মিলল ১২ ফুট লম্বা অজগর, সুন্দরবনে অবমুক্ত
পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমার উপস্থিতিতে অজগর সাপটিকে কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অজগরটি ডার্ক পাইথন প্রজাতির বয়স্ক সাপ। এই ধরনের সাপের আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা রাতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে পড়েছিল সাপটি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
কুষ্টিয়ায় পার্ক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় গড়াই নদীর ধারে নির্মাণাধীন ইকো পার্ক থেকে বুধবার সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সবুজ মণ্ডল (২২) শহরের পূর্ব মিলপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি তিলের খাজা কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের বাবা হায়দার আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে কারখানায় কাজে যাওয়ার পর সবুজ আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। সকালে ইকো পার্কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় একই ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
সুন্দরবনে বাঘের হামলায় নিহত জেলের মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম সুন্দরবনের আওতাধীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের গহীনে বাঘের হামলায় নিহত জেলে মুজিবর গাজীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা অভিযান শেষে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবনের পায়রাটুলী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী বন অফিস, কদমতলা বন অফিস ও মরগাং টহলফাঁড়িসহ কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে একটি উদ্ধারকারী দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এর আগে গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সুন্দরবনে পায়রাটুলি খালে কাঁকড়া ধরার সময় বাঘের আক্রমণে মুজিবর গাজী নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ফকিরহাটে বাঘের চামড়াসহ আটক ২
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম এ হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পূর্বে উদ্ধারকারী দল খোলা আকাশে গুলি ছুড়ে সংশ্লিষ্ট বন এলাকা বিপদমুক্ত করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সুন্দরবনের ভিতর থেকে মুজিবর গাজীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, সকল প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন আইন অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হবে।
পড়ুন: ধানখেতে মিলল ১২ ফুট লম্বা অজগর, সুন্দরবনে অবমুক্ত
বিয়ানীবাজারে কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
বিয়ানীবাজারে সানজিদা ইয়াসমিন শাওন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরশহরের শ্রীধরায় বসতঘরে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে।
সানজিদা বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার বাবার নাম ফয়জুল আলম।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বসতঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা স্পষ্ট করে কেউ জানাতে পারেনি। তবে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা কথা আলোচিত হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মিয়া জানান, আত্মহত্যার ঘটনার নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর ‘আত্মহত্যা’
দুই কন্যাশিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
অভিজিৎ হত্যায় দণ্ডিত দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় দণ্ডিতদের মধ্যে দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত হয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি গ্রুপ এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে। ওই সময় আমাদের দেশে জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল। তবে আমাদের দেশের নিরাপত্তায় যারা আছে তারা তাদের সকল কর্মকাণ্ড ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মেজর জিয়া ও আকরামকে আমরা খুঁজছি। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তা থেকে জানা গেছে সে অন্য কোন দেশে গা ঢাকা দিয়ে আছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির হোসেন, মানিকগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসি
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় আজ
যেকোনো মূল্যেই হাতি হত্যা বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, যেকোনো মূল্যেই হাতি হত্যা বন্ধ করতে হবে। হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিধনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় আয়োজিত হাতি-সংরক্ষণ এবং হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং হাতি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের কাছে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জঘন্য ও নৃশংস বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অকারণে যাতে আর কোনো হাতি, বাঘ বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণীর অপঘাতে মৃত্যু না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারেহাতি সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, হাতি চলাচলের প্রচলিত রাস্তা ও করিডোর পুনরুদ্ধার ও পুনঃবনায়ন করা হচ্ছে। হাতির খাবারের জন্য কলাগাছ এবং অন্যান্য তৃণ জাতীয় উদ্ভিদের চাষ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ হাতি হত্যার শাস্তি এবং হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মীদের হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন, লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করলে বনে ফেরানো, মানুষকে সচেতন করার কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনাঞ্চলে অবৈধ বসবাসকারীদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সকলের সহযোগিতায় বিশ্বের এই মহাবিপন্ন প্রাণীকে অবশ্যই বাঁচার সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হাতি হত্যায় অভিযুক্ত মারা গেলেন হাতির আক্রমণে
অনুষ্ঠান শেষে হাতির আক্রমণে নিহত একজনের পরিবারকে তিন লাখ টাকা এবং ফসলের ক্ষতির জন্য অন্য দুজনকে ৪৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণ হাতি হত্যা প্রতিরোধে কাজ করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ফরিদপুরে ৮ ‘ডাকাত সদস্য’ গ্রেপ্তার
ফরিদপুর নগরকান্দায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ডাংগী ইউনিয়নের ভবুকদিয়ার পাড়াদিয়া বটতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশের দাবি তারা ডাকাত দলের সদস্য।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রিজাইডিং অফিসারকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন,উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামের রব মুন্সির ছেলে ছলেমান মুন্সি (৪৫) ও একই গ্রামের আক্কাস শিকদারের ছেলে শরিফুল শিকদার (২৪), জেলা শহরের শোভারামপুর এলাকার আবুল বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাস (৩১), একই এলাকার নৈমুদ্দিন শেখের ছেলে জনি শেখ (২৫) ও বাচ্চু বিশ্বাসের ছেলে রায়হান বিশ্বাস (২৫),জেলা সদরের রঘুনন্দনপুর এলাকার জালাল খানের ছেলে শাহিন খান (৩২),একই এলাকার নবা মন্ডলের ছেলে ইয়াছিন মন্ডল (২২) ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর পোনা গ্রামের মতি কাজীর ছেলে হেমায়েত কাজী (৪০)।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৫০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, উপপরিদর্শক (এসআই ) ইলিয়াস হোসের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল ওই এলাকার একটি মুদির দোকানের সামনে থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
এই সময় তাদের কাছে থেকে লোহার বড় হাতুরি, প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল, রামদাসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বাসচাপায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে দর্শনা পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুল হাসান (৪০) যশোর জেলার নাজির শংকরপুর গ্রামের হাজারি গেটপাড়ার মৃত নওশের আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কামরুল হাসান মোটরসাইকেল করে দামুড়হুদায় যাচ্ছিলেন। পথে দর্শনা পৌর শহরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে দোয়েল পরিবহন নামে একটি বাস মোটরসাইকলেসহ কামরুলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসকে জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়। পরে বাসটি থানার হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৬
আখাউড়ায় গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও ভুয়া এনজিও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা করে কয়েক শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’নামে একটি এনজিও উধাও হয়ে গেছে। ঋণ গ্রহীতা গ্রাহকরা সোমবার সকালে ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিসে তালা ঝুলানো। পরে ভুয়া এনজিও’র খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত ঋণ গ্রহীতারা থানায় অভিযোগ জানান।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রায় এক মাস আগে ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’এনজিও সংস্থার কয়েকজন মাঠ কর্মী ঋণ দেয়ার নামে পৌরশহরসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রচারণা করে। তারা আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় বাবদ ১০, ২০, ৫০ ও ৮০ হাজার টাকা নেয়। সোমবার পৌরশহরের মসজিদ পাড়ার একটি তিনতলা ভবনে অফিস উদ্বোধন করে ঋণ দেয়ার দিন ধার্য করেন। সকালে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা ঋণগ্রহীতারা অফিসে এসে দেখেন তলাবদ্ধ এবং পালিয়ে গেছে ওই এনজিওর কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ, চট্টগ্রামে কথিত এনজিও কর্মকর্তা আটক
উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক শরীফ মিয়ার স্ত্রী শরীফা বেগম জানান, এক লাখ টাকা ঋণ দেয়ার পাশাপাশি স্বামীকে কর্মসংস্থান করে দেয়ার অজুহাত দেখিয়ে সঞ্চয় বাবদ তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। সোমবার ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিস ঘরে তালাবন্ধ। কর্মীদের মোবাইল ফোনও বন্ধ করে রেখেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক সাদেক মিয়া জানান, তারা দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কথা বলে গত দুই দিন আগে আমার কাছ থেকে একটি বইয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নেয়। সকালে ঋণ নিতে এসে দেখি অফিসে তালা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় অফিস ভাড়া নিয়ে ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রতারণা ব্যবসা শুরু করে।
ভবনের মালিক দুবাই প্রবাসী আলেক মিয়া। তার স্ত্রী সেতু আক্তার জানায়, চলতি মাসের ৪ তারিখ ভবনের তিন তলার একটি কক্ষ মাসিক ৬ হাজার টাকায় তারা ভাড়া নেয়। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি অফিসটি উদ্বোধন করে আমাদের ভাড়া পরিশোধ করার কথা। আমরা বুঝতে পারিনি তারা এতো বড় প্রতারক।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও পরিচালক
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার জানান, এ ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠানের নাম সরকারি তালিকায় নেই। অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।
তরুণীর পেটে কাঁচি: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল, চিহ্নিত হয়নি কেউ
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণীর অস্ত্রোপচারের পর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করার প্রায় দুই বছর পর তা বের করার ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
সাইফুর রহমান জানান, ওই প্রতিবেদনে এ ঘটনার জন্য কে দায়ী, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। কিংবা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করা হয়নি।
তিনি জানান, বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে অস্ত্রপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলের করা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ
গত ১২ ডিসেম্বর (রবিবার) পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। অপর দুই সদস্য হলেন গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি কার গাফিলতিতে পেটে কাঁচি রাখার ঘটনাটি ঘটেছে, তা শনাক্ত করতে পারেনি। পাশাপাশি ওই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত কারও ব্যাপারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০২০ সালের ৩ মার্চ সার্জারি ইউনিট-টু’র দায়িত্বে নিয়োজিত সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিনের অধীনে এ অস্ত্রোপচারের সময় আরও তিন-চারজন চিকিৎসক অংশ নেন। তবে কার গাফিলতিতে এ ঘটনা ঘটেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালের উদ্বৃতি দিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, এ জাতীয় ঘটনা অপ্রতুল নয়। এমন নয়, এটিই প্রথম ঘটেছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশে অস্ত্রোপচারের সময় এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- অস্ত্রোপচারের সময় একজন নার্সকে যন্ত্রপাতির দায়িত্বে নির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত করা। পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও আয়াদের আরও অধিক দায়িত্বশীল হওয়ায় পরামর্শও সেখানে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, মনিরা খাতুন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে আর কত দিন ভর্তি থাকা লাগবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদনের আদেশ ৩ নভেম্বর
প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে মনিরা খাতুন (১৮)। ২০২০ সালের মার্চে ওই তরুণী মেজিনট্রিক ফিস্ট (রক্তের দলা) জনিত সমস্যা নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ৩ মার্চ সার্জারি বিভাগ ইউনিট টু-তে এ সমস্যার জন্য তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই সময় চিকিৎসকদের অজ্ঞাতসারে অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত ছয় ইঞ্চি লম্বা অর্টারি ফরসেপ পেটের মধ্যে রেখে সেলাই করা হয়। বিষয়টি জানার পর ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) ওই হাসপাতালেই পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তরুণীর পেট থেকে কাঁচি বের করা হয়।