সারাদেশ
নামাজে সেজদারত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগজ্ঞে এক মসজিদে নামাজে সেজদারত অবস্থায় একজন মুসল্লি হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের কাজী বাড়ি জামে মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তের সময় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপির মালিগাঁও গ্রামের মুকছুদ আলীর ছেলে ও পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, মাগরিবের নামাজের আযান শুনে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তার অটোরিকশাটি সড়কের একপাশে রেখে মসজিদে ঢুকেন। অটোরিকশার যাত্রীরাও তার সাথে নামাজ পড়তে জামায়াতে শরীক হন। কিন্তু নামাজের শেষ রাকাতে সেজদায় গিয়ে এরপর তিনি আর উঠে বসেননি। ইমাম ও মুসল্লিরা সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করলেও জাহাঙ্গীর সেজদাতেই ছিলেন।
মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, সালাম ফেরানোর পরও ওই মুসল্লি সেজদারত অবস্থায়ই ছিলেন। ওই অবস্থায় উদ্বিগ্ন মুসল্লিরা তাকে একটু নাড়া দিলে তিনি এক পাশে ঢলে পড়েন। সবাই তখন তার চোখ- মুখ দেখে বুঝতে পারেন তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে সেজদারত অবস্থায়ই তিনি মারা গেছেন। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসক এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন বলেন, মাগরিবের ফরজ তিন রাকাত নামাজ পড়াকালীন সময়ে সেজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মুসল্লি। পরে এই খবর জেনে পরিবারের লোকজন এসে লাশ নিয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্শকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট
সিলেটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫.৬। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৭৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিয়ানমারে।
আরও পড়ুন: তিন দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেটসিলেট নগরের লালবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ৯ তলার ফ্ল্যাটে থাকি। মধ্যরাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পুরো ভবন কেঁপে উঠে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষত বাচ্চারা কান্না শুরু করে দেয়। আমরা যারা উঁচু ভবনে থাকি তারা কাঁপুনিটা বেশি অনুভব করতে পারি।সিলেটকে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বারবারই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সক্রিয় চ্যুতির কারণে এখানে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।এর আগে গত ৭ জুন এক মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়। তার আগে গত ৩০ মে ও ৩১ মে পাঁচ দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট। বারবার ভূমিকম্পের ফলে সিলেটের মানুষজনের মাধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সিলেটসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সে ভূমিম্পের মাত্রা ছিলো পাঁচ দশমিক ২। যার উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ২৪২ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের লক্ষিপুর।এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। এমন ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সতর্ক ও প্রস্তুতি থাকা দরকার।
নবাবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার একটি পিক-আপ ভ্যান রাস্তার ধারের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহতের নাম সুভাষ (৪০) ও আহত হয়েছেন মনির হোসেন (৩৬)।
নিহতের সহকর্মী নাসির উদ্দিন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের কোম্পানীর লোকজন এসে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে আটটায় সুভাষকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত মনির হোসেনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা দু'জনই একটি বিল্ডার্স কোম্পানীতে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মীসহ নিহত ২
তিনি আরও বলেন, তারা দু'জনই পিক-আপে করে নওয়াবপুর থেকে ক্রয়কৃত টিন নিয়ে মিরপুরের বেরীবাঁধে তাদের প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে যাওয়া পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খাঁন। তিনি বলেন, নিহতের লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দোহারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঢাকার দোহার উপজেলায় বাড়ির পাশের খালের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের বৌ বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহত দেড় বছর বয়সী রাশিব শেখ ওই গ্রামের প্রবাসী রাজিব শেখের ছেলে।
নিহত শিশুর মামা শহিদুল ইসলাম খান জানান, দুপুরে বাড়ির ওঠানে খেলা করার সময় সকলের অগোচরে নিখোঁজ হয়ে যায় রাশিব। তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজার পর বাড়ির পাশের খালের পানিতে রাশিবকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দোহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিকুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশকে কেউ কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার জেলার চরআগস্তি হাক্কাঘাটের খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন, সোলেমান (২২), বাপ্পি প্যাদা (২৪) ও আরিফ খান (২৩)।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে ওই গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে সোলেমানকে প্রধান আসামি করে সাত জনের নামে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ওই গৃহবধূ তার শ্বশুর বাড়ী গলাচিপার চরবিশ্বাস গ্রাম থেকে চাচাতো দেবর সোলেমানের সঙ্গে বাবার বাড়ি রাঙ্গাবালীর চর বেষ্টনী গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় চরআগস্তি হাক্কাঘাটের খেয়াঘাট এলাকায় এসে সোলেমান তাকে লাইনের ট্রলারে না উঠিয়ে আরিফ খানের ট্রলারে উঠায়। পরে দুপুর একটার দিকে সাপের খাল নামক স্থানে পৌঁছে ট্রলারেই সাত যুবক তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান জানান, তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
খুলনায় কোকেনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
খুলনায় সাড়ে ২২ কোটি টাকার কোকেনের মামলায় একজনের ফাঁসি এবং আরও পাচঁ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, আরিফুর রহমান ওরফে ছগিরকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মন্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফকিরকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট রাত পৌনে ১০ টার দিকে র্যাব-৬ খুলনার একটি দল নগরীর হাদিস পার্কের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ওই দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ময়লাপোতা মোড়ের পাশে একটি চক্র মাদক বিকিকিনি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে পৌঁছালে কয়েকজন লোক পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হন র্যাব কর্মকর্তারা। পালানোর কারণ জানতে চাইলে সোহেল জানায়, তার কাছে কোকেন আছে। ্যাব কর্মকর্তারা সেখান থেকে ২৩০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে। যার অনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সোহেলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোডের একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ছগিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছগিরের দেওয়া তথ্য মোতাবেক দাকোপ উপজেলায় রাত তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মন্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনটি কোকেনের প্যাকেট বের করে দেয় সে। যার মধ্যে দুই কেজি ২০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া সোয়া দুই কেজি কোকেনের মূল্য ২২ কেটি ৫০ লাখ টাকা।
এই ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় মাদক আইনে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
গাজীপুরে মাকে খুনের দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মা’কে কুপিয়ে খুন করার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান খান ওরফে সাজু (৪৬) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন কাঁচারস গ্রামের আমছের আলী খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটার সময় শাহজাহানকে বাঁধা দেন তার বাবা আমছের আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহান গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান শাহজাহানের মা আনোয়ারা বেগম। এসময় হাতে থাকা দা দিয়ে শাহজাহান তার মায়ের গলা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
এ ঘটনায় আনোয়ারা বেগমের ভাই (শাহজাহানের মামা) হাশেম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে শাহজাহান একই বছরের ২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামি শাহজাহান খান ওরফে সাজুকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলার রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ বেগম।
চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ডুবে গেছে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার অদূরে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে একটি লাইটার জাহাজ। আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি টিটু-৭ নামে এ জাহাজটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যায় বলে জানায় জাহাজের নাবিকরা।বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে আমদানীকৃত ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল (স্ক্র্যাপ) বোঝাই করে বন্দরে আসার সময় ডুবে যায় জাহাজটি। তবে এসময় পাশে থাকা আরেকটি জাহাজে উঠে রক্ষা পান ওই জাহাজের ১৩ জন নাবিক ও শ্রমিক।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ থেকে ৪ শ্রমিককে উদ্ধারজাহাজটি আবুল খায়ের গ্রুপের স্ক্র্যাপ বহন করছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি নবী আলম। তিনি বলেন, পণ্যবোঝাই করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের অদূরে নোঙর করেছিল। দুপুরে তলা ফেটে জাহাজটিতে পানি উঠতে শুরু করে। পরে জাহাজের নাবিকরা স্থানীয় মাঝিদের সহায়তায় তীরে চলে আসেন।বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, ‘এমভি টিটু-৭ নামের একটি লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে স্ক্র্যাপ নিয়ে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছিল। পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় জাহাজটি ডুবে গেছে। তবে কী কারণে জাহাজটি ডুবেছে, সেটি এখনও আমরা জানতে পারিনি। বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় লাইটার জাহাজ ডুবি, ২ নাবিক নিখোঁজ, উদ্ধার ৪এ দিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে লাইটার জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে বন্দর চ্যানেলের কোন সমস্যা হচ্ছে না। বন্দরের জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্রমিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
নগরীর অলঙ্কার মোড় এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে আটকের জেরে চট্টগ্রামে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ধর্মঘটের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার
অপরদিকে, সকাল থেকে নগরীর মুরাদপুর, অক্সিজেন, টাইগারপাস, নিউমার্কেট, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই সড়কের মাথা ও কালুরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতোই আজও কর্মজীবী মানুষ মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও গাড়ির দেখা মিলছে না। বাধ্য হয়ে অনেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা খরচ করে রিকশা কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার চাঁদাবাজির অভিযোগে নগরীর অলংকার মোড় থেকে র্যাবের হাতে পাঁচ পরিবহন শ্রমিক গ্রেপ্তার হন। তারা হলো- আজাদ, অহিদ, আরিফ হোসেন, নারায়ণ দে ও সিদ্দিক হোসেন।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘট আহ্বান করে কয়েকটি পরিবহন মালিক সংগঠন। ধর্মঘট চলাকালে সব ধরনের বাস-মিনিবাস, হিউম্যান হলার এবং অটোট্যাম্পু বন্ধ থাকার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ বলেন, বুধবার অলংকার মোড় থেকে একজন লাইনম্যানকে গ্রেপ্তার ও পাঁচ জনকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তাই পরিবহন মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে পিকেটিং বা অন্য কোনও কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। আমরা থানা, ডিবি, এসবিসহ সব জায়গায় খোঁজ নিলাম, কিন্তু কেউ কিছু জানে না। বিকালে একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
এ বিষয়ে নগর ট্রাফিক দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) এনএম নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘ধর্মঘটের কথা আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো চিঠিপত্র পাইনি। সড়কে কিছু কিছু গণপরিবহন চলছে।’
টাকার বিনিময়ে সনদপত্র বিক্রি!
বরিশালে টাকার বিনিময়ে জাল সনদপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলার সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে। জাল সনদপত্র বিক্রির অর্থ গ্রহণ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বরিশাল নগরীর সি অ্যান্ড বি রোডের ফরাজী ওয়ার্কশপ সংলগ্ন ফজলুল হক রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিক শিক্ষক এইচ এম শামীম আহম্মেদ। ওই স্কুল থেকে ২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষক শামীম সুমন নামে এক ব্যক্তিকে ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এই মর্মে সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইলিয়াস খন্দকারের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে ওই পত্র দুটি দেন তিনি।
সনদপত্র ক্রয়কারী সুমন বলেন, ‘আমি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট কিনতে যাই শিক্ষক শামীম আহম্মেদের কাছে। তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করলে আমি তিন হাজার টাকা দেই। তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষর পরিবর্তে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়ন পত্র দেন।’
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত শিক্ষক এইচএম শামীম আহম্মেদ।
এদিকে একজন শিক্ষকের জাল সনদপত্র বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশালের গবেষক আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘একজন শিক্ষকের সনদ বিক্রির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যদি ওই শিক্ষক এই কাজ করে থাকেন তাহলে তিনি শিক্ষক জাতির জন্য কলঙ্ক।’ বিষয়টি তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামাল বিষয়টি শুনেছেন উল্লেখ করে খোঁজ-খবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘শামীম নামে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি