���������������������
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: হেফাজত নেতা ইয়াকুব উসমানী ফেনী থেকে গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংস ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন পালিয়ে থাকা হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী (৪৪)।
বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইয়াকুব উসমানী হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহকারি প্রচার সম্পাদক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদত্যাগ করা হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন উসমানীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে পুলিশের বিশেষ সূত্র থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অভিযানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু তাহেরসহ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৭ মার্চ আবু তাহের মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে সরাইলের অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমন করে তাণ্ডবলীলা চালায়। গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ ও সরাইলে তাণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলাম। এ ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা হলে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ ৪৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত, ঢামেকে স্থানান্তর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলম (৪২) মারাত্মক আহত হয়েছেন। রাতেই তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ পূর্বপাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেকেন্দার আলম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক ভোরের পাতার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজবাড়ি থেকে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোবাইলফোনে কল আসলে তিনি মোটরসাইকেলটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে দুর্বৃত্তের দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই নারীসহ ৪ ভুয়া সাংবাদিক আটক
পরে পথচারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিলে। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভারত ফেরত ১০ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি
সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ১০ জন করোনা আক্রান্ত কি-না, এখনো জানা যায়নি।
ভারত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার কিছু সংখ্যক লোক গত ৪ মে যশোরের বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে আসলে তাদের সবাইকে যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ মে তাদের সবাইকে নিজ নিজ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ১০ জনকে শুক্রবার ভোরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, ভারত ফেরত এই ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালের ২৯নং ওয়ার্ডের কেবিনে ও তিনজনকে ১৬নং মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। সাথে তাদের অভিভাবকরাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাকিব-মোস্তাফিজ ঢাকায়
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ভারতে চিকিৎসা নিয়ে আসা চট্টগ্রামের ১০ জনকে প্রাথমিক তত্ত্বাবধানের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলার তিনজন, চন্দনাইশ উপজেলার তিনজন, কর্ণফুলী থানার তিনজন এবং পটিয়া উপজেলার একজন রয়েছেন।’
হাসপাতালের ২৯নং ওয়ার্ডে থাকা ইকবাল হোসেন বলেন, এক রোগীর সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য গত ফেব্রুয়ারি ভারতে গিয়েছিলাম। কলকাতা থেকে গত ৪ মে যশোর আসি। তবে আসার আগে করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এখানেও করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসা আমাদের রোগী হাসপাতালে থাকতে পারছেন না। আমরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে চাই। তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সকাল থেকে কোনো ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য গত ৪ মে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল বন্দর হয়ে বিভিন্ন জেলার মানুষ বাংলাদেশে আসে। তখন এদের সবাইকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে যশোর বক্ষ্যব্যাধী হাসপাতালে রাখা হয়। তবে গতকাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় যার যার জেলা হাসপাতালে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রামে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় গ্রামে সাত বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আলম মিয়া (৪০) ওই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ বলা হয়, ভুক্তভোগী শিশুটি চর সিতাইঝাড়ে নানা-নানীর সাথে বসবাস করে। নানা-নানী কন্যা শিশুটিকে বাড়িতে রেখে রাস্তায় মাটির কাজ করতে গেলে এই ফাঁকে তাদের বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানের কর্মচারী আলম শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, গত ৩ মে মেয়েটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চায়ের দোকানের কর্মচারী আলমের বিরুদ্ধে। তিনদিন পর্যন্ত ঘটনাটি কাউকে বলেনি কন্যা শিশুটি। পরে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দিলে গত রাতে মাকে সব ঘটনা খুলে বলে সে। পরে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে মেয়েটিকে চিকিৎসা করানো হয়।
শুক্রবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে বলে ওসি জানান।
কুমিল্লায় ইপিজেডের কর্মকর্তা হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লা ইপিজেডের চায়না কোম্পানির মানব সম্পদ কর্মকর্তা খায়রুল বাশারকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার ভোরে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার আবদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চাকরিচ্যুত কর্মচারীর ছুরিকাঘাতে কর্মকর্তা খুন
র্যাব জানায়, গত ৩০ এপ্রিল বিকালে জিং চ্যাং সু বিডি লিমিটেডের মানব সম্পদ কর্মকর্তা খায়রুল বাশার অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে ইপিজেড গেটের কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, ঘাতক মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাংয়ের ৭-৮জন সদস্য এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। মূলত চাকরিচ্যুতের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। পলাতক সব আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
সিএমপিতে ৮ এসির রদবদল
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার আট জন কর্মকর্তাকে রদবদল করা হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার রাতে এই রদবদল করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি : ফের চালু হল ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’
এর আগে সিএমপির পাঁচ সহকারী কমিশনার পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হওয়ায় তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়। এরপরই সিএমপির ওই পাঁচ জোনে নতুন এসি পদায়নের পর মোট আট কর্মকর্তার দপ্তর রদবদল করা হয়।
সিএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) শাহ মো: আব্দুর রউফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সহকারী কমিশনার (এসি) সিএমপি কমিশনারের স্টাফ অফিসার মোধ মুজাহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি জোনের এসি ও ডিবি উত্তরের এসি মো: দেলোয়ার হোসেনকে স্টাফ অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। সদর এসি মুকুল চাকমাকে পাহাড়তলী জোনের এসি ও পাহাড়তলী জোনের এসি মো: আরিফ হোসেনকে ডিবি উত্তর এসি হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: সিএমপির ৫ ওসি পদে রদবদল
চকবাজার জোনের এসি মুহাম্মদ রাইসুল ইসলামকে ডিবি দক্ষিণের এসি, অতিরিক্ত দায়িত্ব (ডিবি-পি আর অ্যান্ড আইসিটি) ও ডিবি দক্ষিণের এসি কামরুল ইসলামকে চকবাজার জোনের এসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এসি (সংযুক্ত ক্রাইম এন্ড অপারেশন) কাজী মো: তারেক আজিজ বন্দর জোন ও এসি (সরবরাহ) মো: মাহমুদুল হাসান মামুনকে ডবলমুরিং এসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আটক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর উপেজলা সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় নগরীর কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার থেকে ৫/৬ জন সাদা পোশাকে এবং ১ জন পোশাকধারী পুলিশ তাকে আটক করে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘আনসার আল ইসলামের’ ৩ সদস্য আটক
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আফজারুল হক টুটুল রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে কখনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে জহিরুল ইসলামকে কেন আটক করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তার বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও মামলা ছিল না।
নাশকতার অভিযোগে যে কয়টি মামলা ছিল সেগুলোতে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা জানান।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে জহিরুল ইসলামকে আটকের বিষয়টি বাঁশখালী থানা পুলিশ অবহিত নয় বলে জানায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, কারা জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে আমরা জানি না। তবে ফেসবুকে দেখেছি।
কুমিল্লায় ৮০ জন হিজড়ার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ
কুমিল্লায় করোনাকালীন সময়ে সংকটে পড়া ৮০ জন হিজড়ার মাঝে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সামজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিজড়াদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
এ সময় সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার হিজড়াদের হাতে উপহার তুলে দেন। এছাড়া সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে খাদ্য সহায়তা ও নগদ এক হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জেড. এম. মিজানুর রহমান খানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
কুমিল্লায় করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যূ হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯৩ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪১ জন।
শুক্রবার কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মন্ত্রীর
কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৪৯ জন আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩১ জন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
কুমিল্লায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা পজিটিভ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এদের ২ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের বয়স ৬৫ থেকে ৭০ বছর। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন
১১ বছর আগে ৫ মে প্রবাসী শহিদুল ইসলাম ও তাসলিমা আক্তারের সংসারে খুশির বন্যা নিয়ে আসে ফুটফুটে তানিসা। প্রতি বছর দিনটি ওই পরিবারের জন্য আনন্দের। জন্মদিনের পরদিনই নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তানিসা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের ছাদে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে খুন করে। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ গ্রামে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
নিহত কিশোরী শহরের ডাক্তারপাড়া মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল তানিসা ইসলাম।
তানিসা ইসলামকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক চাচাতো ভাইকে আটক করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে নিশানের জুতা পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ি থেকে আটক করে। সে ওই বাড়ীর মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
ধারণা করা হচ্ছে, তানিসাকে একা পেয়ে নিশান ধর্ষণের চেষ্টা চেলায়। ব্যার্থ হয়ে সে চাচাতো বোনকে খুন করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওমর হায়দার বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। তার গলায় অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাচানো ছিল।”
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভাইয়ের হাতে পুলিশের এসআই খুন
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুনের কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। এখানে সিআইডি ও পিবিআই টিম এসেছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি।
স্বল্প সময়েই এই খুনের রহস্য উদ্ধার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।