%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্ত সংযোগকারী পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি সরকার ‘পদ্মা সেতু’ নামে নামকরণ করলো।
জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মে) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারো নামে নয়, শুধু পদ্মা নদীর নামে সেতুটির নামকরণ করা হবে। ২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী সেতুটির উদ্বোধন করবেন।’
এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ডাটাবেজ থেকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য গায়েব, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সার্ভারে সংরক্ষিত ডাটাবেজ থেকে বিপুল সংখ্যক জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন তথ্য গায়েব হওয়ার বিষয়ে সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে জন্ম ও মৃত্যু সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে জনসাধারণের ভোগান্তি রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও খামখেয়ালিপনা এবং সংশ্লিষ্ট সার্ভার থেকে বিপুল সংখ্যক তথ্য গায়েব হয়ে যাওয়ার পরও তদন্তের উদ্যোগ না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একই সাথে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০১৮ এর রুল-১৯ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পরিকল্পনা-পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং আইন বিভাগের যুগ্ম সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
তিনি জানান, রুল দেয়ার পাশাপাশি আদালত বিবাদীদেরকে জন্ম ও মৃত্যুর যে বিশাল পরিমাণ ডাটা সার্ভার থেকে গায়েব হয়েছে সেগুলো তদন্তপূর্বক আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এর আগে আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ বিষয়ে গত ৪ এপ্রিল আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন। নোটিশে গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নাগরিকেরা’ এবং গত ৪ ফেব্রুয়ারি ‘জন্মসনদ: বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারেই নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০৪ সালে জন্মনিবন্ধন আইন করা হয়, কার্যকর হয় ২০০৬ সালে। পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়া, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। শুরুতে হাতে লেখা সনদ দেয়া হতো। এরপর ২০১০ সালের শেষ দিকে এসে তা ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিবন্ধকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য সরকার আলাদা বরাদ্দও দেয়। কিন্তু সে সময় সব তথ্য ডিজিটাল করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জনবসতি বেশি এমন এলাকাগুলো, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনে তথ্য হালানাগাদ পুরোপুরি হয়নি।’
অপর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন আগে জন্ম নিবন্ধন করে সনদ নিয়েছেন এমন কয়েক কোটি মানুষকে এখন সম্পূর্ণ নতুন করে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করাতে হবে, কারণ তাদের আগের নিবন্ধন গায়েব হয়ে গেছে। এসব ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন অনলাইনে আপডেট করা হয়নি এবং এখন নতুন সার্ভারে আর পুরনো তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশের আবার একাধিক অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন: ই-কমার্সের মাধ্যমে কত টাকা পাচার ও পাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পাওয়া উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে নতুন ডিআইজিদের র্যাংক ব্যাচ পরিধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান আইজিপি।
এসময় আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের অনেক দিয়েছে। এখন ফেরত দেয়ার পালা। আপনারা দেশ, জনগণ ও পুলিশ বাহিনীর জন্য কাজ করবেন।’
তিনি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডআই) মো.মঈনুর রহমান চৌধুরী, সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. মোজাম্মেল হক ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এসময় অতিরিক্ত আইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিরা তাদের দায়িত্ব পালনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সরকার সম্প্রতি ৩২ অতিরিক্ত ডিআইজিকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
সিএমপি কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
ঢাবি ক্যাম্পাসে আসতে হলে ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে করা অশালীন মন্তব্যের জন্য ছাত্রদলকে ক্ষমা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমা না চাইলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে।’
গত ২৪ ও ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রবিবার ঢাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
বিএনপি ও ছাত্রদলের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘তারা এ দেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। বিএনপি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আহত না হলেও ছাত্রদলের অনেক কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সভাপতিকেও এই ঘটনায় ছাত্রদলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা প্রেসক্লাবের সামনে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ধৃষ্টতার সীমা লঙ্ঘন করে বলেছে, ৭৫ এর হাতিয়ার দরকার হলে আবার তাদের হাতে গর্জে উঠবে। তাদের এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে ৭৫ এ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ ধরণর অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবে।
ই-ক্যাব নির্বাচন: ‘অগ্রগামী’ প্যানেলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আস্থা প্রকাশ
চতুর্থ ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে দেশের ই-কমার্স খাতের অগ্রগামীতায় সংহতি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের ই-ক্যাব সদস্যরা। অভিজ্ঞ, নিবেদিত এবং নতুন শক্তির সমন্বয়ে গঠিত ‘অগ্রগামী’প্যানেলের প্রতি নিজেদের আস্থার কথা প্রকাশ করেছেন বন্দরনগরীর ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেছেন, করোনা ও করোনা পরবর্তী সময়ে যারা নিজেদের ব্যবসায়ের দিকে না তাকিয়ে সদস্যদের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন তাদের হাতেই ই-ক্যাবের ভবিষ্যত হবে নিরাপদ। ফলে ঢাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হলেও তারা দলবেধেই কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নগরীর হোটেল দি পেনিনসুলাতে শনিবার অনুষ্ঠিত ই-ক্যাব মেম্বার্স আড্ডায় অংশ নিয়ে এমন অভিব্যক্তিই তুলে ধরেন সাধারণ ভোটাররা। আড্ডায় ভোটারদের মতামত, ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা, ও সুযোগ-সুবিধার দিকগুলো নিয়ে সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন অগ্রগামী প্যানেলের সদস্যরা। আলাদা আলাদা ভাবে তাদের সঙ্গে আলাপ করেন শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন, নাসিমা আক্তার নিশা, আসিফ আহনাফ, আম্বারিন রেজা, মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, শাহরিয়ার হাসান এবং মো. রুহুল কুদ্দুস ছোটন।
আড্ডায় নতুন কমিটি গঠনের পর ই-ক্যাব স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একাধিক সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে ই-ক্যাবের কার্যক্রম জোরদার করার ঘোষণা দেন অগ্রগামী প্যানেলের দলনেতা শমী কায়সার।
আরও পড়ুন: চার প্রতিষ্ঠানের ই-ক্যাব সদস্য পদ স্থগিত
সংকটে কীভাবে মানুষের পাশে থাকা যায় তা দেখিয়েছে ই-ক্যাব
তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তারেক-জোবায়দা বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও ওইদিন শুনানি হবে।
তাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২৯ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
অন্যদিকে ওয়ান ইলেভেনে সময় অবৈধ সম্পাদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদনের শুনানির জন্যও সময় নিয়েছেন আসামিপক্ষ।
রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মামলায় সময় পিছিয়ে ৫ জুন দিন ধার্য করেন।
আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
পড়ুন: ১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
তারেক-জোবায়দা
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো গত ২০ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আদালতে তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়ায় দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন কি না, ৫ জুন এ বিষয়েও শুনানি হবে।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী
সম্পদের তথ্য চেয়ে ২০০৭ সালে শামীম ইস্কান্দারকে নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশের পর সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২০০৮ সালে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নেন শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী। ২০১৬ সালে এ মামলা বাতিল চেয়ে করা শামীম ইস্কান্দারের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর আবারও মামলা বাতিল চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল শুনানির দিন পিছিয়ে আজ ২৯ মে নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ওঠে। পরে এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ৫ জুন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
পড়ুন: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, সহ-সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাবির সামছুন নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, খান মোহাম্মদ শিমুল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহিন তালুকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অভিজ্ঞান দাস অন্তু, অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের মজিবুল বাশার, সলিমুল্লাহ হলের নাজিমুদ্দিন সাইমুন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি শরীফ আহাম্মদ, এম রহমান হলের আব্দুর রাহিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ঢাবির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, শহীদুল্লাহ্ হলের সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদি, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ্র ও সৌরভ চক্রবর্তীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় ছাত্রলীগের অজ্ঞাত ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর তাদের হাতে থাকা লোহার রড, রাম দা, চাপাতি, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। হামলায় নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় প্রায় ৭০-৮০ নেতাকর্মী আহত হন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় টিএসসির বাইরের চত্বরের পশ্চিম পাশে মানসুরা আলম ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিক মুর্শেদসহ বেশ কয়েকজনকে পেটায় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
ডাটা সুরক্ষা আইনে স্টেক হোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। তবে কোন অযৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না।
তিনি জানান, ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের আগে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনা করা হবে। এর আগে তিনি জুন মাসের এক তারিখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য আয়োজিত ১৪৫তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সারা বিশ্বে ডাটা সুরক্ষার ব্যাপারে কি কি আইন আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যে উদ্দেশ্যে এইআইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য যাতে সাধিত হয়, সেই আইন করা হবে ইনশাল্লাহ।
দণ্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদে থাকার সুযোগ আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের ২-৩টি রায় আছে। তার জানামতে হাজী সেলিম এই মামলায় দণ্ডের বিষয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেছেন।
আরও পড়ুন: মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমার জানামতে যতক্ষণ পর্যন্ত এই আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদ ‘ইফেক্টেড’ হয় না, এটাই কিন্তু রায়ে আছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
মামলাজট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই জট কমানোর ব্যাপারে বিচারকদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, মামলাজট কমানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সালের পূর্বে বিচারক ছিল মাত্র সাত থেকে আট শত। এখন এ সংখ্যা উনিশ শতের উপরে। এই কয় বছরে এক হাজার ২২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারকদের যানবাহন সমস্যা সমাধানের পথে। অতি শিগগিরই তাদের জন্য জেলা পর্যায়ে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভাচুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে: আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী হওয়ায় বাংলাদেশ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তার প্রশংসা করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস এক বার্তায় জানায়, ‘এটি হাজারো বাংলাদেশিকে সম্মান জানানোর একটি সুযোগ যারা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করেছে।’
মার্কিন দূতাবাস স্কোয়াড্রন লিডার নাইমা হকের একটি ছবিও শেয়ার করেছে। নাইমা হক বাংলাদেশের প্রথম দুই নারী সামরিক হেলিকপ্টার পাইলটের একজন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় সপ্তাহের মতো ‘রিকশা গার্ল’
তিনি ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করেছেন।
২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস সংস্থাটির কাজে ইউনিফর্ম পরিহিত ও বেসামরিক কর্মীদের অমূল্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘের পতাকার তলে কাজ করে জীবন হারিয়েছে এমন প্রায় চার হাজার ২০০ শান্তিরক্ষীদের সম্মান জানানোর সুযোগ দেয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মানুষ, শান্তি, অগ্রগতি, অংশীদারিত্বের শক্তি’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এলজিইডি দেশের রোল মডেল হতে পারে: মন্ত্রী
দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রোল মডেল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে আয়োজিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নিজ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে যে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেয়া হয়েছে, তা অন্যান্য সরকারের আমলের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটির অনস্বীকার্য।
তিনি জানান, সকল প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। অজুহাত দিয়ে প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা যাবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তাজুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালকদের নিয়মিত সাইট ভিজিট এবং কাজের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া, মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ইটের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে। কোন ইটভাটার মালিক যদি গুণগত মানসম্পন্ন ইট উৎপাদন না করে তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা রাস্তা ও ব্রিজের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় কি পরিমাণ এবং কি ধরনের গাড়ি চলাচল করবে তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে অবকাঠামোগত কাজ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে গুরুত্ব অনুযায়ী নতুন নতুন প্রজেক্ট নিতে হবে।
যেসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা কম সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে না নেয়ার জন্য সকল প্রকল্প পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, শুধু শাস্তি দিলে হবে না, যারা ভালো কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে হবে। নতুবা ভালো কাজে আগ্রহী হবে না। দক্ষ জনবল তৈরি করতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে হলে দক্ষ জনবলের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এসময় এলজিইডির উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ওপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। উপস্থাপনায় এলজিইডির বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান প্রকৌশলী।
এর আগে, মন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সৌধ’ এর উদ্বোধন করেন।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী