%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
৪ ঘণ্টা বন্ধের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে ফেরি বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। ইতোমধ্যে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ পদ্মায় আটকে থাকা দুইটি ফেরি সকালে পাড়ে ভিড়েছে। পরে উভয় পাড়ে আটকে পড়া যানবাহন পারাপার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, সন্ধ্যা থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকে পড়ে দুটি ফেরি। পরে দুইটি ফেরি ঘাটে পৌঁছে। এছাড়া ছোটবড় মিলে আরও ১৩টি ফেরিকে উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ফেরি বন্ধ হয়ে পড়ায় পাটুরিয়া ঘাটে আটকে পড়েছে কয়েকশ যানবাহন। এর মধ্যে ২ শতাধিক নৈশ কোচ, দেড়শ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। সকাল ৭টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
‘ভারত সাহায্য না করলেও বাংলাদেশ হয়ত স্বাধীন হতো’
ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেছেন, ‘ভারত সাহায্য না করলেও বাংলাদেশ হয়ত স্বাধীন হতো।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। ভারত সহযোগিতা না করলেও হয়তো বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা অর্জন করত। তবে সেক্ষেত্রে হয়তো আরও সময় লাগত এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাটাও হয়তো বেড়ে যেতে।’
বৃহস্পতিবার পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত আইসিইউ সম্বলিত লাইভ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও প্রতীকী চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশের নয় বঙ্গবন্ধু ভারতেরও নায়ক’
ভারতের সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের নির্দশন স্বরুপ দু’দেশ এক যোগে কাজ করছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেয়। ১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। বাংলাদেশ গরীব দেশ নয়। জনসংখ্যা বেশি। এই জনসংখ্যা হচ্ছে সম্পদ। ভারতের জনসংখ্যা অনেক। এই জনসংখ্যা ও সম্পদকে কাজে লাগাতে দুই দেশ এক যোগে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রী পঞ্চগড়-থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণে ঘোষণা দিয়েছে। ভবিষ্যতে পঞ্চগড় থেকে কলকাতা রেল সংযোগ চালু হবে বলে আশা করেন তিনি।’
সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, ‘আমরা পাশাপাশি দুটি দেশ করোনা ঝুঁকিতে আছি। টিকার কোন সমস্যা হবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। ভারত সহযোগিতা না করলেও হয়তো বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা অর্জন করত। তবে সেক্ষেত্রে হয়তো আরও সময় লাগত এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাটাও হয়তো বেড়ে যেতে।’
মেয়র জাকিয়া খাতুন সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, পঞ্চগড় চেম্বারের সহসভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া ইসলাম, কাউন্সিলর লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এসময় পঞ্চগড় পৌরসভার কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বভ্রমণে ৫ দেশের জন্য বেঙ্গল এয়ারলিফট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাজমুন নাহার
বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পতাকাবাহী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার এরই মধ্যে ১৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। অতি শিগগিরই আবারও বাংলাদেশের পতাকা হাতে শান্তির বার্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। এই অভিযাত্রার পরবর্তী পাঁচটি দেশ ভ্রমণে নাজমুন নাহারের পাশে থাকবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ’।
গত ২৩ ডিসেম্বর ‘পতাকা কন্যা’খ্যাত নাজমুন নাহার-এর সঙ্গে বেঙ্গল এয়ারলিফট্ গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠানটির একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাজমুন নাহারসহ বেঙ্গল এয়ারলিফট্ গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আরিফ রহমান ও নির্বাহী পরিচালক জনাব বাহাউদ্দিন মিয়া সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
নাজমুন নাহার গত ২১ বছর ধরে বেশিরভাগ দেশেই সড়কপথে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা হাতে বিশ্ব শান্তির বার্তা পৌঁছাতে এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ১৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি ভূষিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’পদকে। তিনি পেয়েছেন ‘ডটার অব দ্য আর্থ’ উপাধিও। ইতোমধ্যে কোটি- কোটি মানুষের হৃদয়ে সাড়া জাগিয়েছেন এই নারী পরিব্রাজক! শুধু তাই নয় পৃথিবীব্যাপী তিনি পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি, ভূষিত হয়েছেন বহু সম্মাননায়।
সারা বিশ্বে শান্তি ও পরিবেশ রক্ষায় নাজমুন নাহারের এই আন্তরিক উদ্যোগ ও অভিযাত্রাকে আরও বেগবান করার প্রয়াসে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিমিটেড তার আগামী পাঁচটি দেশ ভ্রমণে সহযোগিতা করবে। তার যাত্রা শুরু হবে ইরাক হয়ে সিরিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান পর্যন্ত। বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ এর ব্যানারে নাজমুন নাহার এই পাঁচটি দেশ ভ্রমনে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি বহন করবে বিশ্ব-শান্তির বার্তা- ‘No war, Only Peace / Save the Planet / Stop child marriage /and Stop cyberbullying ’
তার এই মহান অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আরও গৌরবান্বিত হবে এটাই বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ এর একমাত্র প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফজলুল হক ইউএনবিকে বলেন, আমাদেরকে রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানানো হয়। তবে ঘন কুয়াশার কারণে প্রথম দিকে ফায়ার সার্ভিসের জাহাজগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মইনুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘লঞ্চ থেকে ৩৭টি লাশ এবং ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
৩৭টি লাশের মধ্যে চারটি শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকি ৩৩টি লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এএসপি।
আহত ৭২ জনের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ ৬৬ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শেবাচিমের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ১৮ জন নারী। আমাদের কাছে কোনো ডেডিকেটেড বার্ন ইউনিট না থাকায় তিনজন নারী ও চারজন পুরুষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে ইউএনবি বরিশাল প্রতিনিধি জানান, আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
এরই মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটিকে তীরে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল বিভাগ) কামাল উদ্দিন বলেন, ঝালকাঠির স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং পরে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস তাদের সাথে যোগ দেয়।
তিনি জানান, প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নেয়ার পর ১৫টি ফায়ার টেন্ডার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কামাল বলেন, বৃহস্পতিবার থাকায় লঞ্চটিতে ৮০০ যাত্রী ছিল। জাহাজে আগুন লাগার পর তাদের অধিকাংশই জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং সাঁতরে তীরে চলে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের দুই নাম্বার প্লাটফর্মে ট্রেনে কাটা পড়ে মো. তরিকুজ্জামান বকুল (৪৫) নামের হাইকোর্টের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. তরিকুজ্জামান বকুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
ঢাকা রেলওয়ে কমলাপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,কমলাপুর রেলস্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে অসাবধানতাবশত প্ল্যাটফর্মের নিচে পড়ে যায়। ওই সময় ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান,নিহত ব্যক্তি হাইকোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান নিহতের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ এলাকার ৩৬১/৩/৩ নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। নিহত ব্যক্তি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম কুলসুম আরা বেগম।
নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৭ জনকে আসামি করে মামলা
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ঘুরতে এসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা তিন জনসহ সাত জনকে আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুল ইসলাম আশিক, আবদুল জব্বার জয়, বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এদের মধ্যে ‘জিয়া গেস্ট ইন’ হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন র্যাবের হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
পুলিশ জানায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বুধবার সকালে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে।
বিকেলে তারা সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মা ও দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে ৪ স্কুলছাত্র অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে মালদ্বীপের উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকে পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,‘আমি মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকে পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামী ৫০ বছরে উন্নয়ন যাত্রায় আমাদের অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানাই।’
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের পিপলস মজলিসে (মালদ্বীপের সংসদ) স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের সভাপতিত্বে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্ভাবনা ও সুযোগে সমৃদ্ধ হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের কোনো দেশ বিচ্ছিন্নভাবে উন্নতি করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারি শিখিয়েছে যে সবাই পরস্পর নির্ভরশীল এবং একটি উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বার্থে সকলের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে নীতিগত অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছি, যেমনটি আমাদের জাতির পিতা চেয়েছিলেন। আমরা বিশেষ করে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রা, একটি মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ প্রত্যক্ষ করে উৎসাহিত হয়েছি।’
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত করব।’
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তনসহ আগামী ৫০ বছরের যাত্রা আরও ফলপ্রসূ হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-মালদ্বীপের ৩টি চুক্তি স্বাক্ষর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের নামে আদালতে মামলার আবেদন খারিজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলার আবেদন খারিজ করা হয়।
জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর মামলার আবেদনটি খারিজ করেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হক দোলন বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২০৩ ধারায় এই মামলার আবেদন খারিজ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনমামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোল্লা হাসান শরীফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিচারক মামলার আবেদন খারিজ করেন। এ নিয়ে বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও উচ্চ আদালতে মামলার আবেদন খারিজের বিষয়ে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে।মামলার আবেদনে বাদী অভিযোগ করেন, গত ১ ডিসেম্বর এক সাক্ষাতকারে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। যা যে কোনো নারীর জন্য মর্যাদা হানিকর। যা পরবর্তীতে ১ নম্বর আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় আসামি মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল এই বক্তব্য ধারণ করে ইউটিউবে আপলোড করায় আসামিদের অশালীন মিথ্যাচার ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক বক্তব্য মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমি মামলাটি করেছি।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে বরগুনায় মামলা: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স ভারতের চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা চালু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। আমাদের জাতীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করি যে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে (এই রুটে) জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন সহযোগিতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার সরাসরি ফ্লাইট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ জোরদার হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও মালে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মালদ্বীপের ৩টি চুক্তি স্বাক্ষর
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও খেলাধুলা, মৎস্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে একমত হন। এছাড়া উভয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।
বৈঠকে উভয়েই করের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যোগ্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক বিষয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেছি এবং ফলাফল সন্তোষজনক বলে মনে করেছি।’
শেখ হাসিনা ও মালে প্রেসিডেন্ট আয়ের উপর করের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যোগ্য স্বাস্থ্য পেশাদার নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক বিষয়েও আলোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘আমাদের আগের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা পর্যালোচনা করেছি এবং ফলাফল সন্তোষজনক বলে মনে করেছি।’
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা
গণহত্যা নিয়ে ইউএনবিতে আলোচনা অনুষ্ঠান
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নির্মম গণহত্যা নিয়ে ‘দখল দেশে: গণহত্যা ও ৭১’ শিরোনামের চার পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে ইউএনবিতে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পাকিস্তান ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়’। আজ বৃহস্পতিবার এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘গণহত্যা ও ৭১’ সম্প্রচার হয়েছে ইউএনবি প্লাটফর্মে।
চার পর্বের এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছেন ইউএনবি’র এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরী। তিনি একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন আফসান চৌধুরী।
‘দখল দেশে’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘গণহত্যা ও ৭১’ এ অতিথি হিসেবে থাকবেন গণহত্যা বিষয়ক গবেষক মো.এনামুল হক। তিনি বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের চারটি জেলা –রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে সংঘটিত ১১১টি গণহত্যা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন এবং এই গবেষণালব্ধ ফলাফল তাঁর রচিত চারটি বইতে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ৭১-এ নারীর ভূমিকা নিয়ে ইউএনবিতে পডকাস্ট
গবেষণা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন কর্মক্ষম ব্যক্তি। তাদের মৃত্যুর পর স্বজন হারানোর বেদনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহ করাটা তাদের পরিজনদের জন্য আরেকটি যুদ্ধের মতো ছিল।
তিনি আরও দেখেছেন, যেখানেই গণহত্যা হয়েছে সেখানেই ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনও হয়েছে।
মো.এনামুল হক বলেছেন, রাজাকারদের কারণে গণহত্যা বেশি হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি,রাগ,ক্ষোভের কারণেও অনেক গণহত্যা হয়েছে। গণহত্যা হানাদারেরা করলেও রাজাকাররা ছিল গণহত্যার মূল ইন্ধনদাতা।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদারদের প্রধান টার্গেট ছিল এদেশের হিন্দুরা। তাই যেখানে হিন্দু পেয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী পেয়েছে; তাদের কাউকে ছাড়েনি।
সবশেষে মুক্তিযুদ্ধ মানুষের মনে কেমন প্রভাব ফেলেছিল সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মানুষের মনে আতঙ্ক ও ভয় তৈরি করে। মানুষ একটা রাতও শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। বিজয়ের পর মানুষ আস্তে আস্তে এই দুর্বিষহ স্মৃতি ভুলতে থাকে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি এবং ঢাকা কুরিয়ারে এডিটর এট লার্জ হিসেবে যোগ দিলেন আফসান চৌধুরী
বাংলাদেশে গণহত্যার ‘স্বীকৃতি’ আদায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান