%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ইউএনবি)-ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি লিমিটেডের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য পাচঁ সদস্যের বোর্ড গঠন করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ইভ্যালির গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস তাদের পাওনা আদায়ের জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে পাওনার কথা বোর্ডের কাছে বা আদালতে জানাতে পারবেন। এছাড়া রায়ে গঠিত বোর্ড সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। লিখিত আদেশে আদালত আরও বলেছেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। অডিট লাগবে, বোর্ড অন্য কাজগুলোও দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ হিসাব, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে এই পুরো বিষয়টা অর্থাৎ কোম্পানিটি কী অবস্থায় আছে সেটার একটা খতিয়ান করতে হবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা।
তিনি বলেন, কোম্পানিটির যে দেনা রয়েছে, তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব, নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিত, এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়, তাহলে বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে। এক মাস পর আগামী ২৩ নভেম্বর সার্বিক বিষয়ে এ বোর্ড আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না- এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পরিষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ দেয়া হয়।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্পেন-এফবিসিসিআই এর আগ্রহ প্রকাশ
বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস বলেছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়ানোর অগাধ সম্ভাবনা থাকলেও, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি স্প্যানিশ কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। এ পরিমাণকে আরও বাড়ানো সম্ভব। তবে সেজন্য স্পেনের উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলতে হবে।
বৃহষ্পতিবার সকালে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস।
তিনি জানান, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে কমার্শিয়াল উয়িং চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত বাংলাদেশ-মেক্সিকো
স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানান, ইনডিটেক্স ও জারাসহ অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। কিন্তু কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মেশিন প্রস্তুতসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বহু স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেরই বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে হলে, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন জরুরি। এজন্য স্পেনের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সাথে এফবিসিসিআই’র এমওইউ হলে ব্যবসায়িক তথ্য আদান প্রদান সহজ হবে। এমন প্রস্তাবে একমত হন রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস।
শিগগিরই স্পেন দূতাবাসের কাছে সমঝোতা স্মারকের খসড়া কপি পাঠানো হবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, শুধু রপ্তানি নয়, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতি সহায়তা’ চায় বাংলাদেশ
দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার তথ্য জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতের মতো স্পেন এককভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু দু’দেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ মালিকানায় সিরামিক ও টাইলস খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক মোহাম্মাদ রিয়াদ আলী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি’র) দুই শিক্ষক সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের গবেষণা প্রবন্ধকে দুর্বল ও মানহীন বলে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রবন্ধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘লেখকদ্বয় অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে প্রতি পাতায় ফুট নোট উল্লেখ করেনি। কিন্তু প্রতি প্যারায় উদ্বৃতির পূর্বে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রবন্ধটির শেষেও রেফারেন্সে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রবন্ধের কোথাও মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের কোন উদ্বৃতিকে লেখকদ্বয় নিজের উদ্বৃতি বলে দাবি করেননি তাই তাদের কার্যক্রমকে সরাসরি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।’
এছাড়া ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তের নামে যে সময়ক্ষেপণ করেছে সেটাও তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে দুই শিক্ষকের প্রবন্ধ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৯ সালে এবং ট্রাইবুনাল গঠিত হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। এতো দীর্ঘমেয়াদী তদন্তের ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে। একইভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে যা কখনো ন্যায় বিচারের জন্য কাম্য নয়। এত দীর্ঘসূত্রিতা মূলত ন্যায়বিচারকে পরাভূত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ট্রাইব্যুালের প্রতিবেদনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দুই শিক্ষকের পদাবনতির সিদ্ধান্ত জানায় ঢাবি’র সিন্ডিকেট। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিল করতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে ট্রাইব্যুনালের এই প্রতিবেদন দাখিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা 'এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল 'ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি'তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর 'দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
শুধু মিশেল ফুকোরই নয়, বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদের 'কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' গ্রন্থের পাতার পর পাতাও সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বছর ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহবায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে গত ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় পদাবনতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সুপারিশের পরই শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পদাবনতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
সামিয়া রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথি ও অন্যান্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
নভেম্বরের মধ্যে চালু হবে বাংলাদেশ-কানাডা যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০১৭ সালে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে সম্মত হয় দুই দেশের সরকার। এ লক্ষ্যে একটি টার্মস অব রেফারেন্সও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও তা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপকে নভেম্বরের মধ্যে চালু করতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করেন হাইকমিশনার বেনোই প্রফনটেইন। তিনি জানান, এরইমধ্যে কানাডার পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতের চারজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
কানাডিয়ান হাই কমিশনারের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, তিনি নিজে এই গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে আছেন। চলতি মাসেই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসবে এফবিসিসিআই। তিনি জানান, বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনেকগুলো দেশ বিনিয়োগ করেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীদের জন্যও এসব অঞ্চল আকর্ষণীয় হতে পারে। প্রাইমারি টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিকস, আসবাব শিল্প, অবকাঠামো ও ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের বিকাশসহ আর্থ সামাজিক নানা সূচকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির দেশ হয়েও, কানাডার বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ এখনও অনেকটাই অপরিচিতি। তাই নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করছে না দেশটির উদ্যোক্তারা। তবে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে এরই মধ্যে সিনিয়র ট্রেড কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে কানাডা দূতাবাস।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারীরা নানা কারণে বিনিয়োগের জন্য চীনের বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
নিজের বাইকে আগুন দিলেন আরেক রাইড শেয়ারিং বাইকার
ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা করার চেষ্টা করায় নিজের বাইকে আগুন দিয়েছেন আরেক রাইড শেয়ারিং বাইকার। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে পলাশী মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মোর্শেদ বলেন,ইলিয়াস মিয়া (৩০) নামে একজন চালক ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে একজন সার্জেন্ট তাকে জরিমানা করায় রাগে সে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জরিমানা হওয়ার পর, তিনি পলাশী থেকে কাটাবনে যান এবং দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের এর দিকে তার মোটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: নিজের বাইকে আগুন দিলেন ক্ষুব্ধ রাইড শেয়ারিং চালক
ওসি আরও জানান, এর আগে তাকে দুবার জরিমানা করা হয়েছিল।
এম এম মোর্শেদ জানান,ঘটনার পর পুলিশের একটি দল ইলিয়াসের সাথে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি বলেন, লোকটি এক মাস আগে ঢাকায় এসেছে এবং করোনার সময় ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে রাইড শেয়ারিংয়ে চাকরি নিয়েছে।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মামলা করার চেষ্টা করার পর বাইকার শওকত আলী তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাংলাদেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা এবং সরকারের ওপরও হামলা। এটি করে তারা সরকারের ওপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো সরকারের সাথে হিন্দু সম্প্রদায় এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা এই হামলাগুলো করেছে।’বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. দেলদার হোসেনের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মালেক এবং নওগাঁ জেলার সংসদ সদস্যরা সম্মেলনে বক্তব্য দেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে বিএনপি-জামাত। ভোটের সময় ভারত বিরোধী শ্লোগান কারা দেয়, এই বিএনপি দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোট কেন্দ্রে যেতে বারণ কারা করে, এই বিএনপি-জামাতই করে। কোরআন শরিফ যে একজন মুসলমান যুবক রেখে এসেছিল, সেটি তো তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সে ধরা পড়লে বোঝা যাবে কার ইন্ধনে সে এটি করেছে। সবকিছু যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মুখটা চুপসে যাবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী‘সরকার দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। আমরা মনে করি, শক্তিশালী বিরোধী দল গণতন্ত্রকে সংহত করে। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা চাইলেও বিএনপি শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি’র জোট থেকে অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছে, বিএনপির রাজনীতিও অনেকে ছেড়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন যে, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।’কুমিল্লা ও পীরগঞ্জের ঘটনার প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। সুতরাং যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছে এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেটি সরকার দমন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্রটা করেছিল তারা আরও ষড়যন্ত্র করবে। কারণ তারা সময়ে সময়ে এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের শুরুতে গুজব রটিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে এবং অতি সম্প্রতি পূজা মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। আমরা তাদেরকে দমন করেছি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র এবং কুচক্র পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে সেটি আমি মনে করি না।’
আরও পড়ুন: সকল সম্প্রদায়ের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ পৌঁছাবে স্বপ্নের ঠিকানায়: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে ধামইরহাট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতি আছে, তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের সুসম্পর্কের ওপর কালিমা লেপন করার হীন উদ্দেশ্যে দুর্গা পূজাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের সরকার দৃঢ় হাতে সেটি দমন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমাদের দল অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য হীন, তারা এ ধরনের আরও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। তাই আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো যে আপাতত এই দুস্কৃতিকারীরা নিবৃত্ত হয়েছে মনে হলেও আমাদেরকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুমিল্লার সাম্প্রতিক ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের উচিত প্রতিটি এলাকায় তাদের নজরদারি আরও জোরদার করা।’
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে আওয়ামী লীগের কুমিল্লা সিটি ইউনিটের জন্য কার্যত নবনির্মিত অফিস ভবন উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা ও মেঘনা নামে দুই বিভাগ চান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদেরকে 'শান্তি সম্মেলন' ও 'শান্তি মিছিল' বের করার উদ্যোগ নিতে বলেন যাতে কোন সংঘাত না ঘটে এবং মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের মত সকল ধর্মের মানুষ এই মাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় যা ঘটেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ইসলাম কখনোই অন্য ধর্মকে হেয় করার অনুমতি দেয় না। নিজের ধর্মকে সম্মান করার পাশাপাশি অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মের অবমাননা করা হয়, তাহলে এটি শেষ পর্যন্ত নিজের ধর্মকে অপমান করা হয়। যদি আমরা কুমিল্লার ঘটনা বিশ্লেষণ করি, আমরা দেখব অন্য ধর্মের অবমাননা করতে গিয়ে আমাদের পবিত্র কোরআনকে অপমান করা হয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: পূর্বাচলে অত্যাধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আইন নিজের হাতে না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যদি কেউ অপরাধ করে, অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, সে যেই হোক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বলেছেন। প্রত্যেককে অবশ্যই এটি জানতে হবে, মনে রাখতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা সব ধর্মের। সব ধর্মের মানুষ সেখানে রক্ত ঝরিয়েছে। সুতরাং, আমাদের সবাইকে এটা মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের।’
রংপুরের কুমিল্লা ও পীরগঞ্জে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো ও রান্না করা খাবার, কাপড় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করব। আমরা ইতোমধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি, আওয়ামী লীগ সবসময় ভুক্তভোগীদের পাশে থাকে।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কিছু মানুষ আছে যারা অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না। পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসার কারণে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত এবং খালেদা জিয়া চায় না বাংলাদেশ মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক।’
যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আসকের
শিক্ষাঙ্গন ও কর্মস্থলে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এক যুগেরও বেশি সময় আগে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসকের) পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান ও সৈয়দা নাসরিন রিটটি করেন। রিটে জনপ্রশাসন সচিবসহ ৪৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
পরে মো.শাহিনুজ্জামান জানান,২০০৯ সালে হাইকোর্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন দেন। এতে সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি করে কমিটি গঠনসহ বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। এমনকি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোন কমিটি নেই। এজন্য ওই রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে আমরা রিট করেছি।
জানা যায়,বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নামে কমিটি গঠন করার আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের পর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দু’জন সদস্য নিতে হবে। আরও বলা হয়,সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও জনমত তৈরির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে,সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গীয় সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিক নির্দেশনাটি বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।
হাইকোর্টের এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ নির্দেশনাই আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
হাইকোর্টের রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। ই-মেইল, এসএমএস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি, যে কোনো ধরনের অশালীন চিত্র,অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে।
শুধু কর্মস্থল কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের হয়রানি ঘটে না, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অশালীন উক্তি,কটূক্তি করা,কারও দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো ইত্যাদিকে যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হবে। রায়ে বলা হয়, কোনো নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা,মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন,অশালীন চিত্র,দেয়াল লিখন, আপত্তিকর কিছু করাও যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হাসপাতালে ভর্তির সময় কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও র্যাগিং বন্ধে হাইকোর্টে রিট
জয়পুরহাটে এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার স্কুলছাত্রী নুসরাত মাহিরা
জয়পুরহাটে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করলো জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত মাহিরা।
নুসরাত শিশু বিষয়ক সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর শিশু সাংবাদিক।
প্রতীকী দায়িত্ব নিয়েই জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলাকে নারীবান্ধব করতে ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান নুসরাত মাহিরা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ধান খেত থেকে ২ যুবকের লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞার কাছ থেকে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ করে নুসরাত মাহিরা। এসময় পুলিশ সুপার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়ে নুসরাত বলেছে, জয়পুরহাট জেলায় দিন দিন বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলছে। নারী ও কিশোরী নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে আমি একজন নারী হিসেবে এদেশের লাখ লাখ কিশোরীর মত স্বপ্ন দেখি একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ এবং সুন্দর সমাজের। যেখানে হাজারো স্বপ্ন বুকে নিয়ে কোন কিশোরী কিংবা কোন শিশুকে ধর্ষণের শিকার হতে হবে না। যেখানে ধর্ষণের শিকার হয়ে কোন মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে না। রাষ্ট্র প্রতিটি নারীর ও শিশুর সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই আমি আশা করি, ধর্ষিত কিশোরীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। একটি ধর্ষণমুক্ত, ইভটিজিংমুক্ত নারী ও শিশুবান্ধব জয়পুরহাট জেলা গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রতীকী এই পুলিশ সুপার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নারী ও কিশোরী তরুণীদের যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম অনলাইন ভিত্তিক সাইবার বুলিং। এর মাধ্যমে নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছে। এখনো বাংলাদেশের অধিকাংশ কিশোরীরা জানে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সর্ম্পকে। আমি চাই জয়পুরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি টিম থাকবে। যার মাধ্যমে কিশোরীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও সকলকে সচেতন করে গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
সর্বোপরি নারী বা পুরুষ নয়, একজন মানুষ হিসেবে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় সে নারী নির্যাতন, কন্যা শিশু বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং, বাল্যবিয়ে রোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ সামাজিক অপরাধ রোধে আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, নারীদের বাদ দিয়ে কোন সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীদের নিয়েই আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, অসীম ক্ষমতার অধিকারী নারী। যে সব রাষ্ট্র নারীর ক্ষমতায়ন দিয়েছে তারাই এগিয়ে গেছে। তাই নারীর সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন না দিলে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে গোপনে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ চক্রের ৬ সদস্য আটক
প্রতীকী পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ এর জেলা উপদেষ্টা তিতাস মোস্তফার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, (এনসিটিএফ) জেলা ভলন্টিয়ার তৃষা রানী, সভাপতি কে এম সাজিন, সাধারণ সম্পাদক লেফতাকুল মদিনা, শিশু গবেষক
ফারহানা আফরিন সাথী, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের 'গার্লস টেকওভার' কর্মসূচির আওতায় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সহযোগিতায় নারী নেতৃত্ব উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির আওতায় এই দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মাধ্যমে একজন কিশোরী, কন্যা শিশু অথবা যুব নারীকে নেতৃত্ব প্রদানকারীর ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করা হয় যাতে করে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণে সে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।
এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার নুসরাত মাহিরা দায়িত্ব শেষে পালন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন এক ঘন্টার পুলিশ সুপার নুসরাত মাহিরা।
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১৭০
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ১৩৯ জন ঢাকায় এবং বাকি ৩১ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৭৯২ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৬২৪ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাদান লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চাশ ভাগ পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার সাত জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২১ হাজার ১৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৪ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিছু দিনের মধ্যে শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী