%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
নাইমুল আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল
প্রথম আলোর সাময়িকী ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ও আবরারের বাবা বাদী হয়ে এ রিট আবেদন করেন। রিটে ৫০ কোটি টাকা কলেজেটির জন্য এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা নাইমুল আবরারের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আব্দুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী আব্দুর রউফ বলেন, ওই ঘটনায় কলেজের সুনাম ক্ষু্ণ্ন হয়েছে। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোর সঙ্গে অনুষ্ঠানের যে চুক্তি করে তাতে কার কী দায়দায়িত্ব তা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার দায়িত্ব ছিল প্রথম আলোর আয়োজকদের। এ কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ৫০ কোটি এবং আবরারের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা দিতে এ রিট করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাত নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। ওই দিন বিকালে বিদ্যুতায়িত হওয়ার পর আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম স্থগিত
এরপর একই বছরের ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আদেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, প্রথমআলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পুরান তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হওলাদার। আসামিদের সবাই জামিনে রয়েছেন। তবে অপর আসামি কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এরপরে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মতিউর রহমান। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এদিকে, ২০১৯ সালেই ওই কলেজের সাবেক ছাত্র ওবায়েদ আহমেদ ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেছিল। তখন আদালত বলেছিলেন, ক্ষতিপূরণের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করতে হবে। সে অনুযায়ী নতুন করে রিট করায় গতকাল রুল জারি হলো।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শিথিল
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে আগাম প্রবেশের অনুমোদন পাওয়ার পর করোনার বিস্তার প্রতিরোধে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জাপানের
এক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের মালয়েশিয়ার ভিসা থাকতে হবে। আরটি পিসিআর পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ ফলাফলের সাথে এইচডাব্লিউও অনুমোদিত টিকা দেয়া থাকতে হবে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
দেশের গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর থেকে নেয়া হবে।
প্রথম দিন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
মুনাজ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি শুরু হবে। এরপর মানবিক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর এবং বাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বারবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে আবার পরিবর্তন করিনি। উপযুক্ত সময়ে যেনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকঠাকভাবে আমরা এসব তারিখেই পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ঝুমনের করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে ঝুমনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা ও আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ঝুমন।
১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তার আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করা হয়। তাঁকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন
গত ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মার্চ তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এই মামলায় ঝুমন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা ১৮ জুলাই নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন চান ঝুমন, যা ৩ আগস্ট খারিজ হয়। তারপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ঝুমন। এই আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া ও ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রীবৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করতেই সাংবাদিক নেতারা এসেছিলেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সরকার যে কারো হিসাব চাইতে পারে, কিন্তু কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো, এটিই তাদের উদ্বেগের কারণ। আমি তাদেরকে বলেছি যে, অহেতুক যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি দেখবো।’‘সেই সাথে এই হিসাব চাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের সাথে সাংবাদিকদের যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য তারাও বলেছেন, আমিও তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য, দেখভাল করার জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণে অনুদান দিয়েছেন। করোনাকালে সাংবাদিকদেরকে এককালীন সহায়তা দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সাংবাদিকদের যাতে কোনো কারণে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সবসময় যত্নবান এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। কেউ যাতে সরকারের সাথে সাংবাদিকদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
ঢাকার একটি আদালত মঙ্গলবার ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে ধানমন্ডি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।
গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই আদেশ দেন।
আদালত তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিনের রিমান্ডের মেয়াদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
পুলিশ দুজনকে আদালতে হাজির করে এবং মামলায় প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চায়।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন পল্টন এলাকার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে আছেন, ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জাওয়াদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
উল্লেখ্য, এর আগে শামীমা এবং কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের রাসেল গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২ আগস্ট একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ চিঠির মাধ্যমে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
বাংলাদেশিদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জাপানের
করোনার কারণে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জাপান। গতকাল সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত থেকে জাপান সরকারের এ প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্যকর হয়েছে।
হালনাগাদ কোভিড-১৯ প্রতিরোধমূলক নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে জাপানে প্রত্যাবর্তনকারীদের নীতিগতভাবে 'বিশেষ ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি'র আওতায় পুনঃপ্রবেশ করতে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি ১০ অক্টোবর
যাদের পুনঃপ্রবেশ অনুমতির মেয়াদ আছে, তারা সরাসরি জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে পুনঃপ্রবেশ অনুমতি মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে গেলে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এছাড়া, নতুন নীতিমালায় জাপানে প্রবেশের পর সরকার নির্ধারিত স্থানে কোয়ারান্টাইনের সময়কাল ছয় দিন থেকে কমিয়ে তিনদিন করা হয়েছে। তৃতীয় দিনে সম্পাদিত পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনের অবশিষ্ট সময়কালে নিজ বাসস্থানে অথবা সরকার নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে পারবেন।
ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা বাড়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা এক রিট মামলা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জানা গেছে, এর আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জন ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তবে হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিট মামলাটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন। তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা (রিটকারী পক্ষ) রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করুন।
আরও পড়ুন: টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে রিটের আদেশ রবিবার
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা এবং হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন। জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।
কারাগারে চিকিৎসকের ২৯ শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
সারা দেশের কারাগারগুলোতে চিকিৎসকের ২৯ শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'সারা দেশের কারাগারগুলোতে মোট ১৪১ জন চিকিৎসক প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে ১১২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শূন্য ২৯ পদেও খুব শিগগিরই নিয়োগ দেয়া হবে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বাকি ২৯ জনকে দ্রুত নিয়োগ দিতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।'
আরও পড়ুন: হাসপাতালে বাক্সবন্দি ২৮ যন্ত্র: তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গেছে, সারা দেশে মোট ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে বন্দির তুলনায় চিকিৎসক সংকট ছিল। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৯ সালে কারাবন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে কারাবন্দিদের বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান এবং কারা কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে আাদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।
এরপর কারা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তারিখে হলফনামার মাধ্যমে দেশের সকল কারাগারে ২৪ জন ডাক্তার থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করেন, একই সঙ্গে অবশিষ্ট খালি ১১৭টি পদে ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট অনতিবিলম্বে শূন্য পদে ১১৭ জন ডাক্তার নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ না কাটার নির্দেশ হাইকোর্টের
এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ হলফের মাধ্যমে আদালতকে জানায় যে, ১৪১ পদের বিপরীতে ১১২ জন ডাক্তার দেশের বিভিন্ন কারাগারে নিয়োজিত আছেন। মঙ্গলবার ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট কারা চিকিৎসকের শুন্য ২৯ পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেন।
করোনায় মৃত্যু ২৬, বেড়েছে শনাক্ত
দেশে করোনায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৬২ জনের। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭ হাজার ২৭৭ জনে। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জনে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু বান্ধব অসহায় ঢাকা!
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৪.৬৯ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৩৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী তিনজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন,বরিশালে ০ জন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে ০ জন ও ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ৪৭ লাখ ছুঁইছুঁই
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৫৯৩ কোটি ৬৮ লাখ ২১ হাজার ৭৭৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ৭৬ হাজার ৫৯ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরু করবে ভারত
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বুধবার পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৯ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩ জনে।