%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কুড়িগ্রামে প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রামে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রাইভেট শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আ. সবুর (৩০) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল গ্রামের আ. নূরের ছেলে।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি আ. সবুর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। ২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে আ. সবুর ওই ছাত্রীকে বেশি সময় ধরে প্রাইভেট পড়ানোর পর রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পথিমধ্যে একটি বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রকাশ করলে ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় সবুর।
রাতে ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে কিছু না বললেও পরের দিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সবুরকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার বিকালে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ।
পড়ুন: নড়াইলে বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
উখিয়ায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা থেকে মঙ্গলবার দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ঘুমধুম বিওপির সদস্যরা উখিয়ার ৫ম পালংখালী ইউপি কস্টমস মোড়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে কতিপয় ইয়াবা পাচারকারি বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে বিজিবির উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। টহলদল কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে তাদের জান-মাল, অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ী গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে ওই ব্যাগ থেকে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিএমপির পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার, ১৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১: ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
রাজধানীতে ২ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
বিনা প্রয়োজনে নগরবাসীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে অভিযানও পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসমাগম ব্যাপক হারে বেড়েছে। এতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল ও আড্ডায় বিধিনিষেধ আনার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত তিন দিন অভিযান চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মালিককে জরিমানা করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকার পাশে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনের ভাসমান দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সেখানে কোনো ভাসমান দোকান দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাস আগের তুলনায় সংকীর্ণ হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি বলেন, যারা ক্যাম্পাসের না, তারা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন। আমাদের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে আসে। তবে বিনা প্রয়োজনে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে না আসাই ভালো। অতিরিক্ত জনসমাগমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র না। এটি মাথায় রাখতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ২.৫৬ শতাংশ
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
সিএমপির পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার, ১৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার টোল প্লাজার আনসার ক্যাম্পের সামনে থেকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১৪ হাজার ইয়াবা জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসেন বাকলিয়া থানার বলীরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তিনি খুলনার বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার কালিগাতী গ্রামের মুন্সী নুরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, দাউদকান্দির টোল প্লাজার আনসার ক্যাম্পের সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলসহ সিএমপির বাকলিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসনকে আটক করা হয়। পরে তার কাঁধে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জনৈক শাহ আলমের কাছ থেকে এসব ইয়াবা নিয়ে ঢাকার একটি পার্টির কাছে ইয়াবার চালানটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় সিএমপির কনস্টেবল আজমীর ও সরবরাহকারী শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশই তদন্ত করছে।সিএমপির বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, মুন্সি আজমীর বলিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিল। সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সে ডিউটিতে ছিল। এরপর আট ঘণ্টার বিশ্রামে ছিল। কর্মস্থল থেকে ছুটি না নিয়ে বিশ্রামের ফাঁকে সে ইয়াবা নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছিল। বিকেলে আমরা আজমীরকে গ্রেপ্তারের খবর পাই।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ২ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, পলাতক ২
সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
আদালতের রায় বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ফেরত দিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার বাংলাদেশে সফরতর যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের সবজি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ভিসা সহজতর করতে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত থাকার আহ্বান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি টেকসই সমাধানের আশ্বাস দেন লর্ড আহমেদ।
সাইবার নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়ে দুই মন্ত্রী মত বিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানান লর্ড আহমেদ এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেন।
করোনার ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে পরবর্তীতে এ তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয় দেশটি। এ জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ দেন।
এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে লর্ড আহমেদ ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য: উন্নয়ন অংশীদার’ শীর্ষক এক সভায় বক্তব্য দেন।
ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের ২১তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের বাংলাদেশে সফরে এসেছেন লর্ড আহমেদ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার
বাংলাদেশকে পাঁচটি নৌ জাহাজ দেবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরব বাংলাদেশের ভালো বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ভালো বন্ধু এবং আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সৌদি আরব এবং কিং সালমান হিউমানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টারের প্রদত্ত ১৫ লাখ ডোজ আস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন সৌদি সরকার এবং কিং সালমান হিউমানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টারের প্রশংসা করে বলেন, বিগত বছরগুলোতে এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও সৌদি আরব আমাদের অনেক সহায়তা করেছে- এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান।
অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, কিং সালমান হিউমানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টারের পরিচালক ড. আব্দুল্লা আলওয়াদী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজেএমসি’র বন্ধ মিলগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বুধবার মাওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। ‘মজলুম জননেতা’ (দরিদ্রদের নেতা) নামে পরিচিত এই জনপ্রিয় নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। যেখানে এই মহান নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ভাসানীকন্যার অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), গণসংহতি আন্দোলন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মহান নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করবেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টাঙ্গাইলে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এ উপলক্ষে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মাওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এদিকে ভাসানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গঙ্গা নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেছিলেন।
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে বগুড়ার তুফান সরকারের জামিন
বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারকে দুদকের মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
এর আগে, ১৮ অক্টোবর তাকে কেন এ মামলায় জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। মামলায়, ২৯ লাখ ৭৯ লাখ ৮৭০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ: বগুড়ার সেই তুফান সরকারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
জানা যায়, ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক ছাত্রীকে এক বাসায় নিয়ে যান সে সময়ের বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমানে বহিষ্কার) তুফান সরকার। পরে সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন কাউন্সিলর মারজিয়া গত বছরের ২৮ জুলাই ওই মেয়ে এবং তাঁর মাকে বাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে মারজিয়া হাসান এবং পরে তুফান সরকারসহ সহযোগীদের আটক করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই রাতেই মামলা করেন। এ মামলায় গত জানুয়ারিতে হাইকোর্ট তুফান সরকারকে জামিন দেন। তবে ২০১৯ সালে দুদকের এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধডজন মামলা রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই কারাগারে রয়েছেন তুফান সরকার।
আরও পড়ুন: বগুড়ার সেই তুফান সরকারের জামিন আপিল বিভাগেও খারিজ
সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
তার জবানবন্দি শেষ হলেও আংশিক জেরা শুরু করে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, 'জামিলুল হক ছিলেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে এ মামলার দায়িত্ব নেন মো. খায়রুল ইসলাম। ইতোপূর্বে জামিলুল হকের জবানবন্দি ও অসমাপ্ত জেরা শেষ হয়। এরপর খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের একজন আইনজীবীর জেরার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে। তার পরবর্তী জেরা হবে আগামীকাল বুধবার।
এ পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৬৫ তম সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা বাকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর
সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
ই-কমার্স খাতের অর্থপাচার: প্রতিবেদন না পেয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ
দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়ে নির্ধারিত সময়ে তা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, ‘নোটিশ জারির পরেও তারা রেস্পন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেব।’ এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ’ মি. ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করবো না।’
আরও পড়ুন: আইন বিভাগের মতামতের পর ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়ের টাকা ফেরত
এরপর আদালতে ২৩ নভেম্বর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, কিভাবে এসব টাকা হস্তান্তর হয়েছে, এক্ষেত্রে যে অর্থ পাচার হয়েছে-সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। একইসঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে কি পলিসি নেয়া হয়েছে, আদৌ কোন পলিসি আছে কিনা কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা হয় কিনা-সে ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) জানাতে বলা হয়। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চান আদালত। সরকারও এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়। ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ভুক্তভোগীদের করা পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন। এ বিষয়ে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি রিট করেন। এই রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত ই-কমার্স কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত এসব ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে দুদকের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যলি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনটি রিটের ওপর একসাথে শুনানি হয়।