%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ড্রোন প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, বৈরি আবহাওয়াজনিত ঘটনা বা রোগের কারণে হওয়া ফসলের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্ত করতে রিমোট সেন্সিং ও ড্রোন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রায় ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় ‘শস্য পর্যবেক্ষণ এবং ফসলের ক্ষতির মূল্যায়নের জন্য ড্রোন এবং স্যাটেলাইট চিত্রের ব্যবহার’ শীর্ষক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী ও বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এডিবি যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করবেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর দ্য সেমি-অ্যারিড ট্রপিকসের (আইসিআরআইএসএটি) প্রখ্যাত ভূ-স্থানিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রশিক্ষণার্থীরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্তকরণের জন্য ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) এবং রিমোট সেন্সিং বিশ্লেষণের ওপর চার দিনের প্রশিক্ষণ পাবে। এরপর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাউন্ড ডাটা সংগ্রহের পদ্ধতি শিখতে সিলেটে তিন দিনের মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
২০২২ সালের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সিলেটে প্রশিক্ষণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে কৃষি উৎপাদনশীলতা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফসলের রোগ ও ক্ষয়ক্ষতির যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি বলে মনে করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
গিন্টিং আরও বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে উন্নত প্রযুক্তিসহ উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসা অব্যাহত রাখবে এডিবি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভবিষ্যতে উন্নত জিওস্প্যাটিয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের কর্মকর্তারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি প্রশমনে কার্যকর সরকারি কর্মসূচি গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে এডিবি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করবে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ এলাকায় এডিবির সহায়তায় সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মূল্যায়ন সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশব্যাপী ছোট আকারে জলবায়ু দুর্যোগ নিরূপণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করবে।
সমৃদ্ধ ও সহনশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়তে জাপান সরকারের অর্থায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জাপান ফান্ড থেকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য তহবিল দিচ্ছে।
দেশে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ২৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৪ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২০ জনের করোনা শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৪১ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল, সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি, যাতে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছি।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
ব্রুনাইয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ও তার পরিবারের সদস্য, চার জাতীয় নেতা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
উপস্থিত সবাইকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উপস্থিত সবার নিকট তুলে ধরেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ ও কার্যক্রম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিল।
তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অসীম সাহসিকতাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি। সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙালী জাতীয়তাবোধ, এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও একতাবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শক্তিশালী পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে যে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সেই মহান কীর্তিগাথার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এক রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, এনার্জি ও তথ্য প্রযুক্তিসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ।
তিনি সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ সফল করতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করছে জাতি
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে দ্রুতগামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকটি যানবাহনকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে অন্তত ১৪ জন নিহত হন। এতে আহত হন অন্তত আরও ২৫ জন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠি-খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবখান ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দম্পতি নিহত
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে টোলগেটের সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস, ৩টি অটোরিকশা ও একটি পিকআপসহ ১০টি গাড়িকে চাপা দেয়। গাড়িগুলোকে নিয়েই ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ১৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পিকআপের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত, বাবা-মেয়ে আহত
হাজিদের বাড়ি ভাড়াসহ অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি: হাব সভাপতি
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেছেন, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের কারণে এখনও সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, হাজিদের বাড়ি ভাড়াসহ অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি। অথচ চলতি বছরের হজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হতে পারে ১৬ জুন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হাব আয়োজিত হজ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সারা দেশের হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে হাব এবিষয়ে পূর্বেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হজযাত্রীদের কল্যাণে সুশৃংখল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সতর্ক থাকুন: হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। কোনো হাজি যেন হজে গিয়ে কষ্ট না পান, সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
হাব সভাপতি বলেন, ‘মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা হজ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে না। হজ ব্যবস্থাপনায় আবার চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। আমরা পূর্বেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম যে হজ ব্যবস্থাপনা এ বছর চ্যালেঞ্জিং হবে। এজেন্সি কোটা সর্বনিম্ন ১০০ জন রাখতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। কোনো এক অজানা কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীর সংখ্যা কমাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ এজেন্সি কোটা ৩০০ থাকা সত্ত্বেও কি কারণে ৫০০ জন করা হলো যা বোধগম্য নয়।’
আরও পড়ুন: ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ
তিনি বলেন, সৌদি সরকার ৫৬ এজেন্সির মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিলেও আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম। কারণ এজেন্সিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলে সব যাত্রীকে সেবা প্রদান করা দুরূহ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ হাজীদের সঠিকভাবে সেবা প্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটে।
হাব সভাপতি বলেন, ‘হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধি বা মোনাজ্জেম সৌদিতে যেতে হয়। প্রতিবছর মোনাজ্জেমদের সৌদি যেতে মাল্টিপল ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরিচালক হজ অফিসের নির্দেশনা মোতবেক এজেন্সিগুলো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনও হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম বা প্রদিনিধিদের ভিজিট ভিসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোনাজ্জেম ছাড়া বাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
গ্রিসে '৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগ দেন হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ১৬-১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত '৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্স গ্রিস ২০২৪' এ যোগ দেন।
সম্মেলনে তিনি একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সম্মেলনটি সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর জন্য একটি নিয়মিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। যেখানে মহাসাগরের সুরক্ষার জন্য সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয় এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে সবাই একত্রিত হন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথম দিনে জাহাজ খাতের সবুজায়ন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা, সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার কার্যকর ব্যবস্থাপনা, মহাসাগর-জলবায়ু বন্ধন বিষয়ে বিভিন্ন প্লেনারি সেশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ পর্যায়ের সেশনে অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।
সম্মেলনের এক ফাঁকে ১৬ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গেরাপেট্রিটিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মহাসাগর মানব অস্তিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের বেঁচে থাকা, সুস্থতা ও সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। মহাসাগর আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে, জলবায়ুও নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া, আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে বড় ভূমিকা রাখে।
মহাসাগর বিশ্ব অর্থনীতির বেশিরভাগ অংশে ভূমিকা রাখে। যার মধ্যে রয়েছে- পর্যটন থেকে মৎস্য এবং আন্তর্জাতিক শিপিং সেক্টর।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সমুদ্র ও মহাসাগর এবং বিশেষত সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য টেকসই নয় এমন অনুশীলনের কারণে হুমকির সম্মুখীন। সেগুলো হতে পারে- বজ্রযুক্ত পানি ও সামুদ্রিক আবর্জনার নির্গমন, অনিয়ন্ত্রিত ও অনথিভুক্ত মাছ শিকার, অস্থিতিশীল সামুদ্রিক যানের চলাচল ও পর্যটন কার্যক্রম।
তারা আরও বলেন, মানবসৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবগুলো হ্রাস করতে এবং মহাসাগরগুলোর বর্তমান অবস্থার উন্নতি করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়া অপরিহার্য।
এক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান বাস্তবায়ন, টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং মহাসাগরের সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশ, এনজিও, বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, পেশাদার গোষ্ঠী, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং আরও অনেকের মধ্যে সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪৬ সদস্য মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘গত রাতে (মঙ্গলবার রাতে) নতুন করে আরও ৪৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ২৬০ জন বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছেন।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯
বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করছে জাতি
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন উপলক্ষে বুধবার পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।
মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটি শুরু হয়।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে, করছে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় একটি আম বাগানে সমবেত হন। পরবর্তীতে এ স্থানের নাম রাখা হয় মুজিবনগর।
মুজিবনগর সরকারে বঙ্গবন্ধুকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয় এবং খন্দকার মোশতাক আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়।
মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস