বাংলাদেশ
আগামী নির্বাচন অধিকতর গ্রহণযোগ্য করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে তার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সরকারের নেয়া ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকা-৪ (ডেমরা-শ্যামপুর) আসনের জাপার এই সংসদ সদস্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে এতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চান।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক সংস্থা।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান ও আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। সরকার নির্বাচন কমিশনকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ইসি তার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাধীন থাকবে এবং এটি কেবল সংবিধান ও আইনের আওতাধীন থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ইসির কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা সরকার ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: জনগণের নিরাপত্তার শেষ অবলম্বন হিসেবে আস্থা অর্জন করুন, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, তাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তরিক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি অপরিহার্য উপাদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা ঐতিহাসিক ও অনস্বীকার্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ছবি সম্বলিত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন চালু করা হয়েছে।
নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের দাবিতে রিট
কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন তারা। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন-মো. আসাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো. রেজাউল করিম এবং মো. আলাউদ্দিন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দেশের আপামর জনগণ জানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু বাস্তবে এটির কোনো দালিলিক ভিত্তি নেই। মৌখিকভাবে তিনি জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই।
বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
রিটকারী আইনজীবীরা আরও জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলাসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং কবির মৃত্যুর ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির বিষয়ে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যদিও ইতোপূর্বে নজরুল ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুই-একবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনো আলোর মুখ দেখেনি। তাই দেশের সচেতন নাগরিক এবং উচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।
এর আগে গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টের রিটকারী আইনজীবীদের পক্ষে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিল যুক্তরাজ্য
সিলেট বিভাগে চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য আরও চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪৮ পাউন্ডের (পাঁচ কোটি টাকার বেশি) জরুরি তহবিল বরাদ্দ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এ নিয়ে সাম্প্রতিক বন্যায় ত্রাণ প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যের অবদান ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ পাউন্ডে (সাত কোটি টাকার বেশি) পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশে এ বছর বন্যার ফলে তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে তা দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যে নতুন জরুরি তহবিল দিয়েছে তা নগদ সহায়তা, আশ্রয় ব্যবস্থাপনা, পানি, স্যানিটেশন ও শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।’
যুক্তরাজ্যের অর্থায়ন স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হয়েছে এবং কারিতাস বাংলাদেশ, ক্রিশ্চিয়ান এইড, ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: সুরমায় পানি কমলেও বেড়েছে কুশিয়ারায়
দেশে করোনায় মৃত্যু ১, বেড়েছে শনাক্তের হার
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ১৩৫ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৪ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৫৩৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ছয় হাজার ১০৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫৪ কোটি ছাড়াল
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল
পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ খুবই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই ফসলের ক্ষতি হয়। এ অবস্থায়, কৃষি উৎপাদন ধরে রাখতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার বা অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, খরা প্রভৃতি বাড়বে। এসব বিরূপ পরিবেশে চাষযোগ্য ফসলের জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।বুধবার ‘সাউথ এশিয়া নাইট্রোজেন ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি বিষয়ক' সাব রিজিওনাল ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় বড় ক্ষতি হবেনা, মোকাবিলার ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদশে নাইট্রোজেনের ইফিসিয়েন্সি খুবই কম, মাত্র ৩০-৩৫ ভাগ। নাইট্রোজেনের বাকী ৬০-৭০ ভাগ অপচয় হয়ে যায়। এ অবস্থায়, ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।আঞ্চলিক পলিসি রিপোর্ট প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষি হলো প্রধান জীবিকা যেখানে ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এই অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার বিকাশে এখনই পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
সিলেটে বন্যা: সুরমায় পানি কমলেও বেড়েছে কুশিয়ারায়
সিলেটে কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দুটিতে রয়েছে অপরিবর্তিত। আর সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদী তীরবর্তী পাঁচ উপজেলায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের যেসব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার। আগের দিন থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায়। আর পরিস্থিতি অপরবর্তিত রয়েছে জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলার।কুশিয়ারা নদীর পানি মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সকল পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধির ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, লাউতা, শেওলা, মাথিউরা, মোল্লাপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় মারা গেছে ৩ হাজারের বেশি গবাদিপশু
উপজেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারিভাবে সাড়ে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বালাগঞ্জ উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধির ফলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত এলাকায় অন্তত ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জের ইলাশপুর এলাকায় সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার অন্তত ৬০ ভাগ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি রয়েছেন।ওসমানীনগর উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী সাদিপুর, গোয়ালাবাজার ও পৈলনপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উপজেলার বাকি এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ও সুরমা তীরবর্তী ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। একইভাবে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সুরমা তীরবর্তী কুচাই, বরইকান্দি ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে উন্নতি হলেও ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে কুশিয়ারার পানি ঢুকে মোগলাবাজার, দাউদপুর, জালালপুর ও সিলাম ইউনিয়নে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।এদিকে সিলেট সদর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধীরগতিতে পানি নামছে। আর জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরবর্তিত রয়েছে।বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ও হাটবাজার তলিয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাদ্যসামগ্রীর দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১ জুলাই
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বুধবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানান।
এছাড়া ৭ জুলাই থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়
মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতুকে জাতীয় গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া বহুমুখী পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা মান নিয়ে কোনো আপোস করিনি। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতু ইস্যুতে সরকারের কিছু সমালোচকের মন্তব্যের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করতে পারবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর সাহসী পদক্ষেপে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের দীর্ঘতম সেতু
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের (বিশ্বব্যাংক) ধন্যবাদ জানাই। ওই ঘটনা ঘটার কারণেই আমরা সাহসের সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি; আজ বাংলাদেশ তার মর্যাদা ফিরে পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে অনিরাপদ খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে।বুধবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে 'নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধান প্রয়োগ'শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব। এটি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু: খাদ্যমন্ত্রীসাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন,আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব খাদ্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি খাবেন তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই সুস্থ সবল জাতি গঠনে সবাইকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, যারা খাবারে ভেজাল দেয়, যারা ভেজাল খাবার তৈরি তাদের বিরুদ্ধে সবার সজাগ থাকতে হবে। ভেজাল খাবার তৈরি ও পরিবেশন যারা করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করর নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
যদি কেউ ফরমালিনসহ অন্য যে কোন অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইনে ৫বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি: খাদ্যমন্ত্রী
মীরসরাইয়ে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ১
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাট রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও বালুভর্তি ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী তূর্ণা নিশিতা ট্রেনের সঙ্গে ড্রাম ট্রাকের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাকের হেলপার মো. মোরছালিন (১৯)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রাকের চালক শাহ আলমকে (৪০) প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তির পর আজ সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলম জানান, বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে করেরহাট থেকে বালুবোঝাই একটি ড্রাম ট্রাক বারইয়ারহাট রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর তূর্ণা নিশিতা ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে মস্তাননগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে হেলপার মোরছালিন মারা যায়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানা-নাতনীসহ নিহত ৩
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ২ জন নিহত