বাংলাদেশ
দেশে করোনায় শনাক্ত ৩০ জন
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায় নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে আরও ৩০ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৮২৯ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ২৩
দেশে করোনায় শনাক্ত ১০, মৃত্যু নেই
যমুনায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে এসে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চরবাটিয়া ডুবোচর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত মুগ আলী ছোট (১৩) বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
সারিয়াকান্দি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার ময়েজ উদ্দিন জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কালিতলা ঘাটের অপর পাশের বাটির চরে এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যায় স্কুলছাত্র মুগ আলী ছোট। পরে কালিতলা ঘাট থেকে নৌকায় চড়ে তারা বাটির চরে যান। সেখানে যাওয়ার পর অন্যদের সঙ্গে নদীতে গোসলে নামে ছোট। এর কিছুক্ষণ পরেই স্রোতের টানে নদীতে তলিয়ে যায় সে। এই সময় তার বাবা-মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
পরদিন রবিবার রাজশাহী থেকে একটি ডুবুরি দল এসে প্রায় ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে মুগের লাশ উদ্ধার করে।
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
ভারত সরকার ৯-১২ মে ভারতের মেঘালয়ে ২৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সফরের আয়োজন করছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসাবে এ আয়োজন করা হচ্ছে।
এই প্রতিনিধি দলে রয়েছে ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা মেঘালয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রতিনিধি দলে সাংবাদিক সহ অন্যান্য পেশার বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।
এই সফরে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মেঘালয় সরকারের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করবে যার মধ্যে গভর্নর এবং মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত একজন ঢাকা বিভাগের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে আটজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন দুজন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৭ রোগী হাসপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৮৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত মারা যায়নি।
টেকনাফে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে রবিবার দিবাগত রাতে এক কেজি ছয় গ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন (ক্রিস্টাল মেথ) ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ২২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক মো. সাকের আলী টেকনাফের বি ব্লকের ২৫ মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা উদ্ধার, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি-২ এর একটি টহল দল রাত সোয়া ১২টার দিকে টেকনাফের জাদিমোরা ওমর খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাকেরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে এক কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
এ সময় বিজিবি সদস্যরা তার কাছ থেকে এক কেজি ছয় গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ এবং পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে মজুদকৃত ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের তিন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুরে পাহাড়তলী বাজারের সিরাজ স্টোরে অভিযান চালিয়ে এসব তেল জব্দ করা হয়।
এর আগে, গতকাল রবিবার (৮ মে) চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটের একটি দোকানের মেঝের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এক হাজার ৫০ বোতল সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছিল। পরে স্টোরের মালিক আব্দুল হালিমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকরণ সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, সোমবার দুপুরে পাহাড়তলী বাজারের সিরাজ স্টোরের তিনটি গোডাউন থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত বলা হবে।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান বলেন,‘আগের দামে কেনা এসব তেল বর্তমান বাজার দরে বিক্রির অপচেষ্টা করেছেন দোকান মালিক। আমরা এসব তেল জব্দ করেছি। তবে এখনও জরিমান করিনি। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযান এখনও চলমান।’
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
জুন মাসে আরও এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আগামী জুন মাস থেকে আবারও এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য পণ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু দরিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষদের সাশ্রয়ের চিন্তা করছি। যতোদিন প্রয়োজন হবে এবং দেশে এরকম দাম থাকবে, এই এককোটি পরিবারের পাঁচ কোটি মানুষকে এভাবে সাহায্য করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জুন মাস থেকে এক কোটি পরিবারকে আবার সহায়তা দেয়া হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে এখন যেভাবে সহায়তা দিচ্ছি সেভাবে দিয়ে যাবো। আমাদের দেশের ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে। ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি ২০ লাখ দারিদ্রসীমার নিচে। সেখানে আমরা এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়মূল্যে খাদ্ পণ্য দেবো। এক কোটি পরিবার মানে পাঁচ কোটি লোক। আমরা কিন্তু দরিদ্রসীমার নিচে মানুষদের সাশ্রয়ের চিন্তা করছি।
আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি ৫০ লাখ পরিবারের কথা বলে ছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যতো কষ্ট হোক এক কোটি মানুষকে দুইবার দেয়া হয়েছে। আবার দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন রমজান মাসের পড়ে। একই সঙ্গে বলেছেন এটা বন্ধ করা যাবে না। যতোদিন প্রয়োজন হবে এবং দেশে এরকম দাম থাকবে এই এককোটি পরিবারের পাঁচ কোটি মানুষকে তোমাদের এভাবে সাহায্য করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার দাম আমরা কমাতে পারবো না। দেশের বাজারে দাম কম রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সেটার গ্যারান্টি দিতে পারবো।
টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ন্যায্য দামে পণ্য দিবেন, সেখানে কি তেলের দাম সমন্বয় করবেন নাকি আগের দামেই বিক্রি করা হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে অনেক ঘাটতি হচ্ছে, অনেক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। যদি আপনারা বলেন ১০ টাকা বাড়ানো উচিৎ বা এটা ন্যায্য হয়েছে তাহলে আমরা বাড়িয়ে দেবো। সব কিছু মিলে আমরা এখনও ফাইনাল করিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাজারে যখন ২০০ টাকা তেল হয়ে যায় তখন অনেক পার্থক্য থাকে। তখন টিসিবির ট্রাকের পিছনে একই লোক ঘুরে ফিরে আসে। লাইন ধরে যারা কেনে তারা দুই-তিনবার করে কিনে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। আমরা এখন সিদ্ধান্ত নেইনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি। কোথায় কোথায় বেশি লাভের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এটাও ঠিক আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। গত এক দেড় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেক বেড়েছে। আজকে বাজারে যে তেল ছেড়েছে সেটা দুই মাস আগে বন্দর ছেড়েছে।
তিনি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। কিন্তু আরও একটা সত্য আছে সেটা হলো আমরা আমাদের দেশে তেল উৎপাদন করি না। মোট চাহিদার মাত্র ১০ ভাগ তেল আমাদের সার্বিকভাবে হয়। আর বাকি ৯০ ভাগ তেল আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটাই মেসেজ আন্তর্জাতিক বাজার ও আশেপাশের দেশগুলো বাজারসহ পারিপার্শ্বিক কিছু বিবেচনা করে যতটুকু কম রাখা যায় আমরা সেটা চেষ্টা করবো।
টিপু মুনশি বলেন, এখন যে তেল কিনছি ১৯৮ টাকায় সে তেল এলসি করা হয়েছিল অন্তত ৪৫ দিন আগে। সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কত ছিল- জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কে কত দামে খুলেছে (এলসি) সেটার চেয়ে বড় কথা যে মাসটা ঠিক করি আমরা, সে মাসে তারা কত দামে ক্লিয়ার করল। সবগুলো এলসি কত দামে তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ক্লিয়ার করল, সেটা ধরে করেছি। এটা যে আজকে ২৫০ টাকা হচ্ছে, সেটা ধরে হচ্ছে না। কত আগে খুলেছে সেটা মূল বিষয় নয়। কি দামে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ক্লিয়ার হলো, সেটার গড় করে নির্ধারণ করা হয়। গতকাল (রবিবার) দাম ছিল এক হাজার ৯৫০ ডলার (প্রতি টন)। আমাদের নির্ধারণ করার সময় ছিল এক হাজার ৭৫০ ডলার। তাই ৪০ বা ৪৫ দিন ফ্যাক্টর না।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
জনগণ পণ্যের ওপর কর কমানোর সুফল পাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ কৌশল উচ্চ মানের অবকাঠামো প্রকল্পে টেকসই সংযোগ বিনিয়োগ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইউরোপ দিবস উপলক্ষে এবং তৎকালীন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট শুম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণে দূতদের লেখা একটি যৌথ নিবন্ধ অনুসারে, যদি ব্যবসায়ীক পরিবেশ আরও উন্নত করা যায় তবে ইউরোপীয় ব্যবসার দ্বারা বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র এবং ৪৫০ মিলিয়ন নাগরিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ফরাসি দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, ডাচ রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাস এবং সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে যৌথভাবে নিবন্ধটি লিখেছেন।
বাণিজ্য ফ্রন্টে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইইউ, যা বার্ষিক প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, তাদের টিম ইইউ এবং ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে বাংলাদেশের সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ কিছু কাজ এবং সবুজ পরিবর্তনসহ নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
এটা শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন এবং সুশীল সমাজের সহায়তার মতো ক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহায়তার পরিপূরক।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তার অন্যতম অংশীদার হিসাবে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি অস্থায়ী আবাসন প্রদান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র এই সম্পৃক্ততা এখন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবাধিকার, নিরাপত্তা ও ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে সর্বশেষ শান্তি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতে এলে তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১৮ সালে দেশের পানি সম্পদের ভবিষ্যত ব্যবহার সুরক্ষিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব প্রশমিত করতে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ হাতে নেয় সরকার।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে সংযোগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন।
এসময় এডিবিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভারসাম্যের সুবিধার্থে এডিবির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চমৎকার নেতৃত্বে মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যতম সেরা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
শিজিন চেন বলেন, এডিবি সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে এবং দেশের শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে অভিযোগ না করতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এডিবির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,
‘এ সময়টা সাধারণত ক্রিটিক্যাল, তবে বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন,এডিবি ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট) মনমোহন প্রকাশ এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে না থাকলেও ঢাকা শহরের বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’।
সোমবার বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৪৬ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও চিলির সান্তিয়াগো যথাক্রমে একিউআই ১৭৪, ১৬৫ ও ১৫৭ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বাতাসের মান: দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।